অনলাইন

প্রয়োজনের বেশি পিয়াজ কিনবেন না: বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৪:৫১ পূর্বাহ্ন

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ টন পিয়াজ মজুত রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হচ্ছে। ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পিয়াজ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পিয়াজ কিনবেন না।

বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে পিয়াজের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে এলসি’র মাধ্যমে ক্রয়কৃত পিয়াজ যেগুলো সীমান্ত পার হবার অপেক্ষায় আছে, সেগুলো দু’একদিনের মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে জানা গেছে। তুরস্ক ও মিসর থেকে টিসিরি’র মাধ্যমে পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। অল্পদিনের মধ্যে এগুলো দেশে পৌছাবে। এবার বড় ধরনের পিয়াজের মজুত গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে টিসিরি। ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের আগেই আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এগুলো ক্রয় করা হয়েছিল। ই-কমার্সের মাধ্যমে পিয়াজ বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে টিসিবি। এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। ভোক্তাগণ পিয়াজ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হলে কোন সমস্যা হবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় দেশে এবার প্রায় এক লাখ টন পিজ বেশি উৎপাদিত হয়েছে। আগে থেকেই পিজের আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতি নজর রাখা হচ্ছিল। সে কারণে টিসিবি’র মাধ্যমে পিয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করা হয় এবং গত ১৩ই সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ টাকা মূল্যে দেশব্যাপী খোলা বাজারে বিক্রয় শুরু করা হয়, তা আগামী বছর মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

টিপু মুনশি বলেন, পিয়াজের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। পিয়াজ রপ্তানির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের মতো অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশের বৃহৎ কোম্পানিগুলো এবারও প্রয়োজনীয় পিয়াজ আমদানি করবে। পিয়াজ সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। পিয়াজ নিয়ে অস্থির হবাব কোন কারণ নেই।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান, অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, টিসিরি’র চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status