বাংলারজমিন
খানসামার সমতল ভূমিতে চা চাষ
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার, ৮:০৮ পূর্বাহ্ন
পাহাড়ি অঞ্চলের পর উত্তর জনপদের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীর পর দিনাজপুরের সমতল ভূমিতে চা চাষের ক্ষেত্র দিন দিন বাড়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চা চাষে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউপির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মমিনুর ইসলাম। তার ধান চাষের জমিতে চা-বাগান দেখে উৎসাহী হয়ে চা চাষে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের রাজিব ইসলাম আত্রাই নদীর তীরে ৪ মাস আগে ৩ একর জমিতে চা চাষ শুরু করেছেন। এ ছাড়াও নেউলায় দু’টি পরিবার ও পাকেরহাট নিবাসী রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ঐশী চৌধুরীসহ অনেকেই চা-বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দিনাজপুরসহ উত্তরের জেলাগুলোতে চা চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন চা চাষিরা। একবার চা-বাগান করলে সেখান থেকে ৮০-১০০ বছর চা পাতা সংগ্রহ করা যায়। এতে তৈরি হয়েছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।
কৃষি অফিস জানায়, চা-বাগানে নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে বাগানে যেন পানি না জমে সেজন্য গাছের গোড়া উঁচু করে দিতে হয়। চা গাছে ছায়া দিতে মাঝে মধ্যে লাগানো যেতে পারে পেয়ারা, নিম, আম ইত্যাদি গাছ। এ ছাড়াও খরার সময় পানি দিয়ে গাছ সতেজ রাখতে হয়। মাঝেমধ্যে জীবাণুনাশক ওষুধও স্প্রে করতে হয়। গাছ যত বড় হবে পাতার পরিমাণ ততই বাড়বে। তবে লাল মাকড়সা ও মশা চা পাতা যেন না খেয়ে ফেলে তার জন্য ওষুধ ছিটানো প্রয়োজন।
সরেজমিনে সহজপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চা-বাগান মালিক মমিনুর ইসলাম, তার পিতা নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন শ্রমিক চায়ের পাতা সংগ্রহ করছেন। মমিনুর ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে চাকরি করতে গিয়ে চা চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই বন্ধুর পরামর্শে ২০১৮ সালের নভেম্ব্বর মাসে এক একর জমিতে চা চাষ শুরু করেন। এতে জমি প্রস্তুত, বীজ, শ্রমিক মিলে অন্তত আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়। এরপর প্রথম ৬ মাসের প্রতিমাসে স্প্রে, নিড়ানি ও সার দিতে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। এরপর গাছ বড় হওয়ার পর এখন প্রতিমাসে ৯-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। চা বাগান করার ৬ মাস পর প্রথম এক কেজি চা পাতা সংগ্রহ হয়েছিল। তবে এ বছর প্রথমে ৩০০ কেজি, দ্বিতীয়তে ৯৩০ কেজি এবং শেষে ৮৭৫ কেজি চা পাতা ১৪ টাকা কেজি দরে দেবীগঞ্জ পপুলার চা কারখানায় বিক্রি করেন। বাগান থেকে ৩৫-৪০ দিন পর পর চা পাতা সংগ্রহ করা যায়। গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পাতা সংগ্রহের পরিমাণও বাড়বে। প্রতিমাসেই চা পাতা বিক্রি করা যাবে। একবার চা বাগান করলে সেখান থেকে ৮০-১০০ বছর চা পাতা সংগ্রহ করা যায়। এটা লাভজনক। তাই তিনি চা চাষ করার আহ্বান জানান।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে খানসামা উপজেলার অবস্থান হওয়ায় চা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত। চা গাছ নিবিড় পরিচর্যা, পরিমিত পানি সেচ এবং যত্নবান হতে হবে। ইতিমধ্যে দু’জন চা চাষে এগিয়ে এসেছেন। লাভজনক হওয়ায় চা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
কৃষি অফিস জানায়, চা-বাগানে নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে বাগানে যেন পানি না জমে সেজন্য গাছের গোড়া উঁচু করে দিতে হয়। চা গাছে ছায়া দিতে মাঝে মধ্যে লাগানো যেতে পারে পেয়ারা, নিম, আম ইত্যাদি গাছ। এ ছাড়াও খরার সময় পানি দিয়ে গাছ সতেজ রাখতে হয়। মাঝেমধ্যে জীবাণুনাশক ওষুধও স্প্রে করতে হয়। গাছ যত বড় হবে পাতার পরিমাণ ততই বাড়বে। তবে লাল মাকড়সা ও মশা চা পাতা যেন না খেয়ে ফেলে তার জন্য ওষুধ ছিটানো প্রয়োজন।
সরেজমিনে সহজপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চা-বাগান মালিক মমিনুর ইসলাম, তার পিতা নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন শ্রমিক চায়ের পাতা সংগ্রহ করছেন। মমিনুর ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে চাকরি করতে গিয়ে চা চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই বন্ধুর পরামর্শে ২০১৮ সালের নভেম্ব্বর মাসে এক একর জমিতে চা চাষ শুরু করেন। এতে জমি প্রস্তুত, বীজ, শ্রমিক মিলে অন্তত আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়। এরপর প্রথম ৬ মাসের প্রতিমাসে স্প্রে, নিড়ানি ও সার দিতে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। এরপর গাছ বড় হওয়ার পর এখন প্রতিমাসে ৯-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। চা বাগান করার ৬ মাস পর প্রথম এক কেজি চা পাতা সংগ্রহ হয়েছিল। তবে এ বছর প্রথমে ৩০০ কেজি, দ্বিতীয়তে ৯৩০ কেজি এবং শেষে ৮৭৫ কেজি চা পাতা ১৪ টাকা কেজি দরে দেবীগঞ্জ পপুলার চা কারখানায় বিক্রি করেন। বাগান থেকে ৩৫-৪০ দিন পর পর চা পাতা সংগ্রহ করা যায়। গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পাতা সংগ্রহের পরিমাণও বাড়বে। প্রতিমাসেই চা পাতা বিক্রি করা যাবে। একবার চা বাগান করলে সেখান থেকে ৮০-১০০ বছর চা পাতা সংগ্রহ করা যায়। এটা লাভজনক। তাই তিনি চা চাষ করার আহ্বান জানান।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে খানসামা উপজেলার অবস্থান হওয়ায় চা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া উপযুক্ত। চা গাছ নিবিড় পরিচর্যা, পরিমিত পানি সেচ এবং যত্নবান হতে হবে। ইতিমধ্যে দু’জন চা চাষে এগিয়ে এসেছেন। লাভজনক হওয়ায় চা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।