বাংলারজমিন

ইউপি নির্বাচনী হালচাল

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর আহত ৩০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:২৭ অপরাহ্ন

জালভোট, কেন্দ্র দখল, হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের মধ্যদিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোট শেষ হয়েছে। ভোট চলাকালীন সময়ে দুপুর তোরাবগঞ্জের উত্তর চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী  ফয়সাল আহমদ রতন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা আশরাফুল জামাল রাসেল সমর্থকদের মধ্যে ধায়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিঙ্কুর গাড়িসহ ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মধ্য চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  তোরাবগঞ্জ ইসলাম পাড়া আনসার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে রামগতির পোড়াগাছার  কোডেক কলোনির নোমানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৫ জন আহত হয়। একই উপজেলার চররমিজ ইউপি’র উত্তর-পূর্ব চর আফজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজাদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও চররমিজ দক্ষিণ পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে আরও ১০জন আহত হন। আহতদের রামগতি, কমলনগর ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া চরবাদাম, হাজীরহাট ও চরফলকন ইউপি’র কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
তবে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ, প্রতিটি ইউপি’র ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কা সিল মারার অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া পথে পথে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা ও মারধর করা হয়। এদিকে তোরাবগঞ্জ ইউপি’র আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমদ রতন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ, প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে নৌকা মার্কা সিল মারে। এ সব বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ হয়নি। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে জালভোট দিতে বাধা দেয়ায় কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। এছাড়া আমার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হন।
তবে নৌকার প্রার্থী মির্জা আশরাফুল জামাল রাসেলের দাবি- বিনা উস্কানিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রতনের লোকজন নৌকার সমর্থকদের ওপর অতকির্ত হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
একই অভিযোগ করে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসা ভোটার রহিম উদ্দিন, বিলকিছ বেগম, ছালামত উল্যাহসহ অনেকে বলেন, প্রকাশ্য নৌকা মার্কা সিল মারতে হয়। পছন্দের কোনো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। এটি কোনো ভোট নয়, যেন জাল ও কেন্দ্র দখলের মহোৎসব চলছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মধ্য চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল কুদ্দুস জানান, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কমলনগর ও রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন ও সোলাইমান উদ্দিন জানান, কয়েকটি কেন্দ্রে বিক্ষিপ্তভাবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসব বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status