এক্সক্লুসিভ

দেশে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা তৈরি করা হবে: তাজুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার

৬ ডিসেম্বর ২০২০, রবিবার, ৮:১১ অপরাহ্ন

স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতি এবং একটি কাঠামোতে আনতে দেশে ‘জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা’ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন- এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন অংশীদারদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে মূলধারায় আনা এবং স্বেচ্ছাসেবাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানে সহায়ক হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২০’ ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেক জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেন। এখন নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে স্বেচ্ছাসেবকের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু স্বাধীনতার পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৩ সালের ১লা জুলাই দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি চালু হয়। তখনই তার চিন্তা-চেতনায় স্বেচ্ছাসেবীদের বিষয়ে ভেবেছেন। পরবর্তীতে আর জাতীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা তৈরি হয়নি। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারি আতঙ্কের মধ্যেও ছাত্র-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মী এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেকেই অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেকোনো দুর্যোগে, আপদে-বিপদে এদেশের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এটি এদেশের মানুষের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা মহৎ কাজ করেন, তাদের স্বীকৃতি দেয়ার মতো কোনো প্ল্যাটফরম নেই। তা জানার পরে ইউএনভি’র অনুরোধে মন্ত্রী একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বলে জানান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশে বিএনসিসি, গার্লস গাইড, স্কাউটসসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য ছেলেমেয়ে যুক্ত আছে। এর সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধিসহ আগ্রহী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে এটি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত দেশ বিনির্মাণে যে মিশন এবং ভিশন ঠিক করেছেন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি আছে। এগুলোতে যদি দেশের সকল স্তরের মানুষকে যুক্ত করা না যায় তাহলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো অনেক কঠিন হবে। যার উপর যে দায়িত্ব অর্পিত তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এটি দেশ ও মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের দেশের নাগরিক নয়। এটা বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ খুব ভালো করেই জানেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদেরকে ভাসানচরে থাকার জায়গা দেয়া হয়েছে।
 সময় সুযোগ অনুযায়ী তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। এদিন স্বেচ্ছাসেবায় অবদান রাখায় ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকতার হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সুলতানা আফরোজ, সেক্রেটারি ও সিইও, পিপিপিএ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং জাতিসংঘের আবাসিক  কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status