অর্থ-বাণিজ্য
অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২ মার্চ ২০২৪, শনিবার, ৯:৫২ অপরাহ্ন
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) নেতারা। সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালীর নেতৃত্বে শনিবার ওই ভবন পরিদর্শন করেন ব্যবসায়ী নেতারা। এসময় দেশের বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নি সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারের সঙ্গে আরও জোরালোভাবে কাজ করার কথা জানান তারা।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। যেখানে বেসরকারি খাতের অবদান উল্লেখযোগ্য। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতভাগ কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে আমরা এখনো পিছিয়ে রয়েছি। বেইলি রোডে ভবনে আগুনের ঘটনায় একে অন্যকে দোষারোপ না করে বাণিজ্যিক ভবনসহ সব ধরনের স্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বাস্তবায়নে সরকার এবং বেসরকারি খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনায় যাদের অবহেলা হয়েছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যাদের অবহেলার কারণে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেলো তাদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ব্যবসায়ী হোক কিংবা ভবনের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত ও তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান হোক; প্রকৃত অর্থে যাদের অবহেলায় ও উদাসীনতায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে- তাদের সবাইকে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ কেউ ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের আগে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নোটিশ দেওয়া হলেও পরে এ বিষয়ে কোনো তদারকি করা হয়নি। দুর্ঘটনার আগেই এখানে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রকৃত অর্থে কোনো ব্যবসায়ী যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে কমপ্লায়েন্সের সার্টিফিকেট দেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ভবনগুলো ভালোভাবে বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহিদ উল্লাহ প্রমুখ।