শেষের পাতা
যুক্তরাষ্ট্রে রোডশো’র সমাপনীতে সালমান এফ রহমান
আমরা ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাচ্ছি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৪ আগস্ট ২০২১, বুধবার, ৮:৪১ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রায় আমরা বিনিয়োগ চাই। প্রবাসীদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। আর প্রবাসীদের সব ধরনের জটিলতা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জটিলতা যাতে না হয় এজন্য আমরা ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাচ্ছি।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় হায়াত রিজেন্সি সান্তা ক্লারা হোটেলের বলরুমে ১০ দিনব্যাপী শেয়ারবাজার নিয়ে রোডশোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মেয়র লিসা এম গিলমোর। এ ছাড়া বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, বিএসইসি’র কমিশনার ড. মিজানুর রহমান। রোডশোর মূল বিষয় ছিল ‘রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়াল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বেসরকারি খাত। বিভিন্ন উৎপাদনশীল কোম্পানি, ব্যাংক, বিমা, মিডিয়া এবং বিদ্যুৎ খাতেও নেতৃত্ব দিচ্ছে বেসরকারি খাত। অর্থমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে নেয়া হয়েছে।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিবেশ বিনিয়োগবান্ধব। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, মুদ্রার বিনিময় হার, যুব শ্রমশক্তি এবং ইকো সিস্টেম সবকিছুই বিনিয়োগ উপযোগী। তিনি বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং স্টার্টআপ বিজনেসের সম্ভাবনা বাড়ছে। বিশেষ করে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গ্রাহক দ্রুত গতিতে বেড়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ তুলে ধরে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাপক বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশ। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার রয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। কম মূল্যে শ্রমিক, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং অন্যান্য সেবা মিলছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের প্রথম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। সে কারণে রপ্তানিতে বিভিন্ন দেশে উচ্চ শুল্ক দিতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগ করলে চীন, ভারত, ইউরোপ ও জাপানের বাজার থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিতে পারবে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সামপ্রতি পরিস্থিতি নিয়ে শিবলী বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আলোচ্য সময়ে এ খাতে বেশকিছু সংস্কার হয়েছে। আর এসব সংস্কারের সুফল মিলছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আইটিভিত্তিক স্টার্টআপকে সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এবারের বাজেটেও বিভিন্ন সহায়তার কথা বলা হয়েছে। ২৯টি হাইটেক পার্কের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব পার্কে ইউটিলিটি সুবিধা সবচেয়ে বেশি।
মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে। করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে সরকার। এগুলো বাস্তবায়নে কাজ চলছে। সবকিছু মিলে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে আর্কষণীয় পরিবেশ রয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকোর সান্তা ক্লারা শহরের মেয়র লিসা এম গিলমোর বলেছেন, সান্তা ক্লারাতে অনুষ্ঠিত ‘ রোড শো’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে দু’দেশের প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এ রোড শো সম্ভাবনার অনেক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
লিসা এম গিলমোর বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল যোগাযোগ দিন দিন সমপ্রসারিত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশটির সামাজিক সমপ্রীতি অর্জিত হয়েছে। এ রোড শোর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে সহায়তা করবে।
লিসা এম গিলমোর বলেন, সান্তা ক্লারার মেয়র হিসেবে আমি এ অনুষ্ঠান আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই শহর আপনাদের অতিথি হিসেবে পেয়ে সত্যিকার অর্থেই গর্বিত। কোভিডের কারণে প্রায় দেড় বছরের মতো সময় ধরে এখানে সব কিছু বন্ধ ছিল। অনেকদিন পর আমি কনভেনশন সেন্টার এলাকায় প্রথম অনুষ্ঠান করতে এসেছি। আমি এখানে এসে খুব খুশি হয়েছি। এ ইভেন্টটি করতে আমাদের শহরকে বেছে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এজন্য আমি সত্যিই খুব সন্তুষ্ট। অনুষ্ঠিত এ রোড শো’তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে সহযোগিতার প্রতিফলন ঘটবে। সিলিকন ভ্যালিতে আমাদের কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশের মতো উদীয়মান দেশের ব্যবসায় সমপ্রসারণে সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, গত এক দশক ধরে তার (শেখ হাসিনা) ভিশন এবং দিক নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশটি কয়েক ধাপ এগিয়েছে।
রোড শো’তে শুভেচ্ছা বক্তব্যে শেষে সান্তা ক্লারার মেয়র লিসা এম. গিলমোর সালমান এফ রহমান ও অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে মেয়রাল সার্টিফিকেট প্রদান করেন (মেয়রের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি সনদ)। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সান্তা ক্লারার মেয়রকে নকশি কাঁথা উপহার দেয়া হয়। মেয়র গিলমোর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রেস্ট দেন। ক্রেস্টটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে সালমান এফ রহমানের হাতে তুলে দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহরের মধ্যে গত ২৬শে জুলাই নিউ ইয়র্কে প্রথম পর্ব, ২৮শে জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্বিতীয় পর্ব, ৩০শে জুলাই লস অ্যানজেলেসে তৃতীয় পর্ব এবং ২রা আগস্ট সান ফ্রান্সিসকোতে চতুর্থ ও শেষ পর্বের রোড শো সাফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে আমেরিকার চারটি শহরে বিএসইসি’র উদ্যোগে আয়োজিত এই রোড শোকে আরও এগিয়ে নিতে অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটন।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় হায়াত রিজেন্সি সান্তা ক্লারা হোটেলের বলরুমে ১০ দিনব্যাপী শেয়ারবাজার নিয়ে রোডশোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মেয়র লিসা এম গিলমোর। এ ছাড়া বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, বিএসইসি’র কমিশনার ড. মিজানুর রহমান। রোডশোর মূল বিষয় ছিল ‘রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়াল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বেসরকারি খাত। বিভিন্ন উৎপাদনশীল কোম্পানি, ব্যাংক, বিমা, মিডিয়া এবং বিদ্যুৎ খাতেও নেতৃত্ব দিচ্ছে বেসরকারি খাত। অর্থমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে নেয়া হয়েছে।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিবেশ বিনিয়োগবান্ধব। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, মুদ্রার বিনিময় হার, যুব শ্রমশক্তি এবং ইকো সিস্টেম সবকিছুই বিনিয়োগ উপযোগী। তিনি বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং স্টার্টআপ বিজনেসের সম্ভাবনা বাড়ছে। বিশেষ করে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গ্রাহক দ্রুত গতিতে বেড়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ তুলে ধরে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাপক বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশ। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার রয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। কম মূল্যে শ্রমিক, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং অন্যান্য সেবা মিলছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের প্রথম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। সে কারণে রপ্তানিতে বিভিন্ন দেশে উচ্চ শুল্ক দিতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগ করলে চীন, ভারত, ইউরোপ ও জাপানের বাজার থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিতে পারবে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সামপ্রতি পরিস্থিতি নিয়ে শিবলী বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আলোচ্য সময়ে এ খাতে বেশকিছু সংস্কার হয়েছে। আর এসব সংস্কারের সুফল মিলছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আইটিভিত্তিক স্টার্টআপকে সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এবারের বাজেটেও বিভিন্ন সহায়তার কথা বলা হয়েছে। ২৯টি হাইটেক পার্কের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব পার্কে ইউটিলিটি সুবিধা সবচেয়ে বেশি।
মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে। করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে সরকার। এগুলো বাস্তবায়নে কাজ চলছে। সবকিছু মিলে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে আর্কষণীয় পরিবেশ রয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকোর সান্তা ক্লারা শহরের মেয়র লিসা এম গিলমোর বলেছেন, সান্তা ক্লারাতে অনুষ্ঠিত ‘ রোড শো’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে দু’দেশের প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এ রোড শো সম্ভাবনার অনেক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
লিসা এম গিলমোর বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল যোগাযোগ দিন দিন সমপ্রসারিত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশটির সামাজিক সমপ্রীতি অর্জিত হয়েছে। এ রোড শোর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে সহায়তা করবে।
লিসা এম গিলমোর বলেন, সান্তা ক্লারার মেয়র হিসেবে আমি এ অনুষ্ঠান আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই শহর আপনাদের অতিথি হিসেবে পেয়ে সত্যিকার অর্থেই গর্বিত। কোভিডের কারণে প্রায় দেড় বছরের মতো সময় ধরে এখানে সব কিছু বন্ধ ছিল। অনেকদিন পর আমি কনভেনশন সেন্টার এলাকায় প্রথম অনুষ্ঠান করতে এসেছি। আমি এখানে এসে খুব খুশি হয়েছি। এ ইভেন্টটি করতে আমাদের শহরকে বেছে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এজন্য আমি সত্যিই খুব সন্তুষ্ট। অনুষ্ঠিত এ রোড শো’তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে সহযোগিতার প্রতিফলন ঘটবে। সিলিকন ভ্যালিতে আমাদের কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশের মতো উদীয়মান দেশের ব্যবসায় সমপ্রসারণে সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, গত এক দশক ধরে তার (শেখ হাসিনা) ভিশন এবং দিক নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশটি কয়েক ধাপ এগিয়েছে।
রোড শো’তে শুভেচ্ছা বক্তব্যে শেষে সান্তা ক্লারার মেয়র লিসা এম. গিলমোর সালমান এফ রহমান ও অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে মেয়রাল সার্টিফিকেট প্রদান করেন (মেয়রের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি সনদ)। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সান্তা ক্লারার মেয়রকে নকশি কাঁথা উপহার দেয়া হয়। মেয়র গিলমোর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রেস্ট দেন। ক্রেস্টটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে সালমান এফ রহমানের হাতে তুলে দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহরের মধ্যে গত ২৬শে জুলাই নিউ ইয়র্কে প্রথম পর্ব, ২৮শে জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্বিতীয় পর্ব, ৩০শে জুলাই লস অ্যানজেলেসে তৃতীয় পর্ব এবং ২রা আগস্ট সান ফ্রান্সিসকোতে চতুর্থ ও শেষ পর্বের রোড শো সাফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে আমেরিকার চারটি শহরে বিএসইসি’র উদ্যোগে আয়োজিত এই রোড শোকে আরও এগিয়ে নিতে অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটন।