প্রথম পাতা
বারিধারায় খুন
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ঘিরে তদন্ত
স্টাফ রিপোর্টার
৯ আগস্ট ২০২০, রবিবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
জমি নিয়ে বিরোধ ও আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আবাসন ব্যবসায়ী আবুল খায়ের খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে পুলিশ ধারণা করছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে সন্দেহভাজনদের ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘটনার দিন দুপুরে খাবার ও ঘুমের পর একটি ফোন পেয়ে মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি’র টাকা পকেটে নিয়ে বের হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে আর বাসায় ফেরেননি আবুল খায়ের। নিহতের মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা বাদী হয়ে শুক্রবার অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
শুক্রবার সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম-ব্লকে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানির অধীনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে আবুল খায়েরের লাশ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহের তীর নির্মাণাধীন ভবনের ৯ অংশিদারের মধ্যে তিন অংশীদারের দিকে। তাদের ধারণা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হতে পারেন আবুল খায়ের। নির্মাণাধীন ভবনের সামনে আবুল খায়েরের মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে নিহতের ছোটভাই নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বাবলু মানবজমিনকে জানান, কিছুদিন আগে একটি জমি কিনেছিলেন তার ভাই। ওই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে আমাকে জানিয়েছিলেন। হয়তো ওই বিরোধের জেরে তাকে খুন হতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমাদের জানা মতে ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে ঢাকায় আসেন। ভাইয়ের অবর্তমানে পুরো সংসার অথৈ সাগরে পড়ে গেল। আমাদের নিজেদের অতোটা সামর্থ্য নেই।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ঠিকাদারের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন খায়ের। এরপর বছর দশেক আগে নিজেই আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। কোম্পানির নাম নিজের একমাত্র ছেলের নামে ‘সজীব বিল্ডার্স’ রাখেন। তার কোনো কার্যালয় ছিল না। নিজের বাসাতেই ব্যবসায়িক কাজ চালাতেন। নিজে আবাসন ব্যবসা শুরুর পর দু’টি ভবন নির্মাণ করেছেন। একটি বসুন্ধরার এফ-ব্লকের যে বাসায় তিনি থাকেন, সেটি। আরেকটি বাড্ডায়। বসুন্ধরা এম- ব্লকের যে ভবনের নিচে তার লাশ পাওয়া গেছে, সেটি ছিল তার তৃতীয় কাজ। ভবনটি দশতলা ওঠার কথা ছিল। ফেব্রুয়ারিতে চারটি ছাদ ওঠার পর থেকে কাজ বন্ধ হয়।
সূত্র জানায়, নিহতের দুই ছেলে-মেয়ে। বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন দুপুরে খেয়ে বিশ্রাম নেয়ার একপর্যায়ে ফোন আসে। আবুল খায়েরের স্ত্রী রুপালি আক্তার অনুরোধ করলে প্রথম ফোন কেটে দেন। বিকাল পৌঁনে চারটার দিকে তার মুঠোফোনে আরেকটি কল এলে তিনি পরিবারকে ‘আসছি’ বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে এম-ব্লকে যাচ্ছেন এবং স্বর্ণার সেমিস্টার ফি দিতে হবে বলে চলে যান। তার সঙ্গে নগদ ৬০ হাজার টাকা, দু’টি মুঠোফোন এবং একটি দামি ঘড়ি ছিল। সূত্র জানায়, যে ভবনটি নির্মাণ করছিলেন, সেটির একজন অংশীদার ছিলেন আবুল খায়ের। বাকি ৯ জন অংশীদারের সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল বলে মুঠোফোনে তার ভাইকে জানিয়েছিলেন। ভবনের ৯ অংশীদারের একজন বায়িং হাউসের কোয়ালিটি এসিওরেন্স কর্মকর্তা জানিয়েছেন শুধু বর্গফুট হিসেবে ভবন নির্মাণের কাজ পেয়েছিলেন আবুল খায়ের। এই অংশীদারদের কেউ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
বাড্ডা থানা সূত্রে জানা গেছে, আবুল খায়ের যাদের দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তারা তার চেনাজানা। কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে পুলিশ। একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। যারা গা-ঢাকা দিয়েছে তাদের ধরতে অভিযান চলছে। এছাড়াও কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদন্তে যাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সূত্র জানায়, এ বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি মুক্তারুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, আবুল খায়েরের পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার সকালে তার লাশ পাওয়ার খবর পুলিশকে জানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আবুল খায়েরের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম-ব্লকে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানির অধীনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে আবুল খায়েরের লাশ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহের তীর নির্মাণাধীন ভবনের ৯ অংশিদারের মধ্যে তিন অংশীদারের দিকে। তাদের ধারণা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হতে পারেন আবুল খায়ের। নির্মাণাধীন ভবনের সামনে আবুল খায়েরের মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে নিহতের ছোটভাই নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বাবলু মানবজমিনকে জানান, কিছুদিন আগে একটি জমি কিনেছিলেন তার ভাই। ওই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে আমাকে জানিয়েছিলেন। হয়তো ওই বিরোধের জেরে তাকে খুন হতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমাদের জানা মতে ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে ঢাকায় আসেন। ভাইয়ের অবর্তমানে পুরো সংসার অথৈ সাগরে পড়ে গেল। আমাদের নিজেদের অতোটা সামর্থ্য নেই।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ঠিকাদারের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন খায়ের। এরপর বছর দশেক আগে নিজেই আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। কোম্পানির নাম নিজের একমাত্র ছেলের নামে ‘সজীব বিল্ডার্স’ রাখেন। তার কোনো কার্যালয় ছিল না। নিজের বাসাতেই ব্যবসায়িক কাজ চালাতেন। নিজে আবাসন ব্যবসা শুরুর পর দু’টি ভবন নির্মাণ করেছেন। একটি বসুন্ধরার এফ-ব্লকের যে বাসায় তিনি থাকেন, সেটি। আরেকটি বাড্ডায়। বসুন্ধরা এম- ব্লকের যে ভবনের নিচে তার লাশ পাওয়া গেছে, সেটি ছিল তার তৃতীয় কাজ। ভবনটি দশতলা ওঠার কথা ছিল। ফেব্রুয়ারিতে চারটি ছাদ ওঠার পর থেকে কাজ বন্ধ হয়।
সূত্র জানায়, নিহতের দুই ছেলে-মেয়ে। বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন দুপুরে খেয়ে বিশ্রাম নেয়ার একপর্যায়ে ফোন আসে। আবুল খায়েরের স্ত্রী রুপালি আক্তার অনুরোধ করলে প্রথম ফোন কেটে দেন। বিকাল পৌঁনে চারটার দিকে তার মুঠোফোনে আরেকটি কল এলে তিনি পরিবারকে ‘আসছি’ বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে এম-ব্লকে যাচ্ছেন এবং স্বর্ণার সেমিস্টার ফি দিতে হবে বলে চলে যান। তার সঙ্গে নগদ ৬০ হাজার টাকা, দু’টি মুঠোফোন এবং একটি দামি ঘড়ি ছিল। সূত্র জানায়, যে ভবনটি নির্মাণ করছিলেন, সেটির একজন অংশীদার ছিলেন আবুল খায়ের। বাকি ৯ জন অংশীদারের সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল বলে মুঠোফোনে তার ভাইকে জানিয়েছিলেন। ভবনের ৯ অংশীদারের একজন বায়িং হাউসের কোয়ালিটি এসিওরেন্স কর্মকর্তা জানিয়েছেন শুধু বর্গফুট হিসেবে ভবন নির্মাণের কাজ পেয়েছিলেন আবুল খায়ের। এই অংশীদারদের কেউ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
বাড্ডা থানা সূত্রে জানা গেছে, আবুল খায়ের যাদের দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তারা তার চেনাজানা। কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে পুলিশ। একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। যারা গা-ঢাকা দিয়েছে তাদের ধরতে অভিযান চলছে। এছাড়াও কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদন্তে যাদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সূত্র জানায়, এ বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি মুক্তারুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, আবুল খায়েরের পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার সকালে তার লাশ পাওয়ার খবর পুলিশকে জানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আবুল খায়েরের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।