বিশ্বজমিন
লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় অ্যাপল ডেইলির
মানবজমিন ডেস্ক
১১ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
চাপিয়ে দেয়া বহুল বিতর্কিত নিরাপত্তা আইনের অধীনে জিমি লাই’কে গ্রেপ্তারের পর লড়াই অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে তার প্রতিষ্ঠিত হংকংয়ের পত্রিকা অ্যাপল ডেইলি। সোমবার হংকং পুলিশ গ্রেপ্তার করে গণতন্ত্রপন্থি এই ধনকুবের ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে। এ সময় তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়। এমন দৃশ্য তার পত্রিকা ছাপা করেছে। তাতে দেখা যায়, হ্যান্ডকাপ পরানো জিমি লাইকে তার নিউজরুমের ভিতর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় ২০০ পুলিশ সদস্য। এদিন তার পত্রিকা অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমঝোতার অভিযোগে তাকেসহ গ্রেপ্তার করা হলো মোট ১০ জন গণতন্ত্রপন্থিকে। ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এই দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হংকংয়ের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে চীন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
মঙ্গলবার অ্যাপল ডেইলি তার প্রথম পৃষ্ঠায় এর মালিক জিমি লাই-এর একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে জিমি লাই’কে হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় দেখা যায়। এ খবরের শিরোনাম ‘অ্যাপল ডেইলি অবশ্যই লড়াই চালিয়ে যাবে’। জিমি লাই প্রতিষ্ঠিত এই জনপ্রিয় পত্রিকাটির একটি কপি হাতে পাওয়ার জন্য স্থানীয় সময় রাত আড়াইটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে যান হংকংয়ের জনগণ। বিক্রি হয়ে যাওয়ার আগে তারা একটি কপি সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করছিলেন। এদিন এ পত্রিকা ছাপা হয় কমপক্ষে ৫ লাখ কপি। সাধারণত যে পরিমাণ পত্রিকা ছাপে তারা, এই সংখ্যা তার চেয়ে এক লাখ বেশি।
বেইজিংয়ের শীর্ষ নেতাদের কড়া সমালোচক জিমি লাই। তিনি সরাসরি তাদের সমালোচনা করেন। তাই হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের কাছে তিনি একজন হিরো। নতুন নিরাপত্তা আইনের অধীনে এ পর্যন্ত যত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে তিনি হাইপ্রোফাইল। কিন্তু চীন তাকে দেখে একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে। তাকে গ্রেপ্তারের পর পরই প্রথম সারির অধিকারকর্মী আগনেস চৌ এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উইলসন লি’কেও একই আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করা হয়েছে ওয়াশিংটন, লন্ডন ও জাতিসংঘ থেকে। একে হংকংয়ের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটে বলেছেন, হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অ্যাপল ডেইলির জিমি লাই’কে গ্রেপ্তারের খবরে আমি গভীরভাবে হতাশ। চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি যে হংকংয়ের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং জনগণের অধিকার নষ্ট করে ফেলেছে, এটা তার আরেকটি প্রমাণ। একই রকম প্রতিক্রিয়া দেয়া হয়েছে বৃটেন থেকে। বৃটেন বলেছে, তারা হংকংয়ের সঙ্গে প্রত্যার্পণ চুক্তি স্থগিত করবে। এ ছাড়া হংকংয়ের যেসব অধিবাসী বৃটেনে নাগরিকত্ব চাইবেন, তাদেরকে তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বৃটেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, বিরোধীদের কণ্ঠরুদ্ধ করার জন্য এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা তারই আরেকটি প্রমাণ। হংকং কর্তৃপক্ষেকে তাদের অধিকার দেয়া উচিত এবং জনগণকে তার স্বাধীনতা দেয়া উচিত। উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেলে ব্যাচেলেট। এতে আন্তর্জাতিক আইনে দেয়া মানবাধিকার কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
কিন্তু কারো কোনো কথায় কান দিচ্ছে না তারা। হংকংয়ের মিডিয়ার স্বাধীনতাকে খর্ব করার আরো লক্ষণ স্পষ্ট হয়েছে। সোমবার অ্যাপল ডেইলি অফিসে তল্লাশি ও এর মালিককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল হংকংয়ে অবস্থিত ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব (এফসিসি)। ফলে তাদেরকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়র হংকং বিষয়ক কমিশনার অফিস থেকে এফসিসিকে নতুন আইন প্রয়োগের নিন্দা জানানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জিমি লাইয়ের বিষয়ে অতিরিক্ত দ্রুততার সঙ্গে কথা বলেছে এফসিসি। জিমি লাইন চীন বিরোধী কাজ করছিলেন হংকংয়ে।
মঙ্গলবার অ্যাপল ডেইলি তার প্রথম পৃষ্ঠায় এর মালিক জিমি লাই-এর একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে জিমি লাই’কে হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় দেখা যায়। এ খবরের শিরোনাম ‘অ্যাপল ডেইলি অবশ্যই লড়াই চালিয়ে যাবে’। জিমি লাই প্রতিষ্ঠিত এই জনপ্রিয় পত্রিকাটির একটি কপি হাতে পাওয়ার জন্য স্থানীয় সময় রাত আড়াইটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে যান হংকংয়ের জনগণ। বিক্রি হয়ে যাওয়ার আগে তারা একটি কপি সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করছিলেন। এদিন এ পত্রিকা ছাপা হয় কমপক্ষে ৫ লাখ কপি। সাধারণত যে পরিমাণ পত্রিকা ছাপে তারা, এই সংখ্যা তার চেয়ে এক লাখ বেশি।
বেইজিংয়ের শীর্ষ নেতাদের কড়া সমালোচক জিমি লাই। তিনি সরাসরি তাদের সমালোচনা করেন। তাই হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের কাছে তিনি একজন হিরো। নতুন নিরাপত্তা আইনের অধীনে এ পর্যন্ত যত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে তিনি হাইপ্রোফাইল। কিন্তু চীন তাকে দেখে একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে। তাকে গ্রেপ্তারের পর পরই প্রথম সারির অধিকারকর্মী আগনেস চৌ এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উইলসন লি’কেও একই আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করা হয়েছে ওয়াশিংটন, লন্ডন ও জাতিসংঘ থেকে। একে হংকংয়ের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটে বলেছেন, হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অ্যাপল ডেইলির জিমি লাই’কে গ্রেপ্তারের খবরে আমি গভীরভাবে হতাশ। চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি যে হংকংয়ের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং জনগণের অধিকার নষ্ট করে ফেলেছে, এটা তার আরেকটি প্রমাণ। একই রকম প্রতিক্রিয়া দেয়া হয়েছে বৃটেন থেকে। বৃটেন বলেছে, তারা হংকংয়ের সঙ্গে প্রত্যার্পণ চুক্তি স্থগিত করবে। এ ছাড়া হংকংয়ের যেসব অধিবাসী বৃটেনে নাগরিকত্ব চাইবেন, তাদেরকে তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বৃটেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, বিরোধীদের কণ্ঠরুদ্ধ করার জন্য এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা তারই আরেকটি প্রমাণ। হংকং কর্তৃপক্ষেকে তাদের অধিকার দেয়া উচিত এবং জনগণকে তার স্বাধীনতা দেয়া উচিত। উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেলে ব্যাচেলেট। এতে আন্তর্জাতিক আইনে দেয়া মানবাধিকার কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
কিন্তু কারো কোনো কথায় কান দিচ্ছে না তারা। হংকংয়ের মিডিয়ার স্বাধীনতাকে খর্ব করার আরো লক্ষণ স্পষ্ট হয়েছে। সোমবার অ্যাপল ডেইলি অফিসে তল্লাশি ও এর মালিককে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল হংকংয়ে অবস্থিত ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব (এফসিসি)। ফলে তাদেরকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়র হংকং বিষয়ক কমিশনার অফিস থেকে এফসিসিকে নতুন আইন প্রয়োগের নিন্দা জানানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জিমি লাইয়ের বিষয়ে অতিরিক্ত দ্রুততার সঙ্গে কথা বলেছে এফসিসি। জিমি লাইন চীন বিরোধী কাজ করছিলেন হংকংয়ে।