প্রথম পাতা
সরজমিন মৌলভীবাজার
নেই পিসিআর ল্যাব ৭ আইসিইউ’ই ভরসা
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
১০ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৩ অপরাহ্ন
প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার জেলায় হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এর পরও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে মানুষ। করোনা হটস্পট চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে আসা মৌলভীবাজারে প্লাস্টিক সামগ্রীর ভ্রাম্যমাণ ১৩২ জন ব্যবসায়ীর মধ্যে ৩০ জনের করোনা পজেটিভ হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে মৌলভীবাজার জুড়ে। উপরন্তু পিসিআর ল্যাব না থাকা ও আইসিউ সংকটে ভোগান্তি উঠেছে চরমে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গেল ১০ দিনে ৭২৪ জনের মধ্যে ১১৪ জনের করোনা পজেটিভ আসে। জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৯০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হিসেবে মারা গেছেন ৩০ জন। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যানে ৫০ জন।
সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় করোনা সংক্রমের ঝুঁকির শীর্ষে মৌলভীবাজার। তার পরও এখানে নেই করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব। আর আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ সংকট। সরকারি হাসপাতালে ৪টি। আর প্রাইভেটে ৩টি। এই ৭টি আইসিইউ ভরসা জেলাবাসীর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় এ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগকে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের দীর্ঘ অপেক্ষায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নমুনা প্রদানকারীকে। রিপোর্টের ধীরগতির কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির অজান্তেই অন্যজনও হন সংক্রমিত। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য তখন থেকে জেলাবাসীর পক্ষে জোরালো দাবি ওঠে দ্রুত করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপনের। হয় আন্দোলন। এ নিয়ে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ও স্থানীয় দুজন এমপি ল্যাব স্থাপনের সুপারিশ (ডিও লেটার দেন) করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। কিন্তু সে দাবি আজও উপেক্ষিত।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৭টি উপজেলার সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। ২-৩ দিন পর আসছে রিপোর্ট। প্রতিদিন জেলায় ৪০-৫০টি নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। ২৩ লক্ষাধিক লোকের এই জেলায় আনুপাতিক হারে খুবই অপ্রতুল। জেলায় করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালসহ ছয়টি উপজেলা হাসপাতালে ১৪১টি বেড বরাদ্দ রয়েছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান বলেন, জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পিসিআর ল্যাব ও পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ। এই জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন- এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের।
সিভিল সার্জন চৌধুরী ডা. জালাল উদ্দিন মুর্শেদ মানবজমিনকে বলেন, পিসিআর ল্যাবের প্রক্রিয়াটি চলমান। তিনি বলেন, এ মুুহূর্তে লকডাউন নয়। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে বলছি।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান মানবজমিনকে জানান, পিসিআর ল্যাব ও পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ স্থাপনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন। তিনি বলেন, কোভিট-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভায় জেলায় লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। জেলাজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে শনিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোরভাবে সর্বোচ্চ আইনের প্রয়োগ করা হবে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গেল ১০ দিনে ৭২৪ জনের মধ্যে ১১৪ জনের করোনা পজেটিভ আসে। জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৯০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হিসেবে মারা গেছেন ৩০ জন। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যানে ৫০ জন।
সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় করোনা সংক্রমের ঝুঁকির শীর্ষে মৌলভীবাজার। তার পরও এখানে নেই করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব। আর আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ সংকট। সরকারি হাসপাতালে ৪টি। আর প্রাইভেটে ৩টি। এই ৭টি আইসিইউ ভরসা জেলাবাসীর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় এ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগকে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের দীর্ঘ অপেক্ষায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নমুনা প্রদানকারীকে। রিপোর্টের ধীরগতির কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির অজান্তেই অন্যজনও হন সংক্রমিত। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য তখন থেকে জেলাবাসীর পক্ষে জোরালো দাবি ওঠে দ্রুত করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপনের। হয় আন্দোলন। এ নিয়ে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ও স্থানীয় দুজন এমপি ল্যাব স্থাপনের সুপারিশ (ডিও লেটার দেন) করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। কিন্তু সে দাবি আজও উপেক্ষিত।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৭টি উপজেলার সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। ২-৩ দিন পর আসছে রিপোর্ট। প্রতিদিন জেলায় ৪০-৫০টি নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। ২৩ লক্ষাধিক লোকের এই জেলায় আনুপাতিক হারে খুবই অপ্রতুল। জেলায় করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালসহ ছয়টি উপজেলা হাসপাতালে ১৪১টি বেড বরাদ্দ রয়েছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান বলেন, জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পিসিআর ল্যাব ও পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ। এই জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন- এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের।
সিভিল সার্জন চৌধুরী ডা. জালাল উদ্দিন মুর্শেদ মানবজমিনকে বলেন, পিসিআর ল্যাবের প্রক্রিয়াটি চলমান। তিনি বলেন, এ মুুহূর্তে লকডাউন নয়। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে বলছি।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান মানবজমিনকে জানান, পিসিআর ল্যাব ও পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ স্থাপনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন। তিনি বলেন, কোভিট-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভায় জেলায় লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। জেলাজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে শনিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোরভাবে সর্বোচ্চ আইনের প্রয়োগ করা হবে।