বাংলারজমিন
দৌলতপুরে অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ৫
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার, ৭:৩০ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে ৫ জন অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা নিজ নিজ বাড়িতেই গ্রাম্য চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এক সপ্তাহ আগে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে স্থানীয়দের মাঝে মাংস বিক্রি করা হয়। ওই গরুর মাংস খাওয়ার পর ফকির মণ্ডলের ছেলে সজিব (২৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে নমাজ (২৮), নয়ন আলীর ছেলে রমজান আলী (৪৮) মতিয়ার রহমানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫) এবং মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সুজিনা খাতুন (৪০) অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাদের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বা ঘা দেখা দেয়। আক্রান্তরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা নিশ্চিত করেন এটা অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ। পরে তারা স্থানীয় চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই রয়েছেন বলে আক্রান্ত পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মালেক জানান, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে কিছু গরু তড়কা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পেয়ে গত সপ্তাহ থেকে ওই এলাকার পশুগুলোকে ধারাবাহিকভাবে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। আক্রান্ত পশুর স্যাম্পল ল্যাব টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে এ রোগ যাতে বিস্তার না ঘটে সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। তবে আক্রান্ত পশু থেকে কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা তিনি অবগত নন বলে জানিয়েছেন। কেউ আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন ডা. আব্দুল মালেক।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান, অসুস্থ গরুর মাংশ খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর আমার জানা নেই। তবে ওই এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের বিষয়টি জানিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান, অসুস্থ গরুর মাংশ খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর আমার জানা নেই। তবে ওই এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের বিষয়টি জানিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।