বাংলারজমিন

কুলাউড়ায় স্বল্পমূল্যে ইট দেয়ার নামে ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার, ৭:৫৯ অপরাহ্ন

কুলাউড়ায় স্বল্পমূল্যে ইট দেয়ার নামে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের এম এন এইচ ব্রিকস্‌ ফিল্ডের মালিক নজিবুর রহমান (মোহাম্মদ আলী) ও ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল দুপুরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের পক্ষে অভিযোগ করে বক্তব্য দেন কয়ছর রশীদ, মুহিবুর রহমান জাহাঙ্গীর, আজাদ আলী, আবুল কাসেম উসমানী, রুবেল আহমদ ও জালাল উদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, গত ১০ বছর ধরে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের এম এন এইচ ব্রিকস্‌ ফিল্ডের মালিক নজিবুর রহমান (মোহাম্মদ আলী) ও ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধন প্রতিবছর স্বল্পমূল্যে ইট দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন ধাপে কুলাউড়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১৩৫ জন মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা সংগ্রহ করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় ইট না দিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করেন নজিবুর রহমান ও মানিক বর্ধন। বর্তমানে মানিক বর্ধন গা ঢাকা দিয়েছেন এবং ভাটার মালিক নজিবুর রহমান (মোহাম্মদ আলী) প্রকাশ্যে এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি এখন সপরিবারে বিদেশে চলে যাওয়ার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। তারা জানান, এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল), অফিসার ইনচার্জ ও ব্রাহ্মণবাজার ইউপির চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। ইট ভাটার ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধনের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্যে নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে ইট ভাটার মালিক নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে ইটভাটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ২০১৬ সালে আমার ইট ভাটাটি ব্যবস্থাপক মানিকের কাছে লিজ দিয়েছি। সে এখন ব্যবসা পরিচালনা করছে। আপনিসহ আপনার ভাটার ব্যবস্থাপক প্রতারণা করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালিক আমি একা নই, আলী হায়দর ও নোমান নামে আরও দু’জন রয়েছেন। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, ভাটার ব্যবস্থাপক মানিক বর্ধন সবকিছু জানেন। তার সঙ্গে গ্রাহকরা লেনদেন করেছেন। কয়েকজন ভুক্তভোগী মানিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পর থেকে সে এখন উধাও রয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status