অনলাইন

চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসাম ও ত্রিপুরায় যাচ্ছে ভারতীয় পণ্য

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে

১৬ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে আসাম ও ত্রিপুরায় যাচ্ছে ভারতীয় পণ্য। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর থেকে রড ও ডালের চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে এমভি সেঁজুতি নামে ভারতীয় একটি জাহাজ।

ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজটি ১০৮ কনটেইনার পণ্য নিয়ে আগামী সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চার কনটেইনার পণ্য কাভার্ড ভ্যানে করে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কনটেইনারগুলোর মধ্যে দুই কনটেইনার রড ত্রিপুরার জিরানিয়ার এস এম করপোরেশনের। বাকি দুই কনটেইনার ডাল যাবে আসামের জেইন প্রতিষ্ঠানের কাছে।

এ চালানের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ও সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য তাদের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে পরিবহনের প্রথম পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করছে। বাকী ১০৪ কনটেইনার পণ্য বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের। বিস্তারিত কাগজপত্র হাতে এলে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ানোর জন্য কাস্টমসের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে।

ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে এখন কোনরকম জাহাজ বা কনটেইনার জট নেই। ফলে জাহাজটি আসা মাত্রই আমরা বার্থিং কার্যক্রম শুরু করতে পারব। বন্দরের নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত হারে মাশুল আদায় করে জাহাজটিকে ছাড়পত্র দেয়া হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় পণ্য ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাত ধরনের মাশুল আদায় করবে। এই সাতটি হলো প্রতি চালানের প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা, প্রতি টনের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট ফি ৩০ টাকা, নিরাপত্তা মাশুল ১০০ টাকা, এসকর্ট মাশুল ৫০ টাকা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক মাশুল ১০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কনটেইনার স্ক্যানিং ফি ২৫৪ টাকা এবং বিধি অনুযায়ী ইলেকট্রিক সিল ও লক মাশুল প্রযোজ্য হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। চুক্তির আর্টিক্যাল-৪ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যে ধরণের সুবিধা নিয়ে থাকে ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রেও একই সুবিধা প্রদান করবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায়োরিটির ভিত্তিতে স্পেস প্রদান করবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status