বিশ্বজমিন
‘কালোদিবস’ কাল
কাশ্মীরে কারফিউ
মানবজমিন ডেস্ক
৪ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
আগামীকাল বুধবার ৫ই আগস্ট। এদিনে ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। বুধবার তার প্রথম বার্ষিকী। এদিন ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ হতে পারে, এমন আশঙ্কায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ভারত শাসিত কাশ্মীরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কাশ্মীরের বিদ্রোহী গ্রুপগুলো এদিনকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করার পরিকল্পনা করছে। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে তাদের সহিংস বিক্ষোভ প্রতিরোধ করতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তারা আরো বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের সমাবেশের অনুমতি নেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
গত বছর ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি ভারতের অধীনে নিয়ে তাকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে আধা-স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। কাশ্মীর থেকে সাংবাদিকরা বলছেন, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের বার্ষিকীকে সামনে রেখে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি সেনা সদস্য। গত বছর যখন সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয় তখন ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়ে ভারত সরকার। জারি করা হয় কারফিউ। বন্ধ করে দেয়া হয় সব রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার মানুষকে। এ অঞ্চলে প্রতিবাদকারী এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা মাঝে মাঝেই প্রত্যক্ষ করেন স্থানীয়রা। ৫ই আগস্টের আগে-পরে কাশ্মীর থেকে হাজার হাজার অধিকার কর্মী ও অন্যদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জম্মু কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে ফেলা এবং হাজার হাজার মানুষকে আটক করার পরও সেখানে বিক্ষোভ করেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। জম্মু কাশ্মীর থেকে ভারত সরকার সাবেক তিনজন মুখ্যমন্ত্রীকেও আটক করে। উল্লেখ্য, ভারতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একমাত্র রাজ্য হলো জম্মু-কাশ্মীর। কয়েক দশক ধরে সেখানে ভারত বিরোধী বিক্ষোভ হয়ে আসছে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে দেখা হয় এটাকে। একই সঙ্গে উচ্চ মাত্রায় সামরিকীকরণ করা হয়েছে সেখানে। ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশই কাশ্মীরের পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এর মাত্র অংশবিশেষে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দুটি যুদ্ধ করেছে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী।
গত বছর ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি ভারতের অধীনে নিয়ে তাকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে আধা-স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। কাশ্মীর থেকে সাংবাদিকরা বলছেন, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের বার্ষিকীকে সামনে রেখে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি সেনা সদস্য। গত বছর যখন সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয় তখন ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়ে ভারত সরকার। জারি করা হয় কারফিউ। বন্ধ করে দেয়া হয় সব রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার মানুষকে। এ অঞ্চলে প্রতিবাদকারী এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা মাঝে মাঝেই প্রত্যক্ষ করেন স্থানীয়রা। ৫ই আগস্টের আগে-পরে কাশ্মীর থেকে হাজার হাজার অধিকার কর্মী ও অন্যদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জম্মু কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে ফেলা এবং হাজার হাজার মানুষকে আটক করার পরও সেখানে বিক্ষোভ করেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। জম্মু কাশ্মীর থেকে ভারত সরকার সাবেক তিনজন মুখ্যমন্ত্রীকেও আটক করে। উল্লেখ্য, ভারতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একমাত্র রাজ্য হলো জম্মু-কাশ্মীর। কয়েক দশক ধরে সেখানে ভারত বিরোধী বিক্ষোভ হয়ে আসছে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে দেখা হয় এটাকে। একই সঙ্গে উচ্চ মাত্রায় সামরিকীকরণ করা হয়েছে সেখানে। ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশই কাশ্মীরের পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এর মাত্র অংশবিশেষে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দুটি যুদ্ধ করেছে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী।