বিনোদন
‘সবাইকে নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সঙ্গে বসতে হবে’
মারুফ কিবরিয়া
১৬ মে ২০১৭, মঙ্গলবার, ৮:২৮ পূর্বাহ্ন
নাট্যকার হিসেবেই মিডিয়ায় সম্পৃক্ততা সাগর জাহানের। সে পরিচিতির পাশাপাশি তিনি এখন জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতাও। ‘আরমান ভাই’, ‘সিকান্দার বক্স’ কিংবা ‘অ্যাভারেজ আসলাম’-এর মতো আলোচিত সিরিজ নাটকগুলোর স্রষ্টা তিনিই। আরমান ভাই শেষ, সিকান্দার বক্সও প্রচার শেষ। কিন্তু নাটকগুলোর প্রতি দর্শকের ভালোলাগা রয়ে গেছে অফুরান। সে কারণেই সাগর জাহান এখনো যখন কোথাও মোশাররফ করিম কিংবা জাহিদ হাসানকে নিয়ে নাটক নির্মাণে যান সাধারণ মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করেন, ওই সিরিজগুলোই কি নির্মাণ হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে সাগর জাহান বলেন, এ প্রশ্ন শুনতে ভালেই লাগে। কারণ, অন্তত এই দু-একটি সিরিজ দিয়ে আজীবনের জন্য দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিতে পেরেছি। মিডিয়ায় নাট্যকার, নির্মাতা হিসেবে সাগর জাহান নামটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে এক দুদিনে নয়। তাকে লড়তে হয়েছে। সংগ্রাম করতে হয়েছে। তাও দীর্ঘ ১৩ বছর। লম্বা এই ক্যারিয়ারে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প জানতে চায় সবাই। কি পেয়েছেন এ মিডিয়া থেকে। সাগর জাহান বলেন, এক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলতে গেলে সময় বয়ে যাবে। গল্প আর শেষ হবে না। খুব সংক্ষেপে বলি, আমার যা কিছু সব প্রাপ্তি। অপ্রাপ্তি বলে কিছু নেই। নাম, যশ খ্যাতি যা-ই বলুন না কেন সবই পেয়েছি। আরো পেয়েছি দেশের অগণিত মানুষের ভালোবাসা। কিন্তু যে সাগর
জাহানকে দর্শকরা শুধু নাট্যকার কিংবা নির্মাতা হিসেবে চেনেন তিনি আসলে তা ছিলেন না। এটা হয়তো অনেকেরই অজানা। সাগর জাহান ছিলেন একজন গায়ক, সুরকার ও গীতিকার। সে সঙ্গে গিটার-তবলা বাজানোতেও বেশ পারদর্শী তিনি। অনেকটা অভিমান করেই গানের জগৎ ছেড়ে দিয়েছেন সাগর জাহান। কি ছিল সে অভিমানের গল্পে? জনপ্রিয় এ নির্মাতা বলেন, ১৯৯৫ সালের কথা। তখন আমি, আমার বন্ধু ও সমসাময়িক সিনিয়র ভাইদের নিয়ে গান করতাম। সেগুলো ছিল জীবনমুখী গান। কিন্তু তখনকার সময়ে আধুনিক গানের কাছে মার খেয়ে যাচ্ছিল আমাদের গাওয়া ও সুর করা সৃষ্টিগুলো। অ্যালবামও বের করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। কোম্পানিগুলো গান চালাতে ব্যর্থ। আমার নেশায় গানের পোকা ভর করেছিল। অনেকের পরামর্শ ছিল বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেয়ার জন্য যেন লবিং করি। কিন্তু আমার কাউকে তেল মাখানো পছন্দ নয়। নিজের যোগ্যতা দিয়ে কাজ করার একটা প্রতিজ্ঞা আমার সব সময়ের। আর সে জায়গা থেকে বরাবর কাজ করে আসছি। তখনও আপস করিনি। তাই রাগ কিংবা অভিমান করেই গানের জগৎ ছেড়ে এখন আমি নাট্যকার-নির্মাতা। গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার কিংবা নির্মাতা এসব নিয়ে অনেক কথাই বললেন সাগর জাহান। এবার আসা যাক তার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে। কি করছেন এখন? এবারের ঈদের জন্য কি কি চমক থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি খণ্ড নাটক নির্মাণ করেছি। এগুলো হলো- ‘দূর পাহাড়’ ও ‘লাইফ ইজ কালারফুল’। পাশাপাশি দুটি ছয় পর্বের ধারাবাহিকের মধ্যে একটির কাজ শেষ। এর নাম ‘মাহিনের নীল তোয়ালে’। নাটকটি ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে। আর অন্যটি হলো বাংলাভিশনের জন্য যথারীতি ‘অ্যাভারেজ আসলাম’-এর সিক্যুয়াল। এর নাম ঠিক হয়নি এখনো। তবে ইচ্ছা আছে নোয়াখালীতে আসলামের নানীর বাড়িতে গিয়ে শুটিং করার। নাটক রচনা ও নির্মাণ দুটোই একসঙ্গে করছেন সাগর জাহান। ঠিক এ সময়টাতে এসে অনেক নাট্যকার নির্মাতার চোখে মুখে হতাশার ছাপ। কারণ একটাই-বর্তমান নাটকের অবস্থা ভালো নয়। চারদিকে নানামুখী সংকট। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বেশকিছু দিন আগে টিভি নাটক সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো একযোগে আন্দোলনের পথে নামে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। এ সংকট নিরসনে এ মুহূর্তে কি করণীয়? এমনই প্রশ্ন সবার। সাগর জাহান প্রসঙ্গক্রমে বলেন, আমাদের হাজারো সমস্যা। অনেক সংকট। এতগুলো সমাধান করা যাবে না। বেশি কিছু নয়। মোটা দাগে কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বসতে হবে। আর সেজন্য প্রধান তিনটি সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন বলতে পারেন তারা তো এগিয়ে এসেছেন। কিছুই তো হলো না। হ্যাঁ, উত্তরটা এটাই হবে। সবাইকে নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সঙ্গে বসতে হবে। নাটকের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে একমাত্র টিভি চ্যানেলগুলোই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার মনে হয়।
জাহানকে দর্শকরা শুধু নাট্যকার কিংবা নির্মাতা হিসেবে চেনেন তিনি আসলে তা ছিলেন না। এটা হয়তো অনেকেরই অজানা। সাগর জাহান ছিলেন একজন গায়ক, সুরকার ও গীতিকার। সে সঙ্গে গিটার-তবলা বাজানোতেও বেশ পারদর্শী তিনি। অনেকটা অভিমান করেই গানের জগৎ ছেড়ে দিয়েছেন সাগর জাহান। কি ছিল সে অভিমানের গল্পে? জনপ্রিয় এ নির্মাতা বলেন, ১৯৯৫ সালের কথা। তখন আমি, আমার বন্ধু ও সমসাময়িক সিনিয়র ভাইদের নিয়ে গান করতাম। সেগুলো ছিল জীবনমুখী গান। কিন্তু তখনকার সময়ে আধুনিক গানের কাছে মার খেয়ে যাচ্ছিল আমাদের গাওয়া ও সুর করা সৃষ্টিগুলো। অ্যালবামও বের করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। কোম্পানিগুলো গান চালাতে ব্যর্থ। আমার নেশায় গানের পোকা ভর করেছিল। অনেকের পরামর্শ ছিল বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেয়ার জন্য যেন লবিং করি। কিন্তু আমার কাউকে তেল মাখানো পছন্দ নয়। নিজের যোগ্যতা দিয়ে কাজ করার একটা প্রতিজ্ঞা আমার সব সময়ের। আর সে জায়গা থেকে বরাবর কাজ করে আসছি। তখনও আপস করিনি। তাই রাগ কিংবা অভিমান করেই গানের জগৎ ছেড়ে এখন আমি নাট্যকার-নির্মাতা। গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার কিংবা নির্মাতা এসব নিয়ে অনেক কথাই বললেন সাগর জাহান। এবার আসা যাক তার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে। কি করছেন এখন? এবারের ঈদের জন্য কি কি চমক থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি খণ্ড নাটক নির্মাণ করেছি। এগুলো হলো- ‘দূর পাহাড়’ ও ‘লাইফ ইজ কালারফুল’। পাশাপাশি দুটি ছয় পর্বের ধারাবাহিকের মধ্যে একটির কাজ শেষ। এর নাম ‘মাহিনের নীল তোয়ালে’। নাটকটি ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে। আর অন্যটি হলো বাংলাভিশনের জন্য যথারীতি ‘অ্যাভারেজ আসলাম’-এর সিক্যুয়াল। এর নাম ঠিক হয়নি এখনো। তবে ইচ্ছা আছে নোয়াখালীতে আসলামের নানীর বাড়িতে গিয়ে শুটিং করার। নাটক রচনা ও নির্মাণ দুটোই একসঙ্গে করছেন সাগর জাহান। ঠিক এ সময়টাতে এসে অনেক নাট্যকার নির্মাতার চোখে মুখে হতাশার ছাপ। কারণ একটাই-বর্তমান নাটকের অবস্থা ভালো নয়। চারদিকে নানামুখী সংকট। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বেশকিছু দিন আগে টিভি নাটক সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো একযোগে আন্দোলনের পথে নামে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। এ সংকট নিরসনে এ মুহূর্তে কি করণীয়? এমনই প্রশ্ন সবার। সাগর জাহান প্রসঙ্গক্রমে বলেন, আমাদের হাজারো সমস্যা। অনেক সংকট। এতগুলো সমাধান করা যাবে না। বেশি কিছু নয়। মোটা দাগে কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বসতে হবে। আর সেজন্য প্রধান তিনটি সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন বলতে পারেন তারা তো এগিয়ে এসেছেন। কিছুই তো হলো না। হ্যাঁ, উত্তরটা এটাই হবে। সবাইকে নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সঙ্গে বসতে হবে। নাটকের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে একমাত্র টিভি চ্যানেলগুলোই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার মনে হয়।