খেলা
‘ঘরোয়া ক্রিকেটের নিম্নমুখী মান প্রভাব ফেলছে’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারশ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২৮ রানের ব্যবধানে টেস্ট হার। সিরিজের দুই ইনিংসে বাংলাদেশ দল আউট হয়েছে ২শ’র নিচে। এই হারের সবচেয়ে বড় কারণ হতশ্রী ব্যাটিং। দুই ইনিংসেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার ধরন ছিল দৃষ্টিকটু। বোলিংয়েও যে খুব বেশি আশা জাগিয়েছে তাও নয়। ৫৭ রানে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে ২৮০ রানে। পরের ইনিংসে ১১৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে করে ৪’শর বেশি রান। তার মানে যখনই জুটি বেঁধেছে তখনই খেই হারিয়েছে বোলাররা। দেখা মিলেনি লড়াইয়ের ন্যুনতম মানসিকতার। এমন হারের কারণটা অবশ্য এক ম্যাচ দিয়ে মূল্যায়ন করতে চান না বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা ও অভিজ্ঞ কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
অন্যদিকে সিলেটে বাজে হারের কারণকে নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলছেন ক্রিকেটারদের অ্যাপলিকেশনের অভাব। তিনি বলেন, ‘সিলেটে যে উইকেট সেখানে যে ধরনের ব্যাটিং অ্যাপলিকেশন ক্রিকেটারদের দরকার ছিল তা কিন্তু তারা করতে পারেনি। এই উইকেটে খেলতে হতো লম্বা সময় ক্রিজে থেকে। অনেক
মারার বলও ছেড়ে দিতে হতো। উইকেটে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে রান করতে সমস্যা হতো না। যেটি করেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের তাইজুল ও মুমিনুলও তা করে দেখিয়েছে। কিন্তু বাকিরা তার আশপাশ দিয়েও যেতে পারেনি। সিলেটে এমন উইকেট ছিল না যে এসেই মারতে হবে। তারা উইকেট বুঝতেও ভুল করেছে।’ ব্যাটিং হতশ্রী সেই সঙ্গে বোলিংটাও আহামরি নয়। শুরুতে উইকেট হারিয়ে জুটি বেঁধে লঙ্কানরা বাংলাদেশের বোলারদের এলোমেলো করে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা ৫১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। দুই ইনিংসেই দুটি করে জোড়া সেঞ্চরিতে করেছে তারা ৬৯৮ রান। তার মানে বোলিংয়েও ছিল ঘাটতি। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্টে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দেখা গেছে শুরুতে বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট নিলেও শেষে খেই হারাচ্ছে। বিশেষ করে জুটি বাঁধলেই। তাহলে কি মিডল ওভারে বোলারের অভাব! এ নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘না, আমি বোলাররের অভাব দেখি না। যখন প্রতিপক্ষ জুটি বাঁধে বিশেষ করে টেস্ট আমরা একই ভাবে বল করে যাই। সিলেটেও তাই হয়েছে, প্রতি ওভারে যেখানে ওদের আউট করার রাস্তা বের করতে হবে সেটি না করে মনে হয়েছে ওরা কখন আউট হবে তার অপেক্ষা করছে বোলাররা। আমরা হাল ছেড়ে দেই এমন পরিস্থিতিতে। এই জন্য বলছি এমন চ্যালেঞ্জের ম্যাচতো আমরা হঠাৎ হঠাৎ খেলি। ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন কঠিন ম্যাচ খেলে প্রস্তুত না থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার চাপ নেয়াও শিখবে না।’
সিলেট থেকে গতকালই চট্টগ্রামে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। ৩০শে মার্চ সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হবে চট্টগ্রামে। দলে ফিরছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই টেস্টে বাংলাদেশের করণীয় কী হবে তা নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘প্রথমতো দলে কে আসলো বা গেলো সেটি বড় বিষয় নয়। সিলেটে যে ভাবে হেরেছে এতে বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটারদের মানসিকতায়। চট্টগ্রামেও হবে চ্যালেঞ্জের ম্যাচ। তাই আগে ক্রিকেটারদের মোটিভেশনটা খুব দরকার। আর তার চেয়ে বড় দরকার লড়াই করার মানসকিতা।’