বাংলারজমিন
লাবণীর হত্যার নেপথ্যে দাম্পত্য কলহ
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
লঞ্চযোগে রাতে বরিশাল যাওয়ার পথে কেবিনে ঝগড়া হয় রাইড শেয়ারের চালক মনিরুজ্জামান চৌধুরী (৩৪) ও তার তৃতীয় স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণীর। এরই জের ধরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে লাবণীকে হত্যা করে সটকে পড়ে মনির। লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘাতক মনিরুজ্জামানকে ঢাকার মিরপুর দারুস সালাম এলাকার প্রিন্সিপ্যাল আবুল কালাম রোডের সরকারি কোয়ার্টার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার আব্দুস শহীদের ছেলে। সে তার বাবার সঙ্গে ওই কোয়ার্টারে বসবাস করতো। বুধবার সকালে বরিশাল নগরীর রূপাতলীর উকিলবাড়ি সড়কে অবস্থিত পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।
গ্রেপ্তার অভিযানে ঢাকা (উত্তর) পিবিআই সদস্যরা সহায়তা করেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পিবিআই’র পুলিশ সুপার জানান, গত সোমবার সকালে বরিশাল নদীবন্দরে অবস্থানরত পারাবত-১১ নামের লঞ্চের ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিন থেকে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চের কেবিনবয় পরিচ্ছন্নতা কাজে কেবিনে গিয়ে দরজা খোলা অবস্থায় ওই নারীর মৃতদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে তা শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহাল ও অন্যান্য আলামতের ভিত্তিতে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এদিকে, ওই হত্যার ঘটনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারেন ওই নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণী। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙা থানার আদমপুর এলাকায়। যদিও ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে বসবাস করতেন তিনি। পুলিশ সুপার আরো জানান, লঞ্চের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই নারীর সঙ্গে লঞ্চের কেবিনে আসা ব্যক্তির সন্ধানে নামে পিবিআই। একপর্যায়ে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে লাবণীর ব্যবহৃত ওড়না, মোবাইল ও ব্যাগসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। আসামি মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান তারা স্বামী-স্ত্রী। লঞ্চযোগে রাতে বরিশাল যাওয়ার পথে কেবিনে তাদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে লাবণীকে হত্যা করে সে। এরপর লঞ্চটি বরিশালে পৌঁছালে কৌশলে পালিয়ে বাসযোগে ঢাকা চলে আসে মনিরুজ্জামান।
গ্রেপ্তার অভিযানে ঢাকা (উত্তর) পিবিআই সদস্যরা সহায়তা করেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পিবিআই’র পুলিশ সুপার জানান, গত সোমবার সকালে বরিশাল নদীবন্দরে অবস্থানরত পারাবত-১১ নামের লঞ্চের ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিন থেকে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লঞ্চের কেবিনবয় পরিচ্ছন্নতা কাজে কেবিনে গিয়ে দরজা খোলা অবস্থায় ওই নারীর মৃতদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে তা শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহাল ও অন্যান্য আলামতের ভিত্তিতে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এদিকে, ওই হত্যার ঘটনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারেন ওই নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণী। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙা থানার আদমপুর এলাকায়। যদিও ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে বসবাস করতেন তিনি। পুলিশ সুপার আরো জানান, লঞ্চের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই নারীর সঙ্গে লঞ্চের কেবিনে আসা ব্যক্তির সন্ধানে নামে পিবিআই। একপর্যায়ে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে লাবণীর ব্যবহৃত ওড়না, মোবাইল ও ব্যাগসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। আসামি মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান তারা স্বামী-স্ত্রী। লঞ্চযোগে রাতে বরিশাল যাওয়ার পথে কেবিনে তাদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে লাবণীকে হত্যা করে সে। এরপর লঞ্চটি বরিশালে পৌঁছালে কৌশলে পালিয়ে বাসযোগে ঢাকা চলে আসে মনিরুজ্জামান।