খেলা
দীর্ঘদিন পর ম্যাচের স্বাদ নিলো টাইগাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
এক পাশে তামিম ইকবাল, অন্য পাশে সাদমান ইসলাম অনিক। টেস্টের দুই ওপেনার ব্যাট হাতে প্রস্তুত। বল করছেন তাসকিন আহমেদ। ব্যাটসম্যানকে আউট করে বোলার-ফিল্ডারদের উৎসব। একেবারে ম্যাচের আবহ টাইগারদের অনুশীলনে। সেই ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের প্রথম রাউন্ড খেলা হয়। তারপর থেকেই বন্ধ দেশের সব ধরনের ক্রিকেট। দীর্ঘ বিরতির পর জুলাইয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত অনুশীলনে ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরতে শুরু করলেও ম্যাচ খেলা হয়নি। অবশেষে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য অনুশীলনে ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে টাইগারদের। গতকাল তাদের অনুশীলনটা ছিল একেবারেই ম্যাচ আবহে। তারা উপভোগ করেছে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে খেলা। এককথায় করোনা বিরতি ভেঙে দীর্ঘদিন পর ম্যাচ খেলার স্বাদ নিয়েছে টাইগার শিবির। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পেরে আত্মবিশ্বাসী তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘লকডাউনটা কষ্টকর ছিল কারণ ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে এ রকম লম্বা ব্রেক কখনোই পাইনি। বাসার মধ্যে এতদিন থাকা অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু ইতিবাচক দিক হলো অনেকদিন পর আবার মাঠে ফিরতে পারছি, ভালো লাগছে।’
তামিম, মুমিনুল হক, লিটন দাসরা একে একে ব্যাটিং করেছেন। পেসারদের পর বল তুলে নিয়েছিলেন স্পিনার তাইজুল ইলাম, নাঈম হাসানরা। শান্ত মনে করেন এভাবে প্রস্তুতি তাদের জন্য ইতিবাচক। হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অবশ্যই কঠিন প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের জন্য। যেহেতু এখন মাঠে এসে সবাই মিলে প্রস্তুতি নিচ্ছে, নেটে ব্যাটিং করছে। আমার মনে হয় মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকলে, আমি ইতিবাচক আছিও, এভাবে শুরু করতে পারলে আবারো আগের ছন্দ ফিরে পাবো। কিন্তু অবশ্যই কঠিন, তাই এটাই চেষ্টা করছি যে, যখনই অনুশীলন করছি আগের ছন্দটা ফিরে পাওয়ার।’
তবে যে লঙ্কা সফরে যেতে তাদের এই প্রস্তুতি সেটি কবে হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। গতকালও বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন কোনো সুখবর নেই বলে জানিয়েছেন। তিনি দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কা থেকে কোনো আপডেট পাইনি। তাই অপেক্ষায় আছি। যদিও গুঞ্জন রয়েছে শেষ পর্যন্ত সিরিজ পিছিয়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বরে চলে যেতে পারে। আবার অনেকেরই ধারণা লঙ্কান কোভিড-১৯ টাস্কফোর্স হয়তো ১৪ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত পরির্তন করবে না। তাই শেষ পর্যন্ত হয়তো সিরিজটিই হবে না।
শান্তর মানিয়ে নেয়ার লড়াই
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ২৭ সদস্যের প্রথমিক দল ঘোষণা করে বিসিবি। কিন্তু তার আগে প্রতিটি ক্রিকেটারকে করাতে হয়েছে কোভিড-১৯ টেস্ট। এখন পর্যন্ত তিন দফায় টেস্ট করানো হয়েছে। যদি সফরে যাওয়া নিশ্চিত হয় তাহলে তার ৭২ ঘণ্টা আগে আরো একবার টেস্ট করাতে হবে। শুধু তাই নয়, করোনা পরীক্ষা দিতে হবে শ্রীলঙ্কাতেও। তার ওপর শান্ত শুরু থেকেই দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি। ছিলেন ৩ দিনের আইসোলেশনে। এ যেন এক কঠিন পরিবেশ। অস্বস্তিতে আছেন প্রায় প্রত্যেক ক্রিকেটার। শান্তর জন্যও তা ব্যতিক্রম নয়। তবে এমন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার কঠিন লড়াই করছেন। তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই অনেক কঠিন, টেস্টের (কোভিড-১৯) কথা বলবো যে, করোনা টেস্ট দু’দিন পর পর এই জিনিসটা একটু অস্বস্তিকর লাগে। নাকের ভেতর কিট দেয়া, পরীক্ষা করা, এ জিনিসটা আমার জন্য অস্বস্তিকর। আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে কারোরই ভালো লাগে না। এত নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকা ভালো বোধ করি না। কিন্তু আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছে সবাই এবং এভাবেই অনুশীলন করতে হবে, খেলাধুলা করতে হবে। ধীরে ধীরে উপভোগ করছি।’
তামিম, মুমিনুল হক, লিটন দাসরা একে একে ব্যাটিং করেছেন। পেসারদের পর বল তুলে নিয়েছিলেন স্পিনার তাইজুল ইলাম, নাঈম হাসানরা। শান্ত মনে করেন এভাবে প্রস্তুতি তাদের জন্য ইতিবাচক। হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অবশ্যই কঠিন প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের জন্য। যেহেতু এখন মাঠে এসে সবাই মিলে প্রস্তুতি নিচ্ছে, নেটে ব্যাটিং করছে। আমার মনে হয় মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকলে, আমি ইতিবাচক আছিও, এভাবে শুরু করতে পারলে আবারো আগের ছন্দ ফিরে পাবো। কিন্তু অবশ্যই কঠিন, তাই এটাই চেষ্টা করছি যে, যখনই অনুশীলন করছি আগের ছন্দটা ফিরে পাওয়ার।’
তবে যে লঙ্কা সফরে যেতে তাদের এই প্রস্তুতি সেটি কবে হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। গতকালও বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন কোনো সুখবর নেই বলে জানিয়েছেন। তিনি দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কা থেকে কোনো আপডেট পাইনি। তাই অপেক্ষায় আছি। যদিও গুঞ্জন রয়েছে শেষ পর্যন্ত সিরিজ পিছিয়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বরে চলে যেতে পারে। আবার অনেকেরই ধারণা লঙ্কান কোভিড-১৯ টাস্কফোর্স হয়তো ১৪ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত পরির্তন করবে না। তাই শেষ পর্যন্ত হয়তো সিরিজটিই হবে না।
শান্তর মানিয়ে নেয়ার লড়াই
শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ২৭ সদস্যের প্রথমিক দল ঘোষণা করে বিসিবি। কিন্তু তার আগে প্রতিটি ক্রিকেটারকে করাতে হয়েছে কোভিড-১৯ টেস্ট। এখন পর্যন্ত তিন দফায় টেস্ট করানো হয়েছে। যদি সফরে যাওয়া নিশ্চিত হয় তাহলে তার ৭২ ঘণ্টা আগে আরো একবার টেস্ট করাতে হবে। শুধু তাই নয়, করোনা পরীক্ষা দিতে হবে শ্রীলঙ্কাতেও। তার ওপর শান্ত শুরু থেকেই দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি। ছিলেন ৩ দিনের আইসোলেশনে। এ যেন এক কঠিন পরিবেশ। অস্বস্তিতে আছেন প্রায় প্রত্যেক ক্রিকেটার। শান্তর জন্যও তা ব্যতিক্রম নয়। তবে এমন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার কঠিন লড়াই করছেন। তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই অনেক কঠিন, টেস্টের (কোভিড-১৯) কথা বলবো যে, করোনা টেস্ট দু’দিন পর পর এই জিনিসটা একটু অস্বস্তিকর লাগে। নাকের ভেতর কিট দেয়া, পরীক্ষা করা, এ জিনিসটা আমার জন্য অস্বস্তিকর। আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে কারোরই ভালো লাগে না। এত নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকা ভালো বোধ করি না। কিন্তু আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছে সবাই এবং এভাবেই অনুশীলন করতে হবে, খেলাধুলা করতে হবে। ধীরে ধীরে উপভোগ করছি।’