দেশ বিদেশ
ড. ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার পাননি- শিক্ষামন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারইউনেস্কো নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার দেয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসরাইলি একজন ভাস্করের দেয়া পুরস্কারকে ড. ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচার করেছেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো একটি পুরস্কার দিয়েছে বলে প্রচারিত সংবাদের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, ইউনেস্কো ড. ইউনূসকে এ ধরনের বা এই নামে কোনো পুরস্কার দেয়নি। তিনি বলেন, ইসরাইলের ওই ভাস্কর্যশিল্পীও নিশ্চিত করেছেন যে, এটি ইউনেস্কোর কোনো সম্মাননা বা পুরস্কার নয়। তিনি এটি গানজাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে দিয়েছেন।
মহিবুল হাসান বলেন, ইউনূস সেন্টার ও ড. ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচারিত হয়েছে, সেটি প্রতারণামূলক এবং সর্বৈব মিথ্যা। এখানে ইউনেস্কোর কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে ইউনেস্কো প্রদত্ত পুরস্কার বলে উল্লেখ রয়েছে। যে কার্যক্রম ড. মুহাম্মদ ইউনূস করেছেন, সেটাকে বলা চলে প্রতারণামূলক, শঠতামূলক কার্যক্রম। একজন ইসরাইলি ভাস্করের দেয়া সম্মাননাকে তিনি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের পক্ষ থেকে (বুধবার) সংস্থাটির সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ব্যাখ্যা পাঠিয়ে বিষয়টি অবগত করবো।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ড. ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য ইতিমধ্যে দণ্ডিত হয়েছেন। একজন দণ্ডিত ব্যক্তি ইউনেস্কোর নাম নিয়ে এভাবে যে অপপ্রচারগুলো করছেন, এজন্য ইউনেস্কোকে সতর্ক করার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি এবং আমরা ইউনূস সেন্টারকে অনুরোধ করবো যে, তারা যেন এ ধরনের ভয়াবহ মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকে। তা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষানীতি নিয়ে থাকার কথা থাকলেও সে আছেন ইউনুস নীতি নিয়ে। ডঃ ইউনুস বিশ্বজনীন ব্যক্তি এর নখের আসাও সম্ভব হবেনা এই শিক্ষামন্ত্রীর। যাকে বলে আওয়ামীলীগ।
আওয়ামী লীগের শিক্ষামন্ত্রীর কাজ তো মনে হচ্ছে অন্যের গিবত গাওয়া। সরকার তাকে গিবত মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্ব দিলে দেশের লাভ হবে।