ষোলো আনা
পর্তুগালে স্বাগত
আনোয়ার এইচ খান ফাহিম, পর্তুগাল থেকে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন
করোনা পরিস্থিতিতে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটা নিরাপদ পর্তুগাল। দুর্যোগময় এ পরিস্থিতিতে পর্তুগালে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে আছেই। এখন ট্রামগুলোতে ইউরোপের ও অন্যান্য দেশ থেকে পর্যটকদের দেখা মিলছে। তবে সপ্তাহখানেক থেকে কিছুটা ঘরমুখো হয়ে যাচ্ছেন পর্যটকরা। তারপরও অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশগুলোর তুলনায় ভ্রমণের জন্য নিরাপদ বলা যায় পর্তুগালকে।
রাজধানী লিসবন ও আলগ্র্যাভ সব থেকে জনপ্রিয় স্থান। পর্তুগালের লিসবনের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান সিন্ত্রা, কাসকাইস, কাবু দ্য রুকা এসব জায়গায় পর্যটকদের বিচরণ আছে। যা কিছুটা হলেও স্বস্তিকর এই খাতে সংশ্লিষ্টদের জন্য।
কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন লীগের ছোঁয়া লেগেছিল পর্তুগালেও। মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে না পারলেও খেলা দেখতে ক্যাফে ও রেস্তরাঁগুলোতে ছিল বড় স্ক্রিনে দেখার সুযোগ। তাতেই সবাই যথেষ্ট উত্তেজনায় উপভোগ করেছেন প্রতিটি ম্যাচ, বিশেষ করে ফাইনাল ম্যাচটি। সেদিন লিসবনের রসিও এলাকার সব রেস্তরাঁ ও ক্যাফেগুলোর সামনে কোভিড-১৯’র পরিস্থিতিকে সঙ্গে নিয়েই জমেছিল উপস্থিতি। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটক।
পর্তুগাল সরকার পর্যটকদের জন্য বেশিরভাগ সার্ভিসগুলোও উন্মুক্ত করে রেখেছে, যাতে তারা নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন সর্বত্র। তবে করোনাকালীন বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখা হয়েছে এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণও করা হচ্ছে। বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে কানেক্টিং ফ্লাইট উন্মুক্ত করা আছে। অনেক দেশের সঙ্গে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করা হয়েছে। সবচেয়ে আশাজাগানিয়া ব্যাপার হলো পর্তুগালে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম।