শেষের পাতা
বিক্ষোভে উত্তাল বৈরুত
মানবজমিন ডেস্ক
৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন
বিক্ষোভে উত্তাল লেবাননের রাজধানী বৈরুত। শহরটির বন্দর এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ কেমিক্যাল বিস্ফোরণ নিয়ে দু’দিন ধরে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বাধ্য হচ্ছে টিয়ারগ্যাস ছুড়তে। তারপরেও শহরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। খবরে বলা হয়, আন্দোলনকারীরা লেবাননের পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। সম্প্রতি বৈরুতের পোর্টে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার জন্য সরকারের গাফিলতিকে দায়ী করছেন বিক্ষুব্ধরা। এতে প্রাণ হারিয়েছেন এখন পর্যন্ত ১৫৪ জন। আহত হয়েছেন ৫০০০ এর বেশি। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকে।
বিস্ফোরণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা এসে স্থানটি পরিষ্কারে সাহায্য করছে। এতে অনেকেই নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পারছেন।
বিক্ষোভ থেকে হিলদা নামের এক নারী বলেন, আমার দোকানের কি বেহাল দশা হয়েছে! শুধু আমার দোকানেই নয়, আমার পাশের দোকানে কিছুই নেই আর। যদি ক্ষমতার পরিবর্তন হয় আমি আবার ব্যবসা দাঁড় করাবো। এভাবেই চলতে থাকলে আমি আর এই ব্যবসায় নেই। মৃতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ লেবানিজরা রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেন। ৩০ বছর বয়সী মোহাম্মদ বলেন, আমরা আর কিছু সহ্য করতে চাই না। এটাই শেষ। এই সরকারকে চলে যেতে হবে।
এদিকে জর্ডানে নিযুক্ত লেবাননের রাষ্ট্রদূত ত্রাসি চামুন হামলার প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাটির কারণ হচ্ছে লেবানন সরকারের স্পষ্ট অবহেলা। কোনোভাবেই আর এই সরকারকে সহ্য করা যাচ্ছে না। তাই আমি সরকারের এই অবহেলা, দুর্নীতি ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করলাম। এর আগে সরকার পরিবর্তনের দাবি তুলে পদত্যাগ করেছিলেন লেবাননের একজন আইনপ্রণেতা। বিস্ফোরণের পর এটিই ছিল প্রথম পদত্যাগ।
বিস্ফোরণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা এসে স্থানটি পরিষ্কারে সাহায্য করছে। এতে অনেকেই নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পারছেন।
বিক্ষোভ থেকে হিলদা নামের এক নারী বলেন, আমার দোকানের কি বেহাল দশা হয়েছে! শুধু আমার দোকানেই নয়, আমার পাশের দোকানে কিছুই নেই আর। যদি ক্ষমতার পরিবর্তন হয় আমি আবার ব্যবসা দাঁড় করাবো। এভাবেই চলতে থাকলে আমি আর এই ব্যবসায় নেই। মৃতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ লেবানিজরা রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেন। ৩০ বছর বয়সী মোহাম্মদ বলেন, আমরা আর কিছু সহ্য করতে চাই না। এটাই শেষ। এই সরকারকে চলে যেতে হবে।
এদিকে জর্ডানে নিযুক্ত লেবাননের রাষ্ট্রদূত ত্রাসি চামুন হামলার প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাটির কারণ হচ্ছে লেবানন সরকারের স্পষ্ট অবহেলা। কোনোভাবেই আর এই সরকারকে সহ্য করা যাচ্ছে না। তাই আমি সরকারের এই অবহেলা, দুর্নীতি ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করলাম। এর আগে সরকার পরিবর্তনের দাবি তুলে পদত্যাগ করেছিলেন লেবাননের একজন আইনপ্রণেতা। বিস্ফোরণের পর এটিই ছিল প্রথম পদত্যাগ।