বাংলারজমিন
অগ্রযাত্রার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, রবিবার, ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
হালুয়াঘাটের অন্যতম বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অগ্রযাত্রা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের অনুষ্ঠিত নির্বাচন শেষ মুহূর্তে টান টান উত্তেজনা ও ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে মোট ১ হাজার ৬১ জন ভোটারের মাঝে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ভোট গণনার সময় সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। একাংশের প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দেয় ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ। আর কারচুপির মূলনায়ক দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা হালুয়াঘাট উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুল হুদা এমন অভিযোগ পরাজিত প্রার্থীদের। নির্বাচন শেষে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে একাংশের প্রার্থীদের মধ্যে এমন ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠে। নির্বাচন কমিশনার কামরুল হুদা কর্তৃক ঘোষিত ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেন পরাজিত প্রার্থীরা। ভোটকেন্দ্রের বাইরে উৎসুক সমর্থকরা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটনায়। সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী শেখ ফরিদ বলেন, প্রায় ২০ কোটি টাকা সঞ্চিত সমিতিকে ধ্বংস করার জন্যে একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। ভোট গণনায় কারচুপি করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেন শেখ ফরিদসহ আরো অনেকেই। তিনি বলেন, ভোট সঠিকভাবে গণনা না করেই, সিলগালা বিহীন অবস্থায় পুলিশ এসে নিয়ে যায়। পুনর্গণনার জন্যে বারবার অনুরোধ ও আবেদন করা সত্ত্বেও কেনো নির্বাচন কমিশন তা রক্ষা করেননি এমন প্রশ্ন তোলেন পরাজিত প্রার্থীরা। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশনার কামরুল হুদার আশ্বস্তের ভিত্তিতেই আবেদন করেছি। মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ভোট গণনায় কারচুপি করেছেন কামরুল হুদা এমন অভিযোগ তাদের। তাদের দাবি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামরুল হুদা পুনর্গণনার আবেদন করলে পুনরায় গণনা করা হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এক পর্যায়ে অজ্ঞাত কারণে তা প্রত্যাখ্যান করেছে আমরা জানি না। পরে পুলিশ হেফাজতে ব্যালট বাক্স নিজের সংরক্ষণে নিয়ে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করেন
কামরুল হুদা। এ ঘটনায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামরুল হুদাকে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। প্রায় পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে চুপ থাকেন ক্যামেরার সামনে। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ব্যালট বাক্সের বিষয়ে বলেন, আমরা ব্যালট বাক্সের বিষয়ে কিছুই জানি না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে। আমরা শুধু গিয়েছিলাম যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, যেহেতু ফলাফল ঘোষণা হয়ে গেছে সেহেতু জেলা সমবায় অফিসে আবেদন করলে পুনর্গণনা হতে পারে।
কামরুল হুদা। এ ঘটনায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামরুল হুদাকে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। প্রায় পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে চুপ থাকেন ক্যামেরার সামনে। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ব্যালট বাক্সের বিষয়ে বলেন, আমরা ব্যালট বাক্সের বিষয়ে কিছুই জানি না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে। আমরা শুধু গিয়েছিলাম যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, যেহেতু ফলাফল ঘোষণা হয়ে গেছে সেহেতু জেলা সমবায় অফিসে আবেদন করলে পুনর্গণনা হতে পারে।