সিলেটে বন্ধুকে নিয়ে ডিভোর্সি স্ত্রীকে ধর্ষণ

সিলেটের জৈন্তাপুরে ডিভোর্সি স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুজন। সোমবার আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। রোববার ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ধর্ষিত নারীর সাবেক স্বামী কয়েছ আহমদও রয়েছেন।  জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহসীন আলী জানান, জৈন্তাপুর পাখিবিল গ্রামের আব্দুস শহীদের পুত্র কয়েছ আহমদের সঙ্গে ছয় বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ছয় মাস আগে কয়েছ আহমদ স্ত্রীকে আইনানুগ ভাবে তালাক দেন। এরপর থেকে ওই নারী তার নানার বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওই নারীর অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত শনিবার বিকালে কয়েছ আহমদ তার সাবেক স্ত্রীকে নিজের বন্ধু ঘিলাতৈল গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের পুত্র শামীম আহমদের বাড়িতে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই কক্ষে কয়েছ আহমদ তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় কয়েছের বন্ধু শামীম আহমদও তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ভিকটিম বিষয়টি জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে রাত ১২টার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওমর ফারুক জানান, গ্রেপ্তারের পর দুই ধর্ষককে জৈন্তাপুর ৬ নং আমলি আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে বিচারকের সামনে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।