প্রথম পাতা

কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

সত্য প্রকাশ করা সাংবাদিকের মৌলিক অধিকার

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা থেকে

৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

বীরভূমের বালি খাদানের দুর্নীতি নিয়ে লাগাতার খবর করতেন এই সাংবাদিক। বালির চোরাচালানে যুক্ত ক্ষমতার অলিন্দে থাকা হেভিওয়েট কিংবা প্রভাবশালী কেউ রক্ষা পায়নি এই সাংবাদিকের কলম থেকে। বিপত্তি তৈরি হলো সমপ্রতি। বালি মাফিয়াদের কাছ থেকে নির্বিবাদে তোলা তুলে একশ্রেণির পুলিশ। তোলা  তোলার সময়ই পুলিশের গাড়ির চাকার তলায় পড়ে প্রাণ যায় এক বালি মাফিয়ার সহকারীর। নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে ঘটনাটিকে চালানো যেত। কিন্তু এই সাংবাদিক অন্তর্তদন্ত করে ঘটনার মূলে পৌঁছালেন। পুলিশের সঙ্গে বালি মাফিয়াদের যোগাযোগের খবর প্রকাশিত হলো। নিট ফল, এই সাংবাদিককে পুলিশের চারবার জেরা এবং সাংবাদিকের তিন বার আগাম জামিন নেয়া। পুলিশের অত্যাচারে জর্জরিত সাংবাদিক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ও সৌমেন সেন-এর ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় এক যুগান্তকারী রায় দিলো। ডিভিশন বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, সত্য প্রকাশ করাটা সাংবাদিকের মৌলিক অধিকার। সাংবাদিক দুর্নীতির মুখোশ খোলেন। এরদ্বারা জনসাধারণ সচেতন হয়, প্রশাসন দুর্নীতি রুখে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে পারে। সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করা যায় না। তবে, যদি সাংবাদিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কিছু প্রকাশ করেন তাহলে তিনিও অপরাধী। তবে, বর্তমান মামলার যৌক্তিকতা সম্পর্কে বিচারপতিরা নিঃসংশয়। কারণ বালি মাফিয়াদের সঙ্গে একশ্রেণির পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশ থাকার কথা সবাই জানে। ডিভিশন বেঞ্চ বীরভূমের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে সাংবাদিককে কোন প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদ এবং আগাম জামিন নিতে বাধ্য করা হয়েছে সেই সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status