প্রথম পাতা
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি
কোতোয়ালি থানার ওসি’র বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
১১ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন এক কাপড় ব্যবসায়ী। মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকির অভিযোগ এনেছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে মামলাটি করেছেন ওই ব্যবসায়ী। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে ১৬ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করবেন পিবিআই-এর সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। মামলায় আসামিদের মধ্যে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- কোতোয়ালি থানার এসআই পবিত্র সরকার, খালিদ শেখ, এএসআই শাহিনুর রহমান, কনস্টেবল মো. মিজান ও সোর্স মোতালেব।
মামলার অভিযোগে বাদী ও ভুক্তভোগী সোহেল মীর উল্লেখ করেছেন, ২রা আগস্ট বিকাল চারটার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ হতে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালি থানাধীন ওয়াইজঘাট এলাকায় নামেন। তারপর আম্বিয়া টাওয়ার সংলগ্ন মেইন রাস্তার উপর উঠামাত্র সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আসামি (পুলিশ সদস্যরা) তার গতিরোধ করে তাকে তল্লাশি করেন। এ সময় অবৈধ কিছু না পেয়ে তার পকেট থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। বাদী তার পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয়া টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা চড়-থাপ্পড় দেয়া শুরু করেন। এ সময় এসআই খালেদসহ অন্যান্য আসামিরা বলেন- তার নামে জঙ্গি মামলার ওয়ারেন্ট আছে। এসব বলে আসামিরা তাকে থানায় নেয়ার জন্য টানা-হ্যাঁচড়া শুরু করেন। তখন রাস্তায় পথচারীরা জড়ো হলে কনস্টেবল মো. মিজান ও ওসি মিজানুর রহমান তাদের পকেট হতে দুই প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট ভুক্তভোগীর হাতে ধরিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তোলেন। পথচারীদের তারা জানায়- প্যাকেটগুলোতে ২১৪ পিস ইয়াবা আছে। ইয়াবা দেখিয়ে ও জেএমবি বলে সোহেল মীরকে টানা-হ্যাঁচড়া করে কোতোয়ালি থানা হাজতে ঢুকিয়ে রাখে। এরপর এসআই খালেদের কথামতো সোহেল তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনার বিবরণ শুনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে ওসি মিজানুর রহমান ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের জানান, থানা থেকে সোহেলকে ছাড়িয়ে নিতে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। তখন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী এসআই পবিত্র সরকার ও এসআই খালিদ শেখের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা জানান ৫ লাখ টাকা দিতেই হবে। না হলে তারা সোহেলকে মাদক মামলা ও জেএমবি বানিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেবেন। আর চাহিদামতো টাকা দিলে তারা সাধারণ ধারায় মামলা ছাড়াই বাদীকে চালান করে দেবেন। সামান্য জরিমানা দিয়ে ছাড়িয়ে আনা যাবে। পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও বোন আসামিদের দুই কিস্তিতে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেয়ার পর তারা সব ঘটনা আড়াল করে নন এফআইআর-এ আদালতে চালান পাঠায়। পরে আসামিরাই তাকে কোর্ট ও গারদ থেকে ছাড়িয়ে আনে। ভুক্তভোগী সোহেলকে ছেড়ে দেয়ার সময় আসামিরা বলেন- ঘটনার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে কিংবা কারো কাছে প্রকাশ করলে ক্রসফায়ার ও বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেবেন।
মামলার অভিযোগে বাদী ও ভুক্তভোগী সোহেল মীর উল্লেখ করেছেন, ২রা আগস্ট বিকাল চারটার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ হতে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালি থানাধীন ওয়াইজঘাট এলাকায় নামেন। তারপর আম্বিয়া টাওয়ার সংলগ্ন মেইন রাস্তার উপর উঠামাত্র সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আসামি (পুলিশ সদস্যরা) তার গতিরোধ করে তাকে তল্লাশি করেন। এ সময় অবৈধ কিছু না পেয়ে তার পকেট থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। বাদী তার পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয়া টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা চড়-থাপ্পড় দেয়া শুরু করেন। এ সময় এসআই খালেদসহ অন্যান্য আসামিরা বলেন- তার নামে জঙ্গি মামলার ওয়ারেন্ট আছে। এসব বলে আসামিরা তাকে থানায় নেয়ার জন্য টানা-হ্যাঁচড়া শুরু করেন। তখন রাস্তায় পথচারীরা জড়ো হলে কনস্টেবল মো. মিজান ও ওসি মিজানুর রহমান তাদের পকেট হতে দুই প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট ভুক্তভোগীর হাতে ধরিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তোলেন। পথচারীদের তারা জানায়- প্যাকেটগুলোতে ২১৪ পিস ইয়াবা আছে। ইয়াবা দেখিয়ে ও জেএমবি বলে সোহেল মীরকে টানা-হ্যাঁচড়া করে কোতোয়ালি থানা হাজতে ঢুকিয়ে রাখে। এরপর এসআই খালেদের কথামতো সোহেল তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনার বিবরণ শুনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে ওসি মিজানুর রহমান ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের জানান, থানা থেকে সোহেলকে ছাড়িয়ে নিতে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। তখন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী এসআই পবিত্র সরকার ও এসআই খালিদ শেখের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা জানান ৫ লাখ টাকা দিতেই হবে। না হলে তারা সোহেলকে মাদক মামলা ও জেএমবি বানিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেবেন। আর চাহিদামতো টাকা দিলে তারা সাধারণ ধারায় মামলা ছাড়াই বাদীকে চালান করে দেবেন। সামান্য জরিমানা দিয়ে ছাড়িয়ে আনা যাবে। পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও বোন আসামিদের দুই কিস্তিতে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেয়ার পর তারা সব ঘটনা আড়াল করে নন এফআইআর-এ আদালতে চালান পাঠায়। পরে আসামিরাই তাকে কোর্ট ও গারদ থেকে ছাড়িয়ে আনে। ভুক্তভোগী সোহেলকে ছেড়ে দেয়ার সময় আসামিরা বলেন- ঘটনার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে কিংবা কারো কাছে প্রকাশ করলে ক্রসফায়ার ও বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেবেন।