অনলাইন
স্বাস্থ্য কমিশন চাই
এএমএম নাসির উদ্দিন
১৪ আগস্ট ২০২০, শুক্রবার, ৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
করোনা মহামারি এবং রিজেন্ট -জেকেজি হাসপাতাল বা সাহেদ সাবরিনা কেলেঙ্কারি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে আমাদের বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক ল্যাবগুলো দেখাশোনার কেউ নেই। এগুলো যথেচ্ছাচারিতার সঙ্গে সম্পূর্ণ খেয়াল খুশিমত তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সেবার মান এবং দাম নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই। হালে করোনা রোগীদের কাছ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলো যে গলাকাটা চিকিৎসা খরচ আদায় করছে তা নিয়েও কারো মাথা ব্যথা দেখছি না।
বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো কতৃক নিম্নমানের বা মেয়াদোত্তীর্ণ Reagent ব্যবহার বা যথাযথ যোগ্যতা সম্পন্ন টেকনোলজিস্ট ছাড়াই রিপোর্ট তৈরির অভিযোগও নতুন নয়। ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য অনেক বেসরকারি ডায়াগোনস্টিক সেন্টার কতৃক কতিপয় ডাক্তারকে সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে কমিশন প্রদানের বিষয়টিও সবার জানা। এ কমিশনের অর্থ প্রকারান্তরে রোগীর কাছ থেকেই আদায় করা হয়। কিন্তু এ সমস্ত বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক লক্ষ্যভেদি কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। ফলে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্য সেবার প্রায় ৬০% দিয়ে থাকে বেসরকারি খাত। অথচ এদের ফলপ্রসু তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর কোন ব্যবস্হা নেই। স্বাস্থ্য পরিদপ্তরের এগুলো দেখভাল করার সক্ষমতা নেই। এর জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও অন্যান্য সুবিধাদিও স্বাস্থ্য পরিদপ্তরের নেই। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযানের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণের যে চেষ্ঠা চলছে তা যথেষ্ট নয়।
দেখা যাচ্ছে অনেক হাসপাতালের লাইসেন্স ও নবায়ন করা হয়নি। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কতৃপক্ষ অতীব প্রয়োজন। ভারতের পশ্চিম বঙ্গে এ কাজের জন্য Clinical Establishment Regulatory Commission (CERC) রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশেও জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমিশন বা Health Commission গঠন করা প্রয়োজন, যার কাজ হবে প্রধানতঃ হাসপাতালের সেবার মান, স্বাস্থ্য সেবার মূল্য, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টের মান ও মুল্য, স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট নানা অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন ইত্যাদি।
এ কমিশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিয়ে আইন করতে হবে, যাতে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া যায় এবং আইন ভঙ্গকারী দোষী হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রয়োজনে বন্ধ করে দেয়া যায়। তাছাড়া অনৈতিক কমিশন গ্রহণকারী ডাক্তার ও কমিশন পরিশোধকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতাও আইনে থাকতে হবে। প্রয়োজনে জেল জরিমানা ছাড়া ও দোষী ডাক্তার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স বাতিলের বিধান আইনে থাকতে হবে। বর্তমানে করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির জন্যে সাহেদ সাবরিনার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কমিশনের ও অনুরূপ ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতা থাকতে হবে। আশা করি সরকার জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমিশন (Health Commission) গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
লেখক: সাবেক সচিব।
বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো কতৃক নিম্নমানের বা মেয়াদোত্তীর্ণ Reagent ব্যবহার বা যথাযথ যোগ্যতা সম্পন্ন টেকনোলজিস্ট ছাড়াই রিপোর্ট তৈরির অভিযোগও নতুন নয়। ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য অনেক বেসরকারি ডায়াগোনস্টিক সেন্টার কতৃক কতিপয় ডাক্তারকে সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে কমিশন প্রদানের বিষয়টিও সবার জানা। এ কমিশনের অর্থ প্রকারান্তরে রোগীর কাছ থেকেই আদায় করা হয়। কিন্তু এ সমস্ত বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক লক্ষ্যভেদি কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। ফলে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্য সেবার প্রায় ৬০% দিয়ে থাকে বেসরকারি খাত। অথচ এদের ফলপ্রসু তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর কোন ব্যবস্হা নেই। স্বাস্থ্য পরিদপ্তরের এগুলো দেখভাল করার সক্ষমতা নেই। এর জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল ও অন্যান্য সুবিধাদিও স্বাস্থ্য পরিদপ্তরের নেই। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযানের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণের যে চেষ্ঠা চলছে তা যথেষ্ট নয়।
দেখা যাচ্ছে অনেক হাসপাতালের লাইসেন্স ও নবায়ন করা হয়নি। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কতৃপক্ষ অতীব প্রয়োজন। ভারতের পশ্চিম বঙ্গে এ কাজের জন্য Clinical Establishment Regulatory Commission (CERC) রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশেও জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমিশন বা Health Commission গঠন করা প্রয়োজন, যার কাজ হবে প্রধানতঃ হাসপাতালের সেবার মান, স্বাস্থ্য সেবার মূল্য, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টের মান ও মুল্য, স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট নানা অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন ইত্যাদি।
এ কমিশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিয়ে আইন করতে হবে, যাতে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া যায় এবং আইন ভঙ্গকারী দোষী হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রয়োজনে বন্ধ করে দেয়া যায়। তাছাড়া অনৈতিক কমিশন গ্রহণকারী ডাক্তার ও কমিশন পরিশোধকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতাও আইনে থাকতে হবে। প্রয়োজনে জেল জরিমানা ছাড়া ও দোষী ডাক্তার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স বাতিলের বিধান আইনে থাকতে হবে। বর্তমানে করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির জন্যে সাহেদ সাবরিনার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কমিশনের ও অনুরূপ ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতা থাকতে হবে। আশা করি সরকার জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমিশন (Health Commission) গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
লেখক: সাবেক সচিব।