অনলাইন
কুয়াকাটায় দেশি-বিদেশি পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
৪ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:৪০ পূর্বাহ্ন
করোনা দুর্যোগকে পেছনে ফেলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সমাগমে মুখরিত কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঈদের চতুর্থদিনেও হাজার হাজার পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ে মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে কুয়াকাটা। ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সমুদ্রে হৈ হুল্লোর, গোসল, দৌড়ঝাঁপ ও উন্মাদনা। পূর্ণিমার জোঁ থাকায় উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মাতোয়ারা পর্যটক ও দর্শণার্থীরা। নেচে গেয়ে দীর্ঘদিনের ঘরবন্দি মানুষগুলো মিলিত হয়েছে প্রাণের স্পন্দনে। সবকিছুই মিলিয়ে দীর্ঘদিনের সুনশান পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পুনরায় ফিরে পেয়েছে পূর্ণতা। সৈকতের দর্শণীয় স্থানগুলোতে বীচ বাইকে ঘুরে দেখছে ভ্রমণ পিপাষু নানা বয়সের মানুষ। ওয়াটার বাইক নিয়ে সমুদ্রের গভীরে এ্যাডভ্যাঞ্চার প্রিয়দের দাঁপিয়ে বেড়ানো সত্যিই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অর্জন। এমন দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সৈকতে নতুন যুক্ত হওয়া ঘোড়ার গাড়িতে চেপে শিশু ও বয়স্করা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে সমুদ্র ও প্রাকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকন করছে। কেউ কেউ আবার চার চাকা বিশিষ্ট বীচ বাইকার নিয়ে জলকেলিতে মিলিত হয়েছে। সুন্দরবনের পূর্বাংশ টেংরাগিরি বনাঞ্চল, লেম্বুরবন, গঙ্গামতির লেক, জাতীয় উদ্যান, লাল কাঁকড়ার চর, বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইনপল্লীতে অসংখ্য পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। আবাসিক হোটেল মোটেলে রয়েছে চাহিদা মাফিক বুকিং। বেচাকেনা বেড়েছে খাবার হোটেলে, শামুক ঝিনুকের দোকান, শুটকি মাকের্ট, বার্মিজ পণ্যসহ পর্যটক নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর এই প্রথম পর্যটকদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে এমন দাবি ব্যবসায়ীদের। সমুদ্রের সান্নিধ্যে এসে বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পেরে খুশী পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আফজালুল আহম্মেদ টিপুসহ তার সঙ্গীয় বন্ধুদের নিয়ে মটর বাইক নিয়ে সোমবার বিকেলে কুয়াকাটা এসেছেন। উঠেছেন আবাসিক হোটেল রেইন ড্রপে। সমুদ্র ভ্রমণের জন্য তারা বর্ষা মৌসুমকে প্রধান্য দেয়। পর্যটক টিপু জানান, উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ ও গর্জন তাদেরকে বিমোহীত করে। তাই ঈদের ছুটিকে উপভোগ্য করতে কুয়াকাটা সৈকতকে বেছে নিয়েছেন তারা।
সমুদ্র লাগোয়া আবাসিক হোটেল “সৈকত” এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান শেখ জানিয়েছেন, ঈদের দিন থেকেই পর্যটকরা কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেছে। রোববার থেকে ধারাবাহিকভাবে বুধবার পর্যন্ত তার হোটেলের শতভাগ রুমই বুকিং আছে। প্রচ- ভ্যাপসা গরমের কারণে অধিকাংশ পর্যটকের এসি রুমের চাহিদা ছিল এমনটাই জানিয়েছেন জিয়া শেখ।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুয়াকাটা গেষ্ট হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটকদের কুয়াকাটায় টানতে ৩০-৪০ ভাগ ছাড়ে রুম বুকিং দেয়া হয়। এমন ইতিবাচক সিদ্ধান্তে প্রত্যেক আবাসিক হোটেলে আশানুরূপ রুম বুকিং রয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে করোনাকালীন লোকসান পুষিয়ে অচিরেই লাভের মুখ দেখবেন ব্যবসায়ীরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ পরবর্তী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অগণিত পর্যটকের নিরাপত্তায় দর্শণীয় স্থানগুলোতে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের সেবা অব্যাহত রাখতে সার্বক্ষণিক নজরজারিতে ছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আফজালুল আহম্মেদ টিপুসহ তার সঙ্গীয় বন্ধুদের নিয়ে মটর বাইক নিয়ে সোমবার বিকেলে কুয়াকাটা এসেছেন। উঠেছেন আবাসিক হোটেল রেইন ড্রপে। সমুদ্র ভ্রমণের জন্য তারা বর্ষা মৌসুমকে প্রধান্য দেয়। পর্যটক টিপু জানান, উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ ও গর্জন তাদেরকে বিমোহীত করে। তাই ঈদের ছুটিকে উপভোগ্য করতে কুয়াকাটা সৈকতকে বেছে নিয়েছেন তারা।
সমুদ্র লাগোয়া আবাসিক হোটেল “সৈকত” এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান শেখ জানিয়েছেন, ঈদের দিন থেকেই পর্যটকরা কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেছে। রোববার থেকে ধারাবাহিকভাবে বুধবার পর্যন্ত তার হোটেলের শতভাগ রুমই বুকিং আছে। প্রচ- ভ্যাপসা গরমের কারণে অধিকাংশ পর্যটকের এসি রুমের চাহিদা ছিল এমনটাই জানিয়েছেন জিয়া শেখ।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুয়াকাটা গেষ্ট হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটকদের কুয়াকাটায় টানতে ৩০-৪০ ভাগ ছাড়ে রুম বুকিং দেয়া হয়। এমন ইতিবাচক সিদ্ধান্তে প্রত্যেক আবাসিক হোটেলে আশানুরূপ রুম বুকিং রয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে করোনাকালীন লোকসান পুষিয়ে অচিরেই লাভের মুখ দেখবেন ব্যবসায়ীরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ পরবর্তী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অগণিত পর্যটকের নিরাপত্তায় দর্শণীয় স্থানগুলোতে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের সেবা অব্যাহত রাখতে সার্বক্ষণিক নজরজারিতে ছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ।