খেলা
‘আগের ইশতেহার আমার ছিল না’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
বাফুফের সভাপতি হিসেবে ১২ বছর অতিক্রান্ত করেছেন সালাউদ্দিন। এই এক যুগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অনেক কিছুকে লক্ষ্য বানিয়েছেন। কিন্তু সেসব প্রতিশ্রুতির খুব কমই বাস্তবায়ন করতে দেখা গেছে। আগামী ৩রা অক্টোবরের বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৬ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ। ১৮৭তম স্থানে থাকা বাংলাদেশকে আপাতত ১৫০-এর নিচে নামিয়ে আনাকেই সালাউদ্দিন মনে করছেন বড় লক্ষ্য। এর বাইরে জেলা লীগ নিয়মিত রাখা, দেশের প্রতিটি জেলায় ফুটবল ফেস্টিভ্যাল, ফুটবল একাডেমি তৈরিসহ নানা প্রতিশ্রুতি রয়েছে নতুন ইশতেহারে। প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান মানিক বলেন, বাস্তবসম্মত ইশতেহার দিয়েছে তাদের প্যানেল। আরেক সহ-সভাপতি প্রার্থী ইমরুল হাসানের মতে, শুধু কাউন্সিলরদের আকৃষ্ট করা নয়, ইশতেহার হচ্ছে ফুটবলের উন্নয়নে। সামনের দিনগুলোতে সকলকে নিয়ে এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে চান তারা।
নির্বাচন এলেই ইশতেহার আর প্রতিশ্রুতিতে আশা দেখান প্রার্থীরা। কিন্তু দিনশেষে দেশের ফুটবলের চিত্রটা থাকে অভিন্ন। বাফুফের নির্বাচন সামনে রেখে টানা চতুর্থবারের মতো ইশতেহার ঘোষণা করেছেন কাজী সালাউদ্দিন। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বললেন, আগের ইশতেহার তার ছিল না। তাকে না জানিয়ে ওই ইশতেহার তৈরি করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তার পরেও আগের ইশতেহারের সিংহভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি তার। অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগে হোটেল পূর্বাণীতে ইশতেহার ঘোষণা করে কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ। ওই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত না থাকলেও সম্মিলিত পরিষদের পক্ষে ইশতেহার পাঠ করেন তাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব তরফদার মো. রুহুল আমিন। আর গতকাল রুহুল আমিনের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আগের ইশতেহারে অনেক জিনিস ছিল যা আমি জানতাম না। যা আমাকে না জানিয়ে ইশতেহারে ঢোকানো হয়েছে। তবে এবার যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে তা প্রায় দুই মাস ধরে যাচাই-বাছাই করে তৈরি করা হয়েছে।’
আগের ইশতেহারের সিংহভাগ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। মোটা দাগে দেখা গেছে জাতীয় দলকে শক্তিশালী করতে বয়সভিত্তিক দলগুলোতে জোর দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের জুন থেকে চালুর কথা ছিল বাফুফের একাডেমি। আন্তর্জাতিক মানের ফিটনেস সেন্টার এখনো স্বপ্নই হয়ে আছে। সব বিভাগীয় শহরে ফুটবল টার্ফ স্থাপনের বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ, সোহরাওয়ার্দী কাপ কিংবা শেরে বাংলা কাপ। যদিও এসব নিয়ে সালাউদ্দিনের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
২০২০ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন ইশতেহারে স্থান পেয়েছে জাতীয় দলকে শক্তিশালী করার বিভিন্ন পরিকল্পনা। যেখানে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও এসএ গেমসের শিরোপা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৫০এ নামিয়ে আনাকেও লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা লীগগুলো নিয়মিতকরণ, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে এ নির্বাচনে বড় প্রত্যাশা হতে পারে, দেশের প্রতিটি জেলায় ফুটবল ফেস্টিভ্যাল আয়োজন। যাকে বাস্তবসম্মত বলছেন প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান মানিক। তিনি বলেন, ইশতেহার হচ্ছে একটা স্বপ্ন। আমরা এই স্বপ্নটা নিয়ে এগোতে চাই। আমরা এমন কোনো স্বপ্ন নিয়ে এগোবো না যেটা হাস্যকর শোনাবে। যেটার আসলে বাস্তবায়ন হবে না। সালাউদ্দিন-সালাম পরিষদের আরেক প্রার্থী ইমরুল হাসানের চিন্তা ভিন্ন। শুধু ভোটারদের মন যোগাতে নয় বরং দেশের ফুটবলের উন্নয়নকেই জোর দেয়ার কথা বলেন বসুন্ধরা কিংসের এই সভাপতি। ইমরুল হাসান বলেন, আমি শুধু ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্যই যে ইশতেহার দিয়েছি এমন না। নির্বাচনের খাতিরে অনেক কিছু ইশতেহারে দেখানো যায় তবে তেমন কিছু আমরা করতে চাই না। আমি কাজ করতে চাই ফুটবলের উন্নয়নে। তৃণমূল ফুটবলে কাজ করার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এই ইশতেহারে। প্যানেলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ইশতেহারের বেশিরভাগ বাস্তবায়ন হলেও কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের ব্যর্থতা আছে। আজ বিচ্ছিন্নভাবে যারা আমাদের ব্যর্থতার কথা বলছেন তাদের উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে কাজ করার সময় ব্যর্থতাগুলো ধরিয়ে দেয়া। তখন তারা সেটা করেননি। বরং তখন তারা সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সটকে পড়েছেন। ডেলিগেটরা তাদের চিনেন আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচনে তারা সেই জবাবটা দিবেন। গেল তিনবারের মতো এবারো উন্নয়নমুখী নানা পরিকল্পনা রয়েছে সালাউদ্দিন-সালাম পরিষদের ইশতেহারে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, পরিকল্পনা শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের ফুটবল এগিয়ে যাক সঠিক পথে।
“আগের ইশতেহারে অনেক জিনিস ছিল যা আমি জানতাম না। যা আমাকে না জানিয়ে ইশতেহারে ঢোকানো হয়েছে। তবে এবার যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে তা প্রায় দুই মাস ধরে যাচাই-বাছাই করে তৈরি করা হয়েছে।”
নির্বাচন এলেই ইশতেহার আর প্রতিশ্রুতিতে আশা দেখান প্রার্থীরা। কিন্তু দিনশেষে দেশের ফুটবলের চিত্রটা থাকে অভিন্ন। বাফুফের নির্বাচন সামনে রেখে টানা চতুর্থবারের মতো ইশতেহার ঘোষণা করেছেন কাজী সালাউদ্দিন। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বললেন, আগের ইশতেহার তার ছিল না। তাকে না জানিয়ে ওই ইশতেহার তৈরি করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তার পরেও আগের ইশতেহারের সিংহভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি তার। অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগে হোটেল পূর্বাণীতে ইশতেহার ঘোষণা করে কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ। ওই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত না থাকলেও সম্মিলিত পরিষদের পক্ষে ইশতেহার পাঠ করেন তাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব তরফদার মো. রুহুল আমিন। আর গতকাল রুহুল আমিনের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আগের ইশতেহারে অনেক জিনিস ছিল যা আমি জানতাম না। যা আমাকে না জানিয়ে ইশতেহারে ঢোকানো হয়েছে। তবে এবার যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে তা প্রায় দুই মাস ধরে যাচাই-বাছাই করে তৈরি করা হয়েছে।’
আগের ইশতেহারের সিংহভাগ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। মোটা দাগে দেখা গেছে জাতীয় দলকে শক্তিশালী করতে বয়সভিত্তিক দলগুলোতে জোর দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের জুন থেকে চালুর কথা ছিল বাফুফের একাডেমি। আন্তর্জাতিক মানের ফিটনেস সেন্টার এখনো স্বপ্নই হয়ে আছে। সব বিভাগীয় শহরে ফুটবল টার্ফ স্থাপনের বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ, সোহরাওয়ার্দী কাপ কিংবা শেরে বাংলা কাপ। যদিও এসব নিয়ে সালাউদ্দিনের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
২০২০ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন ইশতেহারে স্থান পেয়েছে জাতীয় দলকে শক্তিশালী করার বিভিন্ন পরিকল্পনা। যেখানে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও এসএ গেমসের শিরোপা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৫০এ নামিয়ে আনাকেও লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা লীগগুলো নিয়মিতকরণ, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে এ নির্বাচনে বড় প্রত্যাশা হতে পারে, দেশের প্রতিটি জেলায় ফুটবল ফেস্টিভ্যাল আয়োজন। যাকে বাস্তবসম্মত বলছেন প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান মানিক। তিনি বলেন, ইশতেহার হচ্ছে একটা স্বপ্ন। আমরা এই স্বপ্নটা নিয়ে এগোতে চাই। আমরা এমন কোনো স্বপ্ন নিয়ে এগোবো না যেটা হাস্যকর শোনাবে। যেটার আসলে বাস্তবায়ন হবে না। সালাউদ্দিন-সালাম পরিষদের আরেক প্রার্থী ইমরুল হাসানের চিন্তা ভিন্ন। শুধু ভোটারদের মন যোগাতে নয় বরং দেশের ফুটবলের উন্নয়নকেই জোর দেয়ার কথা বলেন বসুন্ধরা কিংসের এই সভাপতি। ইমরুল হাসান বলেন, আমি শুধু ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্যই যে ইশতেহার দিয়েছি এমন না। নির্বাচনের খাতিরে অনেক কিছু ইশতেহারে দেখানো যায় তবে তেমন কিছু আমরা করতে চাই না। আমি কাজ করতে চাই ফুটবলের উন্নয়নে। তৃণমূল ফুটবলে কাজ করার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এই ইশতেহারে। প্যানেলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ইশতেহারের বেশিরভাগ বাস্তবায়ন হলেও কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের ব্যর্থতা আছে। আজ বিচ্ছিন্নভাবে যারা আমাদের ব্যর্থতার কথা বলছেন তাদের উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে কাজ করার সময় ব্যর্থতাগুলো ধরিয়ে দেয়া। তখন তারা সেটা করেননি। বরং তখন তারা সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সটকে পড়েছেন। ডেলিগেটরা তাদের চিনেন আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচনে তারা সেই জবাবটা দিবেন। গেল তিনবারের মতো এবারো উন্নয়নমুখী নানা পরিকল্পনা রয়েছে সালাউদ্দিন-সালাম পরিষদের ইশতেহারে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, পরিকল্পনা শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের ফুটবল এগিয়ে যাক সঠিক পথে।
“আগের ইশতেহারে অনেক জিনিস ছিল যা আমি জানতাম না। যা আমাকে না জানিয়ে ইশতেহারে ঢোকানো হয়েছে। তবে এবার যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে তা প্রায় দুই মাস ধরে যাচাই-বাছাই করে তৈরি করা হয়েছে।”