খেলা
ভারত ম্যাচে জাতীয় দলকে বিদায় জানাবেন মামুনুল
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ আগস্ট ২০২০, বুধবার, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলে ১৮টা ট্রফি আছে তার। তারপরও বড় এক অতৃপ্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছেন দেশের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম মামুন। অতৃপ্তিটা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জিততে না পারার। আগামী ১২ই নভেম্বর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জাতীয় দলকে বিদায় জানাবেন মামুনুল। তবে আরো কয়েক বছর ঘরোয়া ফুটবলে খেলতে চান সাবেক এই অধিনায়ক। ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক মামুনুল ইসলামের। পরের বছর প্রথমবারের মতো খেলেন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। শিরোপা উদ্ধারের স্বপ্ন নিয়ে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন মামুনুল। বাংলাদেশ বাদ পড়েছিল গ্রুপপর্ব থেকেই। এরপর টানা পাঁচটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলে ছিলেন মামুনুল ইসলাম। কিন্তু একবারও সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এর মধ্যে ২০০৯ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালের আসর বসেছিল বাংলাদেশেই। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৮০টির মতো ম্যাচ খেলেছেন মামুনুল। আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ আছে আফগানিস্তান ও কাতারের বিপক্ষে। নভেম্বরের দুই ম্যাচ ভারত ও ওমানের বিপক্ষে। লাল-সবুজ জার্সিটা তুলে রাখার জন্য মামুনুল বেছে নিয়েছেন বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ভারতের ম্যাচ। অবসর নিয়ে ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশ-ভারত
ম্যাচ মানেই অন্যরকম আকর্ষণ, অন্যরকম আবেগ। সবসময়ই এ দুই দলের খেলা হয় ফিফটি-ফিফটি। কেবল বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকদেরই নয়, এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর ফুটবলপ্রেমীদের দৃষ্টি থাকে এই ম্যাচে। পরে আবার কবে ভারতের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাবো তার ঠিক নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১২ই নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পরই অবসর নেব জাতীয় দল থেকে।’ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে বিদায় নিতে চাইলে মূল স্কোয়াডে টিকতে হবে এবং ওই ম্যাচেও জায়গা করে নিতে হবে- সেটা মামুনুলও ভালো করে জানেন। তিনি বলেন, ‘১৪ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলে এখন অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আমার লক্ষ্য সুস্থ থাকা এবং ফিট থেকে ওই ম্যাচের জন্য দলে জায়গা করে নেয়া। তা না হলে তো ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে অবসরের ইচ্ছা পূরণ হবে না।’ ফুটবলার হিসেবে অনেক পাওয়ার পরও মামুনুল ইসলামের অতৃপ্তি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আক্ষেপভরা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। টানা ৬টি সাফ খেলেছি। এই অতৃপ্তিই আমার রয়ে গেল জাতীয় দল থেকে অবসরের আগে।’ ঘরোয়া ফুটবলে ২০০৫ সালে ব্রাদার্সকে চ্যাম্পিয়ন করানোর মধ্যে দিয়ে শিরোপা জয়ের স্বাদ পাওয়া শুরু হয়েছিল মামুনুলের। এর পর তিনি আবাহনীর হয়ে একটি ফেডারেশন কাপ, একটি প্রিমিয়ার লীগ, মোহামেডানের হয়ে একটি ফেডারেশন কাপ ও একটি সুপার কাপ জিতেছেন। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে ট্রেবল, শেখ জামালের হয়ে তিনটি প্রিমিয়ার লীগ, দুটি করে ফেডারেশন ও স্বাধীনতা কাপ এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে স্বাধীনতা কাপ জিতেছেন।
ম্যাচ মানেই অন্যরকম আকর্ষণ, অন্যরকম আবেগ। সবসময়ই এ দুই দলের খেলা হয় ফিফটি-ফিফটি। কেবল বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকদেরই নয়, এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর ফুটবলপ্রেমীদের দৃষ্টি থাকে এই ম্যাচে। পরে আবার কবে ভারতের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাবো তার ঠিক নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১২ই নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পরই অবসর নেব জাতীয় দল থেকে।’ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে বিদায় নিতে চাইলে মূল স্কোয়াডে টিকতে হবে এবং ওই ম্যাচেও জায়গা করে নিতে হবে- সেটা মামুনুলও ভালো করে জানেন। তিনি বলেন, ‘১৪ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলে এখন অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আমার লক্ষ্য সুস্থ থাকা এবং ফিট থেকে ওই ম্যাচের জন্য দলে জায়গা করে নেয়া। তা না হলে তো ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে অবসরের ইচ্ছা পূরণ হবে না।’ ফুটবলার হিসেবে অনেক পাওয়ার পরও মামুনুল ইসলামের অতৃপ্তি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আক্ষেপভরা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। টানা ৬টি সাফ খেলেছি। এই অতৃপ্তিই আমার রয়ে গেল জাতীয় দল থেকে অবসরের আগে।’ ঘরোয়া ফুটবলে ২০০৫ সালে ব্রাদার্সকে চ্যাম্পিয়ন করানোর মধ্যে দিয়ে শিরোপা জয়ের স্বাদ পাওয়া শুরু হয়েছিল মামুনুলের। এর পর তিনি আবাহনীর হয়ে একটি ফেডারেশন কাপ, একটি প্রিমিয়ার লীগ, মোহামেডানের হয়ে একটি ফেডারেশন কাপ ও একটি সুপার কাপ জিতেছেন। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে ট্রেবল, শেখ জামালের হয়ে তিনটি প্রিমিয়ার লীগ, দুটি করে ফেডারেশন ও স্বাধীনতা কাপ এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে স্বাধীনতা কাপ জিতেছেন।