অনলাইন

বাসে আটকে রেখে গণধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৪:০৪ পূর্বাহ্ন

ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যাচ্ছিলেন এক তরুণী। তাকে বাসে আটকে রেখে ধর্ষণ করে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। এরপর বাড়িতে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে তারা। এ ঘটনায় পুলিশ বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার বাসচালক আরিফ হোসেন সোহেল কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার নেউরা গ্রামের শরীফ হোসেনের ছেলে ও হেলপার বাবু শেখ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কামিনারবাগ গ্রামের শেখ ওয়াজেদের ছেলে।

বৃহস্পতিবার আদালতে উভয়ের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এর আগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিত তরুণীর চিকিৎসা, ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রদানের পর তাকে তার মায়ের হেফাজতে দেয়া হয়।


পুলিশ, মামলার বিবরণ ও মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সী ওই গত সোমবার বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রাত সাড়ে ১১টার সময় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল হতে তিশা প্লাস পরিবহনের একটি বাসে ওঠে। পথিমধ্যে ওই তরুণী বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে শাসনগাছা বাস স্টেশনে তাকে নামিয়ে দিতে বলে।
 
কিন্তু তারা শাসনগাছা নামিয়ে না দিয়ে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর বাসটি জেলা সদরের অদূরে সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের আল-শাকিল হোটেলের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে বাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে ওই তরুণীকে বাসের হেলপার বাবু শেখ (২২), চালক আরিফ হোসেন সোহেল (২৬) ও সুপারভাইজার আলম (৩২) ধর্ষণ করে।

পরে বাসের হেলপার বাবু শেখ ও সুপারভাইজার আলম তরুণীকে বাস থেকে নামিয়ে পদুয়ার বাজার এলাকায় বাস হেলপার বাবু শেখের বাড়িতে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে বের করে দেয়।

ওই তরুণী মোবাইল ফোনে বিষয়টি তার মাকে জানান। এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ওইদিন রাতে তিন ধর্ষকের বিরুদ্ধে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় গণধর্ষণের মামলা করেন।
 
এদিকে তিশা প্লাস পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওই গাড়ির মালিক দুলাল হোসেন অপু জানান, ঘটনার পর আমরা তিশা প্লাস গাড়ির (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩৯৮) চালক ও হেলপারসহ দুই আসামিকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছি।
 
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, মামলার পর অভিযান চালিয়ে চালক বাবু শেখ ও হেলপার আরিফ হোসেন সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জেল হাজতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে উভয়ের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এ ছাড়া মামলার ভিকটিম ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি আদালতে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি আলমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status