বাংলারজমিন
গাংনীর সীমান্তবর্তী এক গ্রামেই ১৩ জন করোনা আক্রান্ত
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২১, রবিবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামে ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৩৭ জনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যেে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২৩ জন। তবে উপজেলার সীমান্তবর্তী তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামেই ১৩ জন, মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৯ জন ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৫ জন। মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার নাসির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নতুন প্রাপ্ত রিপোর্টের ১০২টির মধ্যে পজিটিভ ৩৭ জনের। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১৫৪ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদরে ৩০, গাংনীতে ৭৬ ও মুজিবনগর উপজেলায় ৪৮ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ জন। এর মধ্যে মেহেরপুর সদরে ১০, গাংনীতে ১০ ও মুজিবনগর উপজেলায় ৬ জন। আক্রান্তের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯১৬ জন।
এদিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ভারতে বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণে এ রোগে সীমান্তবর্তী গ্রামে প্রভাব বিস্তার করছে।
কারণ মেহেরপুরের সীমান্তের ওপারে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা। এ জেলার করিমপুর, তেহট্টি ফুলবাড়িয়া, বারুইপোতা, খানজিপুর, মোবারকপুর, লালবাজার , কৃষ্ণনগর, বেতায়, গোবিন্দপুর, হৃদয়পুর, সাহাপুর, নবীননগর গ্রাম। সীমান্ত সিলগালা থাকা সত্ত্বেও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে শত শত ভারতীয় কৃষকরা প্রবেশ করছেন নোমান্সল্যান্ডে। ফলে দু’দেশের কৃষকরা পাশাপাশি মাঠের ক্ষেতে কাজ করছেন। ক্ষেতে কাজ করার সময় দু’দেশের কৃষকরা কখনও কখনও এক সাথে মেলামেশা করছেন।
গাংনীর সীমান্তবর্তী মৈত্রাপুর গ্রামের কৃষক মোকাদ্দেস আলী জানান, আমরা সীমান্তবর্তী গ্রামে বসবাস করি। মাত্র কয়েকশ’ মিটার দূরে ভারত। তফাৎ শুধু কাঁটাতার। একই জমির পাশাপাশি কাজ করতে হলে, দু’দেশের কৃষকদের মেলামেশা স্বাভাবিকভাবে হয়ে ওঠে।
করোনার এ প্রভাব বিস্তারের ফলে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় লকডাউন খুবই জরুরি বলে মনে করছেন এলাকার সচেতনমহল।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নতুন প্রাপ্ত রিপোর্টের ১০২টির মধ্যে পজিটিভ ৩৭ জনের। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১৫৪ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদরে ৩০, গাংনীতে ৭৬ ও মুজিবনগর উপজেলায় ৪৮ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ জন। এর মধ্যে মেহেরপুর সদরে ১০, গাংনীতে ১০ ও মুজিবনগর উপজেলায় ৬ জন। আক্রান্তের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯১৬ জন।
এদিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ভারতে বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণে এ রোগে সীমান্তবর্তী গ্রামে প্রভাব বিস্তার করছে।
কারণ মেহেরপুরের সীমান্তের ওপারে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা। এ জেলার করিমপুর, তেহট্টি ফুলবাড়িয়া, বারুইপোতা, খানজিপুর, মোবারকপুর, লালবাজার , কৃষ্ণনগর, বেতায়, গোবিন্দপুর, হৃদয়পুর, সাহাপুর, নবীননগর গ্রাম। সীমান্ত সিলগালা থাকা সত্ত্বেও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে শত শত ভারতীয় কৃষকরা প্রবেশ করছেন নোমান্সল্যান্ডে। ফলে দু’দেশের কৃষকরা পাশাপাশি মাঠের ক্ষেতে কাজ করছেন। ক্ষেতে কাজ করার সময় দু’দেশের কৃষকরা কখনও কখনও এক সাথে মেলামেশা করছেন।
গাংনীর সীমান্তবর্তী মৈত্রাপুর গ্রামের কৃষক মোকাদ্দেস আলী জানান, আমরা সীমান্তবর্তী গ্রামে বসবাস করি। মাত্র কয়েকশ’ মিটার দূরে ভারত। তফাৎ শুধু কাঁটাতার। একই জমির পাশাপাশি কাজ করতে হলে, দু’দেশের কৃষকদের মেলামেশা স্বাভাবিকভাবে হয়ে ওঠে।
করোনার এ প্রভাব বিস্তারের ফলে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় লকডাউন খুবই জরুরি বলে মনে করছেন এলাকার সচেতনমহল।