প্রথম পাতা
বাজারে ক্রেতা কম, দাম কমেনি
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
রাজধানীতে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ। নতুন করে না বাড়ানো হলেও বাজার ভেদে দামে অসঙ্গতি দেখা গেছে। তাদের অভিযোগ, বিক্রেতাদের কেউ কেউ বেশি মুনাফা লাভের আশায় লাগামহীন দাম হাঁকছেন। একই মানের পিয়াজ একেক বিক্রেতা একেক রকম দাম চাইছেন। আবার একই মানের পিয়াজ একেক বাজারে একেক রকম দাম নেয়া হচ্ছে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া এবং দেশে পিয়াজের ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে হঠাৎ পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ১
করেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পিয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পিয়াজ প্রথম দফায় ৬০-৭০ টাকায় উঠে। দ্বিতীয় দফায় সোমবার এক লাফে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পিয়াজের দাম। আর আমদানি করা পিয়াজ বেড়ে হয় ৭০-৮০ টাকা। তবে সরকারের নানা তৎপরতায় গতকাল পর্যন্ত বাজার স্থিতিশীল ছিল। বাজারে তুলনামূলক ক্রেতা কম দেখা গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে বিশেষ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিম। এর ধারবাহিকতায় গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অভিযানকাল পরিচালনা করা হয়। অন্যদিকে গতকাল রাজধানীর ৪০টি স্থানে কম মূল্যে পিয়াজ বিক্রি করেছে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবি। তবে টিসিবি’র ট্রাক সেলেও ক্রেতাদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বস্তিতেই পণ্য বিক্রি করে সংস্থাটি।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের দিন বিক্রি কন্ধ করে দিলেও গতকাল বিক্রেতারা স্বাভাবিকভাবেই তাদের কার্যক্রম চালান। তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেকটা কম ছিল। তবে কোনো বিক্রেতাকে বাড়তি দাম হাঁকতে দেখা যায়। কাওরান বাজারের ২৩ নং পাইকারি আড়তে জিজ্ঞেস করলে পাল্লা প্রতি (৫ কেজি) দেশি পিয়াজের দাম চাওয়া হয় ৪৮০ টাকা। গতকাল ৪৫০ টাকা ছিল আজ আবার ৩০ টাকা বেশি কেন? এমন প্রশ্নে ওই বিক্রেতা বলেন, দামতো প্রতিদিনই বাড়ছে, বাড়বে। তবে পরে দোকানে জিজ্ঞেস করলে তিনি পাল্লা প্রতি ৪৬০ টাকা চান। একই বাজারে কেউ চাইছেন ৪৫০ টাকা, কেউ ৪৬০ আবার কেউ চাইছেন ৪৭০ টাকা। কাওরান বাজারে গতকাল ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াজের দাম চাওয়া হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা।
পিয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল শ্যামবাজার পিয়াজের আড়ত, যাত্রাবাড়ী পিয়াজের আড়ত ও মালিবাগ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও ঢাকার বাইরেও সর্বমোট ৪১টি টিম বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এতে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় রশিদের গরমিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল পণ্য এবং ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারা দেশে ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেই সঙ্গে টিসিবি কর্তৃক ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম (ট্রাক সেল) মনিটরিং করা হয়।
ওদিকে গতকালও রাজধানীর ৪০টি স্থানে ৩০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি করেছে টিসিবি। তবে খুব বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি টিসিবি’র পণ্যবাহী ট্রাকে। সকালে ক্রেতাদের লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হলেও পরে লাইন দিয়ে পিয়াজ কিনতে হয়নি ক্রেতাদের। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেশ স্বস্তিতেই টিসিবি তাদের পণ্য বিক্রি করতে পেরেছে বলে মানবজমিনকে জানান, সংস্থাটির তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, রাজধানীতে ৪০টি স্থানে ৩০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে ২০০ থেকে ৪০০ কেজি করে পিয়াজ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
টিসিবি সূত্র জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় ৪০টি, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুরে ৭টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহে ৩টি ও মাদারীপুরে ৩টি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর (উপজেলায়সহ) প্রতিটিতে দু’টি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি চলছে।
করেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পিয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পিয়াজ প্রথম দফায় ৬০-৭০ টাকায় উঠে। দ্বিতীয় দফায় সোমবার এক লাফে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পিয়াজের দাম। আর আমদানি করা পিয়াজ বেড়ে হয় ৭০-৮০ টাকা। তবে সরকারের নানা তৎপরতায় গতকাল পর্যন্ত বাজার স্থিতিশীল ছিল। বাজারে তুলনামূলক ক্রেতা কম দেখা গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে বিশেষ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিম। এর ধারবাহিকতায় গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অভিযানকাল পরিচালনা করা হয়। অন্যদিকে গতকাল রাজধানীর ৪০টি স্থানে কম মূল্যে পিয়াজ বিক্রি করেছে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবি। তবে টিসিবি’র ট্রাক সেলেও ক্রেতাদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বস্তিতেই পণ্য বিক্রি করে সংস্থাটি।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের দিন বিক্রি কন্ধ করে দিলেও গতকাল বিক্রেতারা স্বাভাবিকভাবেই তাদের কার্যক্রম চালান। তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেকটা কম ছিল। তবে কোনো বিক্রেতাকে বাড়তি দাম হাঁকতে দেখা যায়। কাওরান বাজারের ২৩ নং পাইকারি আড়তে জিজ্ঞেস করলে পাল্লা প্রতি (৫ কেজি) দেশি পিয়াজের দাম চাওয়া হয় ৪৮০ টাকা। গতকাল ৪৫০ টাকা ছিল আজ আবার ৩০ টাকা বেশি কেন? এমন প্রশ্নে ওই বিক্রেতা বলেন, দামতো প্রতিদিনই বাড়ছে, বাড়বে। তবে পরে দোকানে জিজ্ঞেস করলে তিনি পাল্লা প্রতি ৪৬০ টাকা চান। একই বাজারে কেউ চাইছেন ৪৫০ টাকা, কেউ ৪৬০ আবার কেউ চাইছেন ৪৭০ টাকা। কাওরান বাজারে গতকাল ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াজের দাম চাওয়া হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা।
পিয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল শ্যামবাজার পিয়াজের আড়ত, যাত্রাবাড়ী পিয়াজের আড়ত ও মালিবাগ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও ঢাকার বাইরেও সর্বমোট ৪১টি টিম বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এতে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় রশিদের গরমিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল পণ্য এবং ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারা দেশে ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেই সঙ্গে টিসিবি কর্তৃক ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম (ট্রাক সেল) মনিটরিং করা হয়।
ওদিকে গতকালও রাজধানীর ৪০টি স্থানে ৩০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি করেছে টিসিবি। তবে খুব বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি টিসিবি’র পণ্যবাহী ট্রাকে। সকালে ক্রেতাদের লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হলেও পরে লাইন দিয়ে পিয়াজ কিনতে হয়নি ক্রেতাদের। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেশ স্বস্তিতেই টিসিবি তাদের পণ্য বিক্রি করতে পেরেছে বলে মানবজমিনকে জানান, সংস্থাটির তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, রাজধানীতে ৪০টি স্থানে ৩০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে ২০০ থেকে ৪০০ কেজি করে পিয়াজ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
টিসিবি সূত্র জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় ৪০টি, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুরে ৭টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহে ৩টি ও মাদারীপুরে ৩টি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর (উপজেলায়সহ) প্রতিটিতে দু’টি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি চলছে।