কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
করোনার গ্রাসে তর্পন, গঙ্গার ঘাটে সেই ভিড় নেই
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
পিতৃপক্ষের অবসানে আজ দেবীপক্ষের শুরু। মাঝখানে একমাস মলমাস পরায় দেবী দুর্গার আবাহন নজিরবিহীনভাবে একমাস পরে। আজ ভোরে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে প্রয়াত পিতৃপুরুষকে জল তিল ত-ুলে তর্পন করার দিন। কিন্তু দুরন্ত করোনা গ্রাস করেছে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ। তার প্রভাব তর্পনেও। বাবুঘাট থেকে বাজে কদমতলার ঘাট, বাগবাজার ঘাটে আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম ভিড়। আগে ঘাটগুলিতে জায়গা পাওয়া যেতোনা। ঊষালগ্ন থেকে মানুষের সমাগম হত। এবার একদম ভিড় নেই একথা বলা যাবেনা, কিন্তু আগের থেকে অনেক কম। কলকাতা পুলিশ হিসেব দিচ্ছে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ভিড় প্রায় পঁয়ত্রিশ শতাংশ কম। আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই, কারণ ভোরবেলাই তর্পনের প্রকৃষ্ট সময়। ঘাটগুলিতে করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ববিধি পালিত হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকেই ঘাটে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজেসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এই সব যাঁতাকলের মধ্যে বাঙালির পিতৃপুরুষকে জলদান হাঁফিয়ে মরছে।
আজ মহালয়া: ভোর চারটেয় রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে বাঙালির ঘুম ভাঙছে বেশ কয়েক দশক। আজও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠের রেকর্ডিং বাজলো। কিন্তু, সেই পুজো পুজো ভাবটা এলোনা। করোনা সব গ্রাস করেছে। মনের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। একইসঙ্গে আজ বিশ্বকর্মা পূজাও। বঙ্গভূমে কয়েকমাসের উৎসবের মরশুম শুরু হয় এই পূজা দিয়ে। দুনিয়ার প্রথম ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বকর্মার আরাধনায় মেতে ওঠে কল কারখানা। এবার কোথায় সেই রৌনক? সুখী বিশ্বকর্মা আজ যেন দুখী বিশ্বকর্মা। ছোট প্যান্ডেল, ছোট মূর্তি, সেই সমারোহ নেই। করোনার থাবা এখানেও। বিশ্বকর্মা পূজার সকাল থেকে আকাশ ছেয়ে যায় রং বেরঙের ঘুড়িতে। পেটকাটা, চাঁদিয়াল, ময়ূরপঙ্খী আরও কত কি? এবার যেন করোনা ছুটি দিয়েছে ঘুড়িকেও। আকাশে ঘুড়ি উড়ছে কিন্তু ভোকাট্টা আওয়াজ কোথায়? একটা কাটা ঘুড়ির পিছনে দশ বিশজন শিশু ছুটছে কোথায়? সামাজিক দূরত্বের কারণে একসঙ্গে ছোটায় যে মানা তাই, দেবীপক্ষ শুরু হল বড় সাদামাটা ভাবে। ছবির ট্রেলর যদি এমন হয়, একমাস পরে আসল ছবিটি তাহলে কেমন হবে?
আজ মহালয়া: ভোর চারটেয় রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে বাঙালির ঘুম ভাঙছে বেশ কয়েক দশক। আজও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠের রেকর্ডিং বাজলো। কিন্তু, সেই পুজো পুজো ভাবটা এলোনা। করোনা সব গ্রাস করেছে। মনের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। একইসঙ্গে আজ বিশ্বকর্মা পূজাও। বঙ্গভূমে কয়েকমাসের উৎসবের মরশুম শুরু হয় এই পূজা দিয়ে। দুনিয়ার প্রথম ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বকর্মার আরাধনায় মেতে ওঠে কল কারখানা। এবার কোথায় সেই রৌনক? সুখী বিশ্বকর্মা আজ যেন দুখী বিশ্বকর্মা। ছোট প্যান্ডেল, ছোট মূর্তি, সেই সমারোহ নেই। করোনার থাবা এখানেও। বিশ্বকর্মা পূজার সকাল থেকে আকাশ ছেয়ে যায় রং বেরঙের ঘুড়িতে। পেটকাটা, চাঁদিয়াল, ময়ূরপঙ্খী আরও কত কি? এবার যেন করোনা ছুটি দিয়েছে ঘুড়িকেও। আকাশে ঘুড়ি উড়ছে কিন্তু ভোকাট্টা আওয়াজ কোথায়? একটা কাটা ঘুড়ির পিছনে দশ বিশজন শিশু ছুটছে কোথায়? সামাজিক দূরত্বের কারণে একসঙ্গে ছোটায় যে মানা তাই, দেবীপক্ষ শুরু হল বড় সাদামাটা ভাবে। ছবির ট্রেলর যদি এমন হয়, একমাস পরে আসল ছবিটি তাহলে কেমন হবে?