ঢাকা, ১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

রাজনীতি

লিফলেট বিতরণকালে ১২ দলের নেতারা

‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার দেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে’

স্টাফ রিপোর্টার

(২ সপ্তাহ আগে) ২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ৮:৩৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৮:৩৮ অপরাহ্ন

mzamin

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার পরও তাদের আগ্রাসন ও দাদাগিরির বিরুদ্ধে আজকে বাংলাদেশের জনগণ ফুসে উঠেছে। দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যেয়ে একটি দলের পক্ষে অবস্থান,বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা এবং আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় পন্য বর্জনের আন্দোলন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তার রক্তাক্ত সীমান্ত,  অধিকৃত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আবারও একটি মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত।

নেতৃবৃন্দ বলেন শুধু পন্য বর্জন নয় ভারতের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তারা বলেন শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জন নয় বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীকার এর দাবিতে এদেশের জনগণ নীরবে ঘরে ঘরে প্রস্তুত হচ্ছেন।

তারা বলেন আধিপত্যবাদ আগ্রাসন ও গণতন্ত্র হত্যার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৯৭১ সালে লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল পিন্ডির শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছিল দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়।

ভারতীয় পণ্য বর্জনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতৃবৃন্দ বলেন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ভারতের ৫২৭টি পণ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সে পণ্যগুলো নিষিদ্ধ করেছে আরেকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় দুটি ওষুধে ক্যান্সারের মিশ্র উপাদান পাওয়ায় হংকং ও সিঙ্গাপুর সেটা নিষিদ্ধ করেছে।

সীমান্তে প্রতিদিন পাখির মতো গুলি করে বাংলাদেশীদের হত্যা করা হচ্ছে যদি বন্ধু হও প্রতিবেশী হও তাহলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।বাংলাদেশের মানুষ দেশের গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।

নেতারা বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই আমরা সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব চাই কিন্তু যে বন্ধু আমাদের হত্যা করবে শোষণ করবে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করবে তার সাথে কখনোই বন্ধুত্ব হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই সীমান্তে হত্যা বন্ধ করো বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষে বন্ধ করুন। আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে কিন্তু আমার দেশের গণতন্ত্র থাকবে না সেটি বাংলার জনগণ কখনো মেনে নেবে না।

নেতৃবৃন্দ দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, সীমান্ত হত্যা মানিনা, গণতন্ত্র হত্যাকারীদের বয়কট করতে হবে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারে ছড়িয়ে দিতে হবে।

সোমবার ২৯ এপ্রিল, ময়মনসিংহ মহানগরীর চরপাড়া  ও তৎসংলগ্ন এলাকায় "ভারতীয় পণ্য বর্জন ও আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান" শীর্ষক লিফলেট বিতরণকালে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। এসময় তারা মার্কেটের দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন। লিফলেটে বলা হয়েছে- আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ভোট চুরির মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে আসছে।

বিজ্ঞাপন
তারা লুটপাট করতেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে না বলুন। একইসঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়।
দেশী পণ্য কিনে হই ধন্য। আমাদের শিল্প কলকারখানা ও কৃষক বাঁচান এবং দেশ রক্ষার আন্দোলনে সবাই এগিয়ে আসুন। আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দেশটা সবার আগে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের সর্বনাশ করে ভারতকে সুবিধা দেয়া কোনদিন রাজনীতি হতে পারে না। জম্মু কাশ্মীর কিংবা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের অবস্থা দেখে আমাদের প্রতিটা দেশপ্রেমিক মানুষকে সময় থাকতে সতর্ক হতে হবে। আমরা বিএনপি আওয়ামী লীগ,,জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত, হেফাজত বুঝি না, আমার ধ্যান জ্ঞান ও প্রেম ভালবাসার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আমার অহংকার।

লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ রওনক ইব্রাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)এর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু,  বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম সহ জোট নেতৃবৃন্দ।

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

ইসলামি দলগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন/ আপনারা কোথায় এখন

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status