খেলা
পাকিস্তানের আম্পায়ারদের কাছে ঋণী আইপিএল!
স্পোর্টস ডেস্ক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার, ৭:০০ পূর্বাহ্ন
প্রথম দিকের আইপিএল আসরগুলোতে বাজে আম্পায়ারিং হতো অনেক। এখনো যে হয় না এমন নয়। আরব আমিরাতে চলমান ২০২০ আইপিএলের প্রথম সপ্তাহেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে আম্পায়ারিং। তবে এটা ঠিক সামগ্রিকভাবে ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়ার হার কমে এসেছে। আর পাকিস্তানের সাবেক আম্পায়ার আসাদ রউফের দাবি, আইপিএলের উন্নতিতে অবদান রেখেছেন তারাও।
আইসিসি’র এলিট প্যানেলের সাবেক আম্পায়ার রউফ মনে করেন, পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) উন্নতিতে আম্পায়ারিংয়ের মানে জোর দিতে হবে। ভারতের আইপিএলের উদাহরণ টেনে ক্রিকেট পাকিস্তানকে তিনি বলেন, ‘পিএসএলে আম্পায়ারিংয়ের মান বাড়াতে হবে। কারণ বাজ আম্পায়ারিং খুব সহজেই একটা টুর্নামেন্টকে ডুবিয়ে দেয়। আপনি যদি আইপিএলের প্রথম কয়েকটি আসর দেখেন, সমর্থকরা তো বটেই দলীয় অধিনায়করাও আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলতো।’
৬৪ বছর বয়সী রউফ জানান, ভালো আম্পায়ারিংয়ের কারণে পাকিস্তান থেকে তাদের ডেকে নিয়ে যেতো বিসিসিআই। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের বৈরী সম্পর্ক সত্ত্বেও পাকিস্তান থেকে আম্পায়ারদের ডাকা হতো, মাঠে আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে। আইপিএলের সাফল্যে পাকিস্তানি আম্পায়ারদের অবদান ছিল। এটা কোনো সহজ কাজ নয়। তবে নানান কারণে পাকিস্তানে আম্পায়ারিংয়ের মান নিচে নেমে গেছে।’
আইপিএলে আম্পায়ারিং করতে গিয়েই জুয়াড়িদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন আসাদ রউফ। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। সে বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগ মুহূর্তে রউফকে বরখাস্ত করেছিল আইসিসি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৬’র ফেব্রুয়ারিতে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আসাদ রউফ। এরপর আম্পায়ারিং থেকেই অবসর নিয়ে নেন তিনি। ২০০৬-১৩ পর্যন্ত আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা এই আম্পায়ার ৪৯টি টেস্ট, ৯৮টি ওয়ানডে এবং ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন।