বাংলারজমিন
কাঞ্চন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্র মাদকসেবীদের আখড়া
জয়নাল আবেদীন জয়, রূপগঞ্জ থেকে
১৯ মে ২০২১, বুধবার, ৮:১৭ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নানা জটিলতা দেখিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ঠিকমতো না আসার কারণে রোগীও আসে না কেন্দ্রটিতে। ফলে পরিত্যক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে লক্ষাধিক বাসিন্দার জন্য নির্মিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা নাসির মাওলা জানান, মাদকসেবীরা দিন-দুপুরে এখানে মাদকের আসর বসায়। ফলে সাধারণ রোগীরা এখানে আসতে ভয় পায়। এ ছাড়া লোকবল ও ওষুধ সংকট তো রয়েছেই। তাই রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ছুটছেন অন্যত্র। জানা গেছে, বিগত ১৯৯২ সালে কাঞ্চন পৌর এলাকার বাসিন্দা হাজী সেরাজুল মোল্লার দান করা ৩০ শতক জমিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। বিগত ২৭ বছর ধরে এখানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন একই এলাকার বাসিন্দা এসওসিএমও জহিরুল ইসলাম। এ ছাড়া ইউনিয়নভিত্তিক পরিদর্শক হিসেবে লুৎফর রহমান রয়েছেন দায়িত্বে। বিধি মোতাবেক এখানে একজন করে এসওসিএমও, ফার্মাসিস্ট, এফডব্লিউভি, আয়া এবং এমএলএসএস থাকার নিয়ম থাকলেও ফার্মাসিস্ট ও এলএমএসএস নিয়োগ নেই শুরু থেকেই। সরজমিন দেখা গেছে, কাঞ্চন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রবেশ মুখে প্রধান ফটকটি ভাঙাচোরা। ভেতরে আগাছার জঙ্গল। অপরিচ্ছন্ন আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে রয়েছে পচা পানির ডোবা। পচা পানির দুর্গন্ধে এখানে রোগী ও চিকিৎসকদের টেকা দায়। দায়িত্বরত এসওসিএমও জহিরুল ইসলাম মিয়া এবং এফডব্লিউভি সুমা রানী ছাড়া কেউ কার্যালয়ে উপস্থিত নেই। খাতা কলমে ইউনিয়ন পরিদর্শক পদে লুৎফর রহমান নামের একজন দায়িত্বে থাকলেও নিয়মিত অফিস করেন না তিনি। লুৎফর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অফিসের কাজেই বাইরে থাকেন তিনি।
দায়িত্বরত এসওসিএমও জহিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, রোগীরা সেবা নিতে আসেন। তবে তাদের মন মতো ওষুধ দিতে না পারায় অনেকে ক্ষোভ জানিয়ে চলে যান। এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার লুৎফুন্নাহার বেগম বলেন, কাঞ্চন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্যাগুলো জেনেছি। ঊর্ধ্বতন মহলকে এসব বিষয়ে জানিয়েছি আমরা। অচিরেই এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রাণ ফিরে পাবে। এ ব্যাপারে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র আলহাজ রফিকুল ইসলাম বলেন, কাঞ্চন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের অংশে বালি ভরাট করে এবং সামনের অংশে প্রাচীর দিয়ে নিরাপদ পরিবেশ করে দিতে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়েছি। যা আগামী অর্থবছরেই সমাধান হবে বলে আশা করছি।
পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা নাসির মাওলা জানান, মাদকসেবীরা দিন-দুপুরে এখানে মাদকের আসর বসায়। ফলে সাধারণ রোগীরা এখানে আসতে ভয় পায়। এ ছাড়া লোকবল ও ওষুধ সংকট তো রয়েছেই। তাই রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ছুটছেন অন্যত্র। জানা গেছে, বিগত ১৯৯২ সালে কাঞ্চন পৌর এলাকার বাসিন্দা হাজী সেরাজুল মোল্লার দান করা ৩০ শতক জমিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। বিগত ২৭ বছর ধরে এখানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন একই এলাকার বাসিন্দা এসওসিএমও জহিরুল ইসলাম। এ ছাড়া ইউনিয়নভিত্তিক পরিদর্শক হিসেবে লুৎফর রহমান রয়েছেন দায়িত্বে। বিধি মোতাবেক এখানে একজন করে এসওসিএমও, ফার্মাসিস্ট, এফডব্লিউভি, আয়া এবং এমএলএসএস থাকার নিয়ম থাকলেও ফার্মাসিস্ট ও এলএমএসএস নিয়োগ নেই শুরু থেকেই। সরজমিন দেখা গেছে, কাঞ্চন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রবেশ মুখে প্রধান ফটকটি ভাঙাচোরা। ভেতরে আগাছার জঙ্গল। অপরিচ্ছন্ন আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে রয়েছে পচা পানির ডোবা। পচা পানির দুর্গন্ধে এখানে রোগী ও চিকিৎসকদের টেকা দায়। দায়িত্বরত এসওসিএমও জহিরুল ইসলাম মিয়া এবং এফডব্লিউভি সুমা রানী ছাড়া কেউ কার্যালয়ে উপস্থিত নেই। খাতা কলমে ইউনিয়ন পরিদর্শক পদে লুৎফর রহমান নামের একজন দায়িত্বে থাকলেও নিয়মিত অফিস করেন না তিনি। লুৎফর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অফিসের কাজেই বাইরে থাকেন তিনি।
দায়িত্বরত এসওসিএমও জহিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, রোগীরা সেবা নিতে আসেন। তবে তাদের মন মতো ওষুধ দিতে না পারায় অনেকে ক্ষোভ জানিয়ে চলে যান। এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার লুৎফুন্নাহার বেগম বলেন, কাঞ্চন পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্যাগুলো জেনেছি। ঊর্ধ্বতন মহলকে এসব বিষয়ে জানিয়েছি আমরা। অচিরেই এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রাণ ফিরে পাবে। এ ব্যাপারে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র আলহাজ রফিকুল ইসলাম বলেন, কাঞ্চন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের অংশে বালি ভরাট করে এবং সামনের অংশে প্রাচীর দিয়ে নিরাপদ পরিবেশ করে দিতে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়েছি। যা আগামী অর্থবছরেই সমাধান হবে বলে আশা করছি।