কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
বাংলার রাজনীতিতে নতুন মোড়, মুকুল রায়কে পদ দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারলো বিজেপি
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, রবিবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
শনিবার মুকুল রায়কে বিজেপি তাদের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে বসানোর ঘোষণাটি করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট এর আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট জরুরি। এতদ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসকে একটি বার্তা দিল বিজেপি। দ্বিতীয়ত, রাজ্যে মুকুল বিরোধী শক্তিকেও বার্তা দেয়া হল যে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুকুল রায়ই শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করবেন। দলে যে মুকুল বিরোধিতা ছিল তার প্রমাণ মুকুল রায় সহ-সভাপতি পদে বসতেই বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা রাহুল সিনহার প্রতিক্রিয়া। সদ্য কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত রাহুল সিনহা ভিডিও বার্তায় বলেছেন, দীর্ঘ চল্লিশ বছর বিজেপির সেবা করার পুরস্কার পেলাম। তৃণমূলের একজনকে পদে আনার জন্যে আমাকে পদ হারাতে হল। আমি দশ বারোদিনের মধ্যে আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানাবো। উল্লেখযোগ্য, রাহুল সিনহাকে সরিয়ে শনিবারই মুকুল ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরাকে সম্পাদকের পদে বসানো হয়।
এই ঘটনাই প্রমাণ করে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিতে মুকুল বিরোধিতা কতটা তীব্র ছিল। মুকুল রায় তার বিজ্পুরের বাড়ি থেকে মানবজমিনকে তার পদ পাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানান, গুরুদায়িত্ব দল তাকে দিয়েছে। তিনি তা পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সভাপতি জগৎ প্রতাপ নাড্ডার তার ওপর আস্থার পূর্ণ মর্যাদা তাঁকে রাখতে হবে বলে জানান তিনি। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত শক্ত করার কথাও তিনি বলেন। এখানেই মুকুল রায় বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কতটা পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তিনি কারও বিরোধিতা করেননি। কোনও বাজার গরম করা বিবৃতি দেননি। তিনি চাণক্য নীতি নিয়েছেন। এই বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহ এর আস্থা যে তাঁর ওপরেই তা বুঝেও তিনি সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলেছেন। মুকুল রায়ের কেন্দ্রীয় পদপ্রাপ্তিতে বঙ্গ রাজনীতিতে যে নতুন জোয়ার আসবে তা বলাই বাহুল্য। জল কোনদিকে গড়ায় তা দেখার অপেক্ষায় থাকবে মানুষ।
এই ঘটনাই প্রমাণ করে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিতে মুকুল বিরোধিতা কতটা তীব্র ছিল। মুকুল রায় তার বিজ্পুরের বাড়ি থেকে মানবজমিনকে তার পদ পাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানান, গুরুদায়িত্ব দল তাকে দিয়েছে। তিনি তা পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সভাপতি জগৎ প্রতাপ নাড্ডার তার ওপর আস্থার পূর্ণ মর্যাদা তাঁকে রাখতে হবে বলে জানান তিনি। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত শক্ত করার কথাও তিনি বলেন। এখানেই মুকুল রায় বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কতটা পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তিনি কারও বিরোধিতা করেননি। কোনও বাজার গরম করা বিবৃতি দেননি। তিনি চাণক্য নীতি নিয়েছেন। এই বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহ এর আস্থা যে তাঁর ওপরেই তা বুঝেও তিনি সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলেছেন। মুকুল রায়ের কেন্দ্রীয় পদপ্রাপ্তিতে বঙ্গ রাজনীতিতে যে নতুন জোয়ার আসবে তা বলাই বাহুল্য। জল কোনদিকে গড়ায় তা দেখার অপেক্ষায় থাকবে মানুষ।