দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল। সিনেমা, নাটক ও অডিওতে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার গাওয়া একের পর এক গান শ্রোতাপ্রিয় হচ্ছে। বিশেষ করে প্লে-ব্যাকে ধারাবাহিকভাবে সফলতা তুলে নিয়েছেন এ গায়িকা। এরমধ্যে শাকিব খান-ইধিকা পাল অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় বালাম-কোনালের গাওয়া ‘ও প্রিয়তমা’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ইউটিউবে গানটির ভিউ ১৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি। শুধু তাই নয়, গানটি নতুন ইতিহাসও তৈরি করেছে। মুক্তির কিছুদিনে গ্লোবাল টপ চার্ট-এ জায়গা করে নেয়, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম গান হিসেবেই আছে। এর বাইরে ‘সুরমা সুরমা’, ‘মেঘের নৌকা’, ‘রাজকুমার’ গানগুলোর মাধ্যমেও শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছেন এ শিল্পী। এদিকে কোনালের গাওয়া ১০টি গান এরই মধ্যে ইউটিউবে কোটির ঘর পার করেছে।
গানগুলো হলোÑ ‘বন্ধু’, ‘আমি পারবো না তোমার হতে’, ‘আগুন লাগাইলো’, ‘তুমি আমার জীবন’, ‘মিস বুবলী’, ‘পাই না তোকে’, ‘মেঘের নৌকা’, ‘সুরমা সুরমা’, ‘ও প্রিয়তমা’ এবং ‘রাজকুমার’। সিনেমার গানে পরিচালক-প্রযোজকদের আস্থায় পরিণত হয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? উত্তরে এ শিল্পী বলেন, এটা অনেক বড় ব্যাপার। তবে এটি রাতারাতি ঘটেছে তেমনটা নয়। ১৫ বছরের একটা দীর্ঘ জার্নি আমার। ধীরে ধীরে শ্রোতারা আমার গান পছন্দ করেছেন। ধৈর্য্য ধরে আমি শুধু গানের সাধনাটাই করে গেছি। জনপ্রিয়তার কথা চিন্তা করিনি। আসলে শ্রোতারা গানগুলো গ্রহণ করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমি সব সময় আমার গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, প্রযোজক, পরিচালকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার যে ১০টি গান কোটি ছাড়িয়েছে, এত শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, সেই সাফল্য আমার একার নয়, পুরো টিমের। সত্যি বলতে সিনেমার গানে কাজ করাটা আশীর্বাদের। কারণ সবার দ্বারা প্লে-ব্যাক সম্ভব হয় না। কোনাল বলেন, আমি এখনো সিনিয়রদের থেকে শেখার চেষ্টা করি। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, কনকচাঁপাদের মতো শিল্পীদের এক্সপ্রেশন, গায়কী সবকিছুর মাঝেই আমি শিখি। আজীবন এই শেখাটা চলবে। নতুন কাজ প্রসঙ্গে কোনাল বলেন, বেশকিছু চমক অপেক্ষা করছে। খুব দ্রুতই শ্রোতারা তার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
