রোববারই খুলছে স্কুল-কলেজ

বড় বড় চেয়ারে সব রাম ছাগলেরা এসি রুমে বসে সিদ্ধান্ত নিলে , তাদের মাথা থেকে এর চেয়ে ভাল কিছু আসা করা যায় না। গত সপ্তাহেই বরং সামনের সপ্তাহ থেকে তাপ কম ছিল। অথচ সামনের সপ্তাহ থেকেই স্কুল খুলে দিল। পুরাই উল্টা সিদ্ধান্ত। অন্তত আমি আমার বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাচ্ছি না ।

প্রাপ্তবয়স্করা সাপ্তাহে পাঁচ দিন অফিস করে ক্লান্ত, তাই দুইদিন ছুটি। আর এখানে কোমলমতি বাচ্চাদের সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করতে হবে,একদিন ছুটি। তাদের কি কোন ক্লান্তি নেই!!!

বাহ বাহ ......... তারপর কি ?

এরাই শিক্ষিত মুর্খ!

কয়দিন জোরপূর্বক খোলা রাখতে পারে সেটায় দেখার বিষয়। অন্তত আমি আমার সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না।

সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলেছে তাপমাত্রা বাড়বে আর উনারা স্কুল খুলে বসে আছেন।

তাপ প্রবাহ চলছে এখন কি ভাবে স্কুল কলেজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কতৃপক্ষ হিট স্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে, ছাত্র ছাত্রী গরমের কারণে মৃত্যু হলে এর দায় কে নিবে।

মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা শীতাতোপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে এই সিদ্ধান্ত খুব সহজেই নিতে পারেন কারণ তাদের গায়ে তো আর গরমের তাপ লাগছেনা।। বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে বসে এই সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে তাহলে বুঝত এই তাপদাহে ক্লাস করা কতটা দূরহ ব্যাপার।।

সরকার স্কুল খুলবে বলেছে যখন খুলবেই। শ্রেণী কার্যক্রম সকাল ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত করার দাবী করছি।

হিট এলার্ট এর জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হলো যাতে বাচ্ছারা স্কুলে যাওয়া আসার পথে,রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকা গাড়ীতে,বা স্কুল কলেজের শ্রেণী কক্ষে অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোক না করে। যেখানে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাপপ্রবাহ এখনি না কমার আগাম তথ্য জানিয়েছে সেখানে কেনো এখনি স্কুল খোলার প্রয়োজনীয়তা পড়লো? করোনার সময় কি আমরা অনলাইনে ক্লাস করাই নি? এখন স্কুল কলেজে কোমলমতি শিশুরা যদি অসুস্থ হয়ে সাস্থ্য জটিলতায় পড়ে এর দায় ভার কে নেবে? আসলে আমাদের সমস্যা হলো গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে আমরা রাম ছাগল বসিয়ে রেখেছি তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।

না এখনই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত দেওয়া ঠিক হবে না। কোমল বাচ্চারা হৈ হুল্লোর করবেই,তাই নিরাপত্তার চিন্তা করে এখনই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবেনা।

খেলা চলছে খেলা চলতেই থাকবে। কিন্তু এই খেলারও একদিন শেষ দেখবে মানুষ শুধু একটু অপেক্ষা!