দেশ বিদেশ

শামীমা বেগমকে বৃটেন ফিরতে আদালতের আনুমতি

মানবজমিন ডেস্ক

২১ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

আইএস বধূ শামীমা বেগমকে ‘টিকিং টাইমবোম’ বলে আখ্যায়িত করেছেন সিরিয়ায় আইসিসের হাতে শিরñেদের শিকার ডেভিড হেইন্সের কন্যা বেথানি হেইন্স। বৃটিশ আদালত গত সপ্তাহে শামীমাকে বৃটেনে ফেরা নিয়ে যে রায় দিয়েছে, তাকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের মার্চে তুরস্কের সীমান্তে একটি শরণার্থী শিবির থেকে অপহরণ করা হয় ত্রাণকর্মী ডেভিড হেইন্স (৪৪)কে। তাকে দেড় বছর আটকে রাখা হয় বৃটিশ সন্ত্রাসী সেল ‘দ্য বিটলস’-এ। অবশেষে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তার শিরñেদ করে মোহাম্মদ এমওয়াজি, যার ডাকনাম জিহাদি জন। ওই হত্যাকা-ের ফুটেজও প্রকাশ করা হয়।
নিহত ডেভিড হেইন্সের কন্যা বেথানি হেইন্স (২৩) তাই শামীমা বেগমের বৃটেন ফেরা মেনে নিতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, তাকে বৃটেনে ফিরতে দিলে অনেক জীবন ঝুঁকিতে পড়বে। শামীমা বেগমকে গত বছর সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবিরে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আবিষ্কার করা হয়। তিনি বৃটেনে ফেরার আর্জি জানান তার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য। কিন্তু বৃটিশ সরকার তার বৃটিশ পাসপোর্ট বাতিল করে। কেড়ে নেয় নাগরিকত্ব। শামীমা বেগম ২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে দুই বান্ধবীকে সঙ্গে করে বৃটেন থেকে পালিয়ে তুরস্ক হয়ে পাড়ি দেন সিরিয়া। সেখানে পৌঁছার কয়েক দিনের মধ্যে বিয়ে করেন ডাচ এক আইসিস যোদ্ধা রিদিজককে। একে একে তিনটি সন্তান জন্ম দেন শামীমা। অপুষ্টিতে ভুগে তারা সবাই মারা যায়। ওদিকে নাগরিকত্ব বাতিল করা হলেও বৃটেন ফেরার লড়াই অব্যাহত রাখেন শামীমা। বর্তমানে তার বয়স ২০ বছর। মামলা লড়ার জন্য তাকে বৃটেনে ফিরতে অনুমতি দেন আদালত।
এ সিদ্ধান্তে এক সন্তানের মা বেথানি হেইন্স বলেন, এখনো বৃটেনকে ভীষণভাবে ঘৃণা করেন শামীমা। সে একজন ‘টিকিং টাইমবোম’।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status