বাংলারজমিন

রামগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

১১ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে  ফাতেমা আক্তার প্রিয়া (১৪) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে ঘাতক ধর্ষক বাহারুল আলম বাহার (২৯)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনাটি ঘটে শনিবার ভাটরা ইউনিয়নের বাড়খাড়া গ্রামের কিশোরী ফাতেমা আক্তার প্রিয়া উপজেলার ১০নং ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেনের কন্যা। গ্রেপ্তারকৃত বাহারুল আলম বাহার ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের আয়ুব আলীম মাস্টার বাড়ীর হারুন অর রশিদের ছেলে। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেন বাদী হয়ে রোববার রামগঞ্জ থানায় বাহারুল আলম বাহার ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারসহ দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা  দায়ের করে। এদিকে ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া-খোদ্দনগর গ্রামের সমাজ কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে ১০ই জুলাই সকাল ১১টায় বাউরখাড়া মেইন সড়কে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধন চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী ফাতেমা আক্তার প্রিয়ার হত্যাকারীর ফাঁসি এবং সহযোগীদেরকে গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সমাজ কল্যাণ সংঘের উপদেষ্টা ডাক্তার নুরনবী মানিক, ইউপি মেম্বার নুরুল হুদা,বিল্লাল হোসেন,রেজাউল আশ্রাফ পলাশ,তানভীর সুলতান নিসাদ, সাদ্দাম ও সাব্বির হোসেন সহ প্রমুখ।
থানা সূত্রে ও মামলার বাদী লোকমান জানান, শনিবার সকালে বাড়ির সম্পর্কিত নাতীন রাবেয়া আক্তার ও তার স্বামী বাহারুল আলম আমার মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। বিকাল ৩টায় প্রিয়া হৃদরোগে মারা গেছে বলে খবর দেয় এবং লাশ নিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বাহার ও তাঁর স্ত্রী দ্রুত চলে যায়।
এদিকে  বাড়ির লোকজন লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে। পরে গোসল করানোর সাথে জড়িত একই গ্রামের সেলিনা আক্তার (৩৫) ও সেলিনা বেগম (৩০) প্রিয়ার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্নসহ গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণের বিষয়টি জানায়। বিষয়টি বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলে তাদের পরামর্শক্রমে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান এবং রাতের আধারে বাহার পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ঘটনার সাথে জড়িত বাহারুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যপারে কিশোরীর বাবা লোকমান হোসেন রোববার বাহারুল আলম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত বাহারুল আলমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status