বাংলারজমিন
গাজীপুরে দুর্ভোগে বন্যার্তরা সহায়তায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম
ইকবাল আহমদ সরকার, গাজীপুর থেকে
২ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৮:৪১ পূর্বাহ্ন
গাজীপুর মহানগর ও জেলার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ আর ভোগান্তি যেন পিছুই ছাড়ছে না। করোনা মহামারির পর দীর্ঘ সময়ের বন্যায় তারা পড়েছেন খাবার সংকট, গো-খাদ্যের অভাব ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে। এখনো অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা। পানির নিচে তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট। তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি। নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে বসবাস করছেন অন্যের বাড়ি। কারো কারো বাড়িঘর ভেঙে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে। সেসব সারিয়ে তোলা এখন সাধ্যের বাইরে। এমন দুর্দিনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পাওয়ার কষ্টও রয়েছে অনেকের। তবে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের মেয়র এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খাদ্য সহায়তা প্রদানসহ নানাভাবে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে রয়েছেন। মেয়র বলছেন, খাদ্য সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি মেরামত, অতি দরিদ্রদের নতুন ঘর তৈরি করে দেয়াসহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে। নগরের বাইমাইল এলাকার গৃহবধূ খোরশেদা বেগম। বাড়ির মোরগ-মুরগি-কবুতর টিনের চালায় রেখে সংসার নিয়ে উঠেছেন এক কিলোমিটার দূরে আত্মীয়ের বাড়িতে। ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে সেখান থেকেই পানির নিচে তলিয়ে থাকা ভিটেবাড়িতে এসে অপেক্ষায় থাকেন সুদিনের আশায়। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চরম দুর্দিনে থাকলেও কেউ তাদের প্রতি বাড়ায়নি সহযোগিতার হাত। এমন দুর্ভোগের চিত্র রয়েছে নগর ও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। ভেঙে যাওয়া ঘর মেরামতের অর্থ না থাকায় বিপাকে পড়ে থাকছেন অন্যের বাড়িতে। আবার ঘরে খাবার না থাকায় বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিও বিল থেকে শাপলাশাক কুড়িয়ে তা বেঁচে টানছেন জীবন- সংসার। বানভাসি অনেকের কোনো ধরনের কর্মসংস্থান ও আয়-রোজগার না থাকায় কষ্টে দিন যাপন করছেন। সিটি করপোরেশন অন্তত ২০টি ওয়ার্ডে বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্ভোগে-কষ্টে আছে এমন হাজারো পরিবারের পাশে সিটি করপোরেশন ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা নিয়ে ছুটে যাচ্ছে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সভাপতি আজমত উল্লা খানসহ নেতৃবৃন্দ। মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে। মহানগর বিএনপি নেতা সুরুজ আহমেদের নেতৃত্বেও সাধ্যমতো ত্রাণসামগ্রী সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, সিটি করপোরেশনের তুরাগ পাড়ের প্রায় ২০টি ওয়ার্ডের লোকজন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুর্ভোগে পড়েছেন। কেউ যাতে অনাহারে না থাকে, সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। অসহায়দের নগদ অর্থ দেয়া হচ্ছে। যাদের সামর্থ্য নাই তাদের বাড়িঘর মেরামত এমনকি নতুন ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত সড়ক মেরামত করা হবে এবং অনেক সড়ক উঁচু করা হবে যাতে এলাকাবাসী ভবিষ্যতে দুর্ভোগের মধ্যে না পড়ে।
তুরাগ পাড়ের দুদিকে সিটি করপোরেশনের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো জলাবদ্ধ। এ ছাড়া তুরাগ ও বংশী স্থানীয় বিল ঝিলের পানি কমছে ধীরে ধীরে। কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর, শ্রীফলতলী ও ঢালজোড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম এবং তলিয়ে রয়েছে রাস্তাঘাট। নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। পানি ওঠার কারণে তাদের বাড়িঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাড়ি ঘরে বন্যার পানি স্থায়ী হওয়ায় মারাত্মক কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বানভাসি এসব মানুষ এখন পানি নেমে যাওয়া আর সঙ্গে সরকারি সহায়তার আশায় রয়েছেন।
সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, সিটি করপোরেশনের তুরাগ পাড়ের প্রায় ২০টি ওয়ার্ডের লোকজন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুর্ভোগে পড়েছেন। কেউ যাতে অনাহারে না থাকে, সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। অসহায়দের নগদ অর্থ দেয়া হচ্ছে। যাদের সামর্থ্য নাই তাদের বাড়িঘর মেরামত এমনকি নতুন ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত সড়ক মেরামত করা হবে এবং অনেক সড়ক উঁচু করা হবে যাতে এলাকাবাসী ভবিষ্যতে দুর্ভোগের মধ্যে না পড়ে।
তুরাগ পাড়ের দুদিকে সিটি করপোরেশনের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো জলাবদ্ধ। এ ছাড়া তুরাগ ও বংশী স্থানীয় বিল ঝিলের পানি কমছে ধীরে ধীরে। কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর, শ্রীফলতলী ও ঢালজোড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম এবং তলিয়ে রয়েছে রাস্তাঘাট। নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। পানি ওঠার কারণে তাদের বাড়িঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাড়ি ঘরে বন্যার পানি স্থায়ী হওয়ায় মারাত্মক কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বানভাসি এসব মানুষ এখন পানি নেমে যাওয়া আর সঙ্গে সরকারি সহায়তার আশায় রয়েছেন।