খেলা
‘দলবদ্ধ অনুশীলন হবে আসল চ্যালেঞ্জ’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৮ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজিত ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন পর্ব শেষ হচ্ছে আজ। এখন প্রশ্ন ঈদের পর কি ফের অনুশীলনের সুযোগ পাবে ক্রিকেটাররা? নাকি বিসিবি ক্যাম্প আয়োজন করবে? প্রশ্ন থাকছে ব্যক্তিগত এই অনুশীলন পর্ব কতটা সফল হলো! এ বিষয়ে বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের প্রধান দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের পর কিভাবে অনুশীলন আয়োজন হবে তা নিয়ে বিসিবি এখনো আমাদের কোন নিদের্শনা দেয়নি। তাই এ নিয়ে এখনই কিছুই বলতে পারছি না। আর প্রথম পর্বে ব্যক্তিগত অনুশীলনের যে ব্যবস্থাপনা ছিল বলতে পারেন অনেকটাই সফল। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের আসল চ্যালেঞ্জ হবে ঈদের পর। ধারণা করছি তখন গ্রুপ ট্রেনিং বা টিম ট্রেনিং শুরু করা হতে পারে। সেটি হলে আমাদের সত্যিকারের চ্যালেঞ্জটা সামনে আসবে। কারণ, সারা দেশে ১০/১২ জন ছিল। মিরপুর মাঠে ৪/৫ জন। সংখ্যা যখন বেড়ে ৪০ বা ৫০ হবে তখন স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনুশীলন করা সহজ হবে না।’
গত ১৯শে জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ছিল অনুশীলন পর্ব। ক্রিকেটারদের অনুরোধে সময় বাড়ে আরো দু’দিন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম ব্যক্তিগত অনুশীলন পর্ব শেষ করে দারুণ আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন এই বিশ্বাস তাদের গ্রুপ ট্রেনিং শুরু করতে সাহায্য করবে। ব্যক্তিগত অনুশীলনে এখন অনেক ক্রিকেটারই আগ্রহী। তারা মাঠে ফিরতে ব্যাকুল। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না কমলেও এখন তারা সেই ভয়ে ঘরে থাকতে চায় না। তাই ধরণা করা হচ্ছে ঈদের পর ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়বে। দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘গ্রুপ ট্রেনিং শুরু করলে কী করতে হবে তা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেমন ধরেন স্কিল ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ ক্রিকেট বল। যদি ৩ বা ৫ জন মিলে ফিল্ডিং ট্রেনিং করে তাহলে একটি বল ব্যবহার করতে হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণ করাই আসল চ্যালেঞ্জ। অনেক খুটিনাটি বিষয় কিভাবে হবে তা আমরা পরিকল্পনা করে রেখেছি। তবে বাস্তবতা বেশ কঠিন। এসব প্রয়োগ করতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি আমাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে। সেটি দিয়েই উতরে যেতে পারবো।’
মিরপুর মাঠে অনুশীলন বিশেষ কিছু: বিজয়
ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। মাঠে আসতে পারা যেন তার কাছে মুক্তির আনন্দের মতো। এই সুবিধা তিনি চান ঈদের পরও। গতকাল মাঠে এসে অনুশীলন শেষে আপ্লুত এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘মিরপুরে অনুশীলন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। প্রায় চার মাস পরে মিরপুরে অনুশীলন করার সুযোগ পেলাম। বলতে গেলে অনেক কষ্টই হয়েছে। আমরা ইনডোরে করেছি। যেখানেই করি না কেন মিরপুরে অনুশীলন করাটা বিশেষ কিছু। আশা করি এটা করে যাবো। ঈদের আগে যতটা সম্ভব হয় করবো। ঈদের পরে ধারাবাহিক করে যাবো। এমন সুযোগ করে দেওয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ। আশা করি সামনেও এটা অব্যাহত থাকবে।’
মার্চ থেকে দেশে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে। চার মাস অনেকটাই ঘরবন্দি আছে ক্রিকেটাররা। করোনার ভয়ে এখনো অনেক ক্রিকেটার মাঠে আসতে চায় না। তবে তারা মুখিয়ে আছে যেন মাঠে এসে মুক্ত আকাশের নিচে আবারো ছুটতে পারেন তার জন্য। মুশফিকুর রহীমসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার করোনার ভয় উড়িয়ে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করে সবাইকে দেখিয়েছেন নতুন পথ। এখন শুধু অপেক্ষা ঈদের ছুটি শেষে দেশের ক্রিকেটে আবারো প্রাণ ফিরে পাওয়ার।॥
গত ১৯শে জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ছিল অনুশীলন পর্ব। ক্রিকেটারদের অনুরোধে সময় বাড়ে আরো দু’দিন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম ব্যক্তিগত অনুশীলন পর্ব শেষ করে দারুণ আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন এই বিশ্বাস তাদের গ্রুপ ট্রেনিং শুরু করতে সাহায্য করবে। ব্যক্তিগত অনুশীলনে এখন অনেক ক্রিকেটারই আগ্রহী। তারা মাঠে ফিরতে ব্যাকুল। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না কমলেও এখন তারা সেই ভয়ে ঘরে থাকতে চায় না। তাই ধরণা করা হচ্ছে ঈদের পর ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়বে। দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘গ্রুপ ট্রেনিং শুরু করলে কী করতে হবে তা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেমন ধরেন স্কিল ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ ক্রিকেট বল। যদি ৩ বা ৫ জন মিলে ফিল্ডিং ট্রেনিং করে তাহলে একটি বল ব্যবহার করতে হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণ করাই আসল চ্যালেঞ্জ। অনেক খুটিনাটি বিষয় কিভাবে হবে তা আমরা পরিকল্পনা করে রেখেছি। তবে বাস্তবতা বেশ কঠিন। এসব প্রয়োগ করতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি আমাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে। সেটি দিয়েই উতরে যেতে পারবো।’
মিরপুর মাঠে অনুশীলন বিশেষ কিছু: বিজয়
ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। মাঠে আসতে পারা যেন তার কাছে মুক্তির আনন্দের মতো। এই সুবিধা তিনি চান ঈদের পরও। গতকাল মাঠে এসে অনুশীলন শেষে আপ্লুত এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘মিরপুরে অনুশীলন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। প্রায় চার মাস পরে মিরপুরে অনুশীলন করার সুযোগ পেলাম। বলতে গেলে অনেক কষ্টই হয়েছে। আমরা ইনডোরে করেছি। যেখানেই করি না কেন মিরপুরে অনুশীলন করাটা বিশেষ কিছু। আশা করি এটা করে যাবো। ঈদের আগে যতটা সম্ভব হয় করবো। ঈদের পরে ধারাবাহিক করে যাবো। এমন সুযোগ করে দেওয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ। আশা করি সামনেও এটা অব্যাহত থাকবে।’
মার্চ থেকে দেশে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে। চার মাস অনেকটাই ঘরবন্দি আছে ক্রিকেটাররা। করোনার ভয়ে এখনো অনেক ক্রিকেটার মাঠে আসতে চায় না। তবে তারা মুখিয়ে আছে যেন মাঠে এসে মুক্ত আকাশের নিচে আবারো ছুটতে পারেন তার জন্য। মুশফিকুর রহীমসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার করোনার ভয় উড়িয়ে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করে সবাইকে দেখিয়েছেন নতুন পথ। এখন শুধু অপেক্ষা ঈদের ছুটি শেষে দেশের ক্রিকেটে আবারো প্রাণ ফিরে পাওয়ার।॥