সালাউদ্দিনের সমালোচনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলছেন কাবরেরা

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে আর মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। ৬ই জুন কিংস অ্যারেনায় অস্ট্রেলিয়া ও ১১ই জুন কাতারে লেবাননের সঙ্গে ম্যাচ  দুটি খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দুটিকে সামনে রেখে দল গোছাতে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। ১৯শে এপ্রিল ছুটি থেকে ফিরেই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে। প্রিমিয়ার লীগ ও ফেডারেশন কাপ নিয়ে খেলোয়াড়রা ব্যস্ত থাকায় দলকে প্রস্তুত করতে বেশি সময় পাবেন না কাবরেরা। জুনের একেবারেই শুরুতেই কাজে নেমে পড়ার পরিকল্পনা তার। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলে হেরে বাছাই শুরু করে বাংলাদেশ। বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত একমাত্র পয়েন্ট কাবরেরার দল পেয়েছে লেবাননের বিপক্ষে, গত বছর নভেম্বরে ঘরের মাঠে ১-১ ড্র করে। এই ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের টেবিলে তলানিতে আছে বাংলাদেশ। চার ম্যাচের সবগুলো জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া।

৭ ও ২ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ফিলিস্তিন ও লেবানন। বাছাই পর্বে বাংলাদেশ সবশেষ ম্যাচ খেলেছে ঘরের মাঠে কিংস অ্যারেনায় ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। সৌদি আরবে লম্বা ক্যাম্প করে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছিল শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে। ওই ম্যাচে কোচের কৌশল নিয়ে নাখোশ ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিষয়গুলো স্বাভাবিক মেনে নিজের কাজ করে যেতে চান কাবরেরা। গতকাল বাফুফে ভবনে সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক, তিনি প্রেসিডেন্ট। তিনি দল সম্পর্কে জানতেই চাইবেন। আমি নেতিবাচক কিছু দেখছি না। আমি তার কথা শুনি, সে আমার কথা শোনে। এটাই মূল বিষয়। আমাদের ভুল থেকে আমরা শিখি। ভুল থেকে শিখে পরের ম্যাচে তা শুধরে নিতে চাই।’ সামনের দুই ম্যাচের জন্য ২৬ জন নিয়ে দল সাজাতে চান কাবরেরা। বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, লীগের বাকি পাঁচ রাউন্ডের খেলা এবং ফেডারেশন কাপের ম্যাচগুলো দেখে খেলোয়াড় চূড়ান্ত করবো। এদের নিয়ে অল্প কয়েক দিনের জন্য ক্যাম্প করতে পারি; কেননা ২৯ মে লীগ শেষ হবে। গত মার্চে আমরা অনেকদিনের ক্যাম্প করেছি। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে ৪-৫টি সেশন করার সুযোগ পাব। এরপর আমাদের কাতার যেতে হবে। স্বাভাবিক ক্যাম্প হবে, বিশেষ কিছু নয়।’ ক্যাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে এই স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘পরিকল্পনা আছে ১ জুন খেলোয়াড়রা রিপোর্ট করবে এবং পরদিন থেকে মাঠের প্রস্তুতি শুরু হবে। বিপিএল শেষে এক-দুই ছুটির পর ঢাকায় অনুশীলন করব। প্রস্তুতি ম্যাচের সুযোগ নেই। মার্চে ভালো ক্যাম্প হয়েছে। ছেলেরা বিপিএল খেলেছে, দলের সবাই ফিট আছে।’ বাছাইয়ে সবশেষ ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার তারিক কাজী ও উইংগার শেখ মোরসালিন। ফিনল্যান্ড প্রবাসী এই ডিফেন্ডার রয়েছেন রিকভারির পথে। আর মোরসালিন এরইমধ্যে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে মাঠে নেমেছেন। এতে স্বস্তিও বাড়ছে জানিয়ে কাবরেরা বলেন,  ‘তারা এই মুহূর্তে ভালো আছে। (শেখ) মোরসালিন আগের ম্যাচে খেলেছে। এটা ইতিবাচক দিক। বিশেষ করে তার জন্য, মাঠে ফিরেছে সে। আমাদের জন্যও ইতিবাচক দিক। তারিকের কিছু ব্যাপার আছে। এখনো রিকভারির মধ্যে আছে। তার ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’