বাংলারজমিন
খুনের পর ভাঙচুর-লুটপাট আতঙ্ক সরাইলের পাকশিমুলে
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১৪ এপ্রিল ২০২১, বুধবার, ৯:০১ অপরাহ্ন
দু’পক্ষের বিরোধে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সরাইলের পাকশিমুলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের পুরুষরা। জানা যায়, গত ৭ই এপ্রিল পাকশিমুল দক্ষিণপাড়া গ্রামের কাসেম মিয়ার জমিতে কাজ করার সময় শাহ্ আলী ও সিদ্দিক মিয়ার পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এ ঘটনার মীমাংসা করে দেন। কিন্তু ঘটনার রাতে শাহ্ আলীর লোকজন গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার মা নাজমা বেগম পাকশিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সঙ্গে তার ছেলে জড়িত ছিল না। দিনভর অটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজন চেয়ারম্যান সাইফুলের সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী মালেকা বেগম জানান, তার ঘর থেকে সোনাদানাসহ সবকিছুই লুট হয়ে গেছে। পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার ববি জানান, গ্রামের দু’পক্ষ দ্বন্দ্বে জড়ালে আমার স্বামী সেটি মীমাংসা করে দেন। খুনের ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার স্বামীকে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, আমার গোষ্ঠীর লোক খুন হলো, উল্টো আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর পেছনে সাবেক চেয়ারম্যান কাসেম আলীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.এম.এম. নাজমুল আহমেদ জানান, খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।