অনলাইন

প্রেমের ফুল(পাঁচ)

চীনের চেয়ারম্যান-এর তাপিত হৃদয় প্ৰেম খুঁজেছে বারবার

১৩ জুন ২০২১, রবিবার, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

(বলা হয়ে থাকে প্রেমের ফাঁদপাতা ভুবনে। এই ফাঁদে প্রতিনিয়ত পড়ছে আমজনতা থেকে শুরু করে বিশিষ্টজন। এই ধারাবাহিকে বিশিষ্টজনদের প্রেমকাহিনী প্রকাশিত হয় প্রতি রোববার। আজ- চীনের চেয়ারম্যানের হৃদয়ের কাহিনী। লিখছেন জয়ন্ত চক্রবর্তী )

চারটি বিয়ে করেছেন তিনি। দশ সন্তান তার এই চার বিয়ে থেকে। তবু চীনের চেয়ারম্যান মাও জে দং প্ৰেম খুঁজে বেরিয়েছেন জীবনের শেষদিন পর্যন্ত। বজ্রকঠিন মানসিকতা, বিশ্বে নিও কমিউনিজমের প্রতিভূ, নির্মম বাস্তববাদী মাও জে দং প্রেমের জন্য কাতর ছিলেন। সারাজীবন তিনি যৌনতা আর প্রেমের আবর্তে হাবুডুবু খেয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত প্রেমের সন্ধান কি তিনি পেয়েছিলেন? ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৬-এ মাও’র শেষদিন পর্যন্ত তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. লি জিউ সু এর প্রাইভেট লাইফ অফ মাও জে দং বইটি থেকে তার হদিশ মেলেনি। মাও এর মৃত্যুর পর আমেরিকা থেকে এই বই প্রকাশিত হয়। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি যদিও ডা. লি’র তথ্যগুলোকে প্রোপাগান্ডা ম্যাটিরিয়াল বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু অনেকেই মনে করেন, চেয়ারম্যান মাওয়ের জীবনচর্যাতেই এই তথ্যের উত্তর আছে। ১৮৯৩ সালে জন্ম নেয়া মাও জে দং প্রথম বিয়ে করেন ১৯০৭ সালে লিউ ইউ জু কে। লিউ-এর মৃত্যুর পর ১৯২০-এ বিয়ে করেন ইয়াং কাহুইকে। ১৯৩১-এ কাহুই এর মৃত্যুর পর তিনি বিয়ে করেন হে জি ঝিনকে। সেই বিয়েও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৩৭-এ জি ঝিনের মৃত্যুর পর আটত্রিশে তিনি বিয়ে করেন জিয়ান কুইঙকে এবং এই বিয়েটা টিকে যায়। পরবর্তীকালে চীনের কুখ্যাত গ্যাং অফ ফোর-এর অন্তর্ভুক্ত হন মাও এর এই স্ত্রী। ডা. লি লিখেছেন, চার স্ত্রী এবং দশ সন্তান নিয়েও পরিতৃপ্ত ছিলেন না চেয়ারম্যান। তিনি যৌনতা ও প্রেমের মধ্যে ফারাক করতে পারতেন না বলে বারবার মাথাকুটে মরেছেন। তরুণী নর্তকীদের বিছানায় নিয়ে যেতে তিনি পারঙ্গম ছিলেন, কিন্তু যথার্থ প্ৰেম খোঁজার ব্যাপারে ছিলেন না। জীবনের শেষদিকে ব্যক্তিগত সেক্রেটারি মিস চেনের মধ্যে কিছুটা প্রেমের উন্মেষ দেখেছিলেন চেয়ারম্যান। কিন্তু সেটা পরিণতি পায়নি। ডা. লি লিখেছেন, স্নান করতেন না মাও। এমনকি দাঁতও মাজতেন না। স্নান করার বদলে গা মুছতেন গরম জলে। এই কাজে নিয়োজিত ছিল তরুণ-তরুণীর দল। তাদের মধ্যেও প্ৰেম খুঁজতেন প্ৰেম বুভুক্ষু চেয়ারম্যান। সকালে দাঁত না মেজে তিনি চা দিয়ে মুখ কুলকুচি করতেন। তারপর চা পাতা চিবিয়ে খেতেন। ডা. লি লিখেছেন, সত্তর বছরের পরও তার যৌনক্ষমতা ছিল অসীম। যদিও তিনি প্রেমের সন্ধানে মজেছেন আজীবন। মাও জে দং সত্যি প্রেমের সন্ধান কি পাননি আর তাই কি কমিউনিজম-এর প্রতি তার প্ৰেম অনির্বাণ হয়ে থাকল? ইতিহাস এই প্রশ্নের জবাব দেবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status