বিনোদন

করোনার থাবায় অচল সংগীতাঙ্গন

ফয়সাল রাব্বিকীন

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৮:০৯ পূর্বাহ্ন

করোনার থাবায় অচল হয়ে পড়েছে সংগীতাঙ্গন। করোনাকালের শুরু থেকেই সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মিউজিশিয়ানরা পড়েছেন বিপাকে। কিন্তু বিষয়টি এতটা দীর্ঘায়িত হবে তা কল্পনা করেননি কেউ। করোনা নিঃস্ব করে দিয়েছে সংগীতাঙ্গনের অনেক সদস্য ও তাদের পরিবারকে। শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের আয়ের সব থেকে বড় মাধ্যম স্টেজ শো। কিন্তু করোনার থাবায় সেই স্টেজ শো বন্ধ অনেক দিন ধরে। যার ফলে কাজ নেই বলে অনেক মিউজিশিয়ানই চলে গেছেন বাড়িতে। অন্যদিকে স্টেজের অনেক শিল্পীই মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঢাকায়। আবার কেউ কেউ চলে গেছেন গ্রামের বাড়ি। অন্যদিকে চলচ্চিত্র এবং অডিওর ব্যস্ত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকারদের কাজও কমে গেছে অনেকাংশে। করোনার কারণে পহেলা বৈশাখে গান তেমন একটা বের হয়নি বললেই চলে। অন্যদিকে দুই ঈদে হাতে গোনা কিছু শিল্পীর গান প্রকাশ হয়েছে। আর ঈদের পর নতুন গান প্রকাশের সাহস পাচ্ছে না প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। সব মিলিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে সংগীতাঙ্গনে। হাতে কাজ না থাকায় অনেকেই বিপাকে পড়েছেন পরিবার নিয়ে। করোনার শুরুতে সরকারের তরফ থেকে শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে কয়েক দফায় কিছু শিল্পী-মিউজিশিয়ান আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন। তবে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। স্টেজ শো শুরু না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা থেকে উত্তরণের তেমন একটা সুযোগ থাকছে না। অন্যদিকে নতুন গান রেকর্ডিং পুরোদমে শুরু না হলে শিল্পী, গীতিকার ও সুরকাররাও আরো কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হবেন সামনে। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, করোনা কবে কাটবে তার কোনো ঠিক নেই। এরইমধ্যে জেনেছি অনেক মিউজিশিয়ান ঢাকা ছেড়েছেন। স্টেজনির্ভর শিল্পীরাও স্বস্তিতে নেই। স্বাভাবিকভাবে নতুন গানের কাজও কমেছে অনেকের। সেদিক থেকে সব মিলিয়ে সংগীতাঙ্গনের অবস্থা একেবারেই ভালো না। সত্যি বলতে আমরা যদি আগেই সংগীতাঙ্গনের সবাই এক হতে পারতাম তবে অবস্থা অন্যরকম হতে পারতো। সে যাই হোক, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে করোনা না যাওয়া পর্যন্ত সংগীতাঙ্গনের এই অবস্থা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকার বলি আর সহকর্মীদের বলি, অবশ্যই পাশে থাকা উচিত তাদের। আর সব কিছুই খুলে গেছে, স্টেজ শোটাও ধীরে ধীরে চালু করা উচিত। তাহলে শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা অন্তত টিকে থাকতে পারবে। বিষয়টি নিয়ে হাল সময়ের কণ্ঠশিল্পী সাজিয়া সুলতানা লিজা বলেন, আসলে সারা বিশ্বেই এমনটা হচ্ছে। শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের সারভাইভ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের অনেক মিউজিশিয়ান ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে অন্য কাজও করছেন। কাজ না থাকলে আসলে এই শহরে টিকে থাকা কঠিন। আর মাসের পর মাস যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি তো শেষ হচ্ছে না। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে এই পরিস্থিতি ঠিক হবে কিনা জানি না। অনেক শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা নিজেদের পেশায় টিকে থাকতে পারছেন না। এটাই কঠিন বাস্তবতা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status