বাংলারজমিন
সীতাকুণ্ডে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৩৭ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার। নিয়ম না মেনে এসব সিলিন্ডার দোকানে বিক্রি ও ব্যবহারের ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। সরজমিন উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধের দোকান, মুদির দোকান, ইট- বালুর দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, জুতার দোকান, কসমেটিক, এলেক্ট্রনিক ও কাপড়ের দোকানেও অনিরাপদ স্থানে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস। দোকানগুলোর সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারগুলো। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের। এছাড়া একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেন- ঢাকা, খুলনাসহ অন্যান্য জেলায় জেলায় গ্যাসের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে কিন্তু সীতাকুণ্ডে ক্রেতাদের জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা তার চেয়ে বেশি নিচ্ছে। জানা গেছে, ২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তবে তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত বিধান রয়েছে। ১৮৮৪ এর দ্য এলপি গ্যাস-২০০৮ এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে লাইসেন্স ছাড়া কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি মজুত করা যাবে না বলে দেওয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ী আটটি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুতের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। একই বিধি ৭১ নম্বর ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুত রাখতে হবে। কিন্তু এই আইন কেউ মানছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার ভ্যাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতা বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী সারাদিন দু’-একটি সিলিন্ডার বিক্রি করি। এ আইন সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, যেসব দোকানে সনদ ছাড়া অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস বিক্রি করছে সেইগুলো আইনের আওতায় আনা হবে। শিগগিরই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।