বাংলারজমিন
হালুয়াঘাটে ইজিপিপি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বিক্ষোভ
ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) থেকে
১৭ মে ২০২১, সোমবার, ৮:১১ অপরাহ্ন
অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ৮নং নড়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। যার বিচারের দাবিতে গতকাল বিকালে উপজেলার মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইজিপিপি প্রকল্পের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা নিজেরাই জানে না তাদের নামে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। নিয়ম মাফিক ৮নং নড়াইল ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় ৩৪৭ জন শ্রমিকের জনপ্রতি দৈনিক হাজিরা ২শ’ টাকা করে প্রতি ৪০ দিনে ৮ হাজার টাকা উত্তোলন করার কথা। কিন্তু তালিকায় ছবি, ভোটার আইডি কার্ড নং ও স্বাক্ষর থাকলেও উপকারভোগী শ্রমিকরা বলছে কখনোই টাকা পায়নি তারা। এমনকি ইজিপিপি প্রকল্পের কোনো ধারণাই নেই তাদের কাছে। উপকারভোগী তালিকায় দেখা যায়, একই নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নং একাধিকবারও ব্যবহার করা হয়েছে। কুমুরিয়া গ্রামের চম্পা আজিমের নামে অগ্রণী ব্যাংক ধারা বাজার শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তিনবার। বাদে খরমা গ্রামের বিনা মারাকের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে দুইটি। এমন অনেক নাম রয়েছে যাদের অবস্থান নিজ এলাকায় থাকলেও ঢাকা বা অন্যত্র চাকরি করছেন। একই পরিবারে পিতা-পুত্র-কন্যার নামও রয়েছে। কিন্তু টাকা কে উত্তোলন করে তা নিজেরা অবগত নয়। ইজিপিপি প্রকল্পের তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগী কুমুরিয়া গ্রামের বাধন ঘাগড়া বলেন, শুনেছি তালিকায় আমার নাম আছে। কেমনে আমার নাম গেছে আমি জানি না। আমি কোনো দিন ব্যাংকেও যাইনি, টাকাও তুলেনি। একই অভিযোগ করে কুমুরিয়া গ্রামের কনিলা ও লাক্সমি মানখিন। প্রণালী গাগ্রা ও সবতি গাগ্রা বলেন, কেন আমাদের নাম তালিকায় দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছে? এর বিচার চাই আমরা।
এ বিষয়ে ধারা অগ্রণী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মো. রাসেল মিয়া বলেন, উপকারভোগীর উপস্থিতিতেই আমরা টাকা বিতরণ করে থাকি।
তবে অনিয়মের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলেছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পের সবচেয়ে ভালো কাজ হয়েছে। যে অভিযোগটি হয়েছে তা প্রতিহিংসাবশত করেছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য।
জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগকারী যুবলীগ নেতা বদরুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া তালিকা তৈরি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আরো কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। ভুয়া মাস্টাররোল করে ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তায় বিগত ৫ বছর যাবৎ এ অনিয়ম করে আসছে বলে তার দাবি।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, শুনেছি জেলা প্রশাসক বরাবরে ৮নং নড়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়েছে। আমার কাছে আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জানা গেছে, ইজিপিপি প্রকল্পের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা নিজেরাই জানে না তাদের নামে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। নিয়ম মাফিক ৮নং নড়াইল ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় ৩৪৭ জন শ্রমিকের জনপ্রতি দৈনিক হাজিরা ২শ’ টাকা করে প্রতি ৪০ দিনে ৮ হাজার টাকা উত্তোলন করার কথা। কিন্তু তালিকায় ছবি, ভোটার আইডি কার্ড নং ও স্বাক্ষর থাকলেও উপকারভোগী শ্রমিকরা বলছে কখনোই টাকা পায়নি তারা। এমনকি ইজিপিপি প্রকল্পের কোনো ধারণাই নেই তাদের কাছে। উপকারভোগী তালিকায় দেখা যায়, একই নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নং একাধিকবারও ব্যবহার করা হয়েছে। কুমুরিয়া গ্রামের চম্পা আজিমের নামে অগ্রণী ব্যাংক ধারা বাজার শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তিনবার। বাদে খরমা গ্রামের বিনা মারাকের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে দুইটি। এমন অনেক নাম রয়েছে যাদের অবস্থান নিজ এলাকায় থাকলেও ঢাকা বা অন্যত্র চাকরি করছেন। একই পরিবারে পিতা-পুত্র-কন্যার নামও রয়েছে। কিন্তু টাকা কে উত্তোলন করে তা নিজেরা অবগত নয়। ইজিপিপি প্রকল্পের তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগী কুমুরিয়া গ্রামের বাধন ঘাগড়া বলেন, শুনেছি তালিকায় আমার নাম আছে। কেমনে আমার নাম গেছে আমি জানি না। আমি কোনো দিন ব্যাংকেও যাইনি, টাকাও তুলেনি। একই অভিযোগ করে কুমুরিয়া গ্রামের কনিলা ও লাক্সমি মানখিন। প্রণালী গাগ্রা ও সবতি গাগ্রা বলেন, কেন আমাদের নাম তালিকায় দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছে? এর বিচার চাই আমরা।
এ বিষয়ে ধারা অগ্রণী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মো. রাসেল মিয়া বলেন, উপকারভোগীর উপস্থিতিতেই আমরা টাকা বিতরণ করে থাকি।
তবে অনিয়মের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলেছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পের সবচেয়ে ভালো কাজ হয়েছে। যে অভিযোগটি হয়েছে তা প্রতিহিংসাবশত করেছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য।
জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগকারী যুবলীগ নেতা বদরুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া তালিকা তৈরি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আরো কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। ভুয়া মাস্টাররোল করে ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তায় বিগত ৫ বছর যাবৎ এ অনিয়ম করে আসছে বলে তার দাবি।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, শুনেছি জেলা প্রশাসক বরাবরে ৮নং নড়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়েছে। আমার কাছে আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।