দেশ বিদেশ
হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে স্বাধীনতা চরম সংকটে: বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবারসীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে।
গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। ‘নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল-আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায়’ এ বিবৃতি দেন ফখরুল।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর একজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণ বিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয়বিদারক ও আত্ম মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা এবং আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার, তাদের মন্ত্রীরা এখনো নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেয়া দূরে থাক টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি। বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এ সমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ডামি’ সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তাঁবেদার সরকার।
ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন।
একমাত্র অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।