বিশ্বজমিন

বৃটিশ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন হামিদা

মানবজমিন ডেস্ক

১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশি জাহাজাভাঙ্গা শ্রমিকের মৃত্যুতে তার বিধবা স্ত্রী ওই জাহাজের বৃটিশ মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। সোমবার বৃটিশ একজন বিচারক এই রায় দিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনলাইন দ্য ন্যাশনালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা হিসেবে কম বেতনে চট্টগ্রামের জুমা এন্টারপ্রাইজ শিপইয়ার্ডে সুরক্ষা সামগ্রি ছাড়াই তেলের ট্যাংক ভাঙ্গার কাজ করতেন মুহাম্মদ খলিল মোল্লা। এ কাজ করতে গিয়ে ২০১৮ সালের মার্চে দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। শ্রমিকদের সুরক্ষায় অবহেলার অভিযোগ এনে লন্ডনে তেলের ট্যাংকার একতা’র সাবেক মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করছেন নিহত খলিলের স্ত্রী হামিদা বেগম। এতে তিনি দাবি করছেন, মালিক ওই ট্যাংকারটি বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য এর দায়দায়িত্ব তাদের। এক্ষেত্রে পরিবেশ ছিল উচ্চ মাত্রায় বিপজ্জনক।
বিচারক জে তার রুলে বলেছেন, এই ট্যাংকারটির সাবেক মালিক মারান (ইউকে)। তারা ভেঙে ফেলার জন্য একজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ট্যাংকারটি এক কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যে বিক্রি করে দেয়। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের যত্ন নেয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। তবে ওই কোম্পানিটি বলেছে, এ মামলায় তাদের কোনো ভূমিকা নেই। কারণ, তারা ওই ট্যাংকারটি বিক্রি করে দিয়েছে। শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী নয়।
হামিদা বেগম ও তার ছেলের পক্ষের সলিসিটররা বলেছেন, এই সোমবার বৃটিশ বিচারকের রায়ে শিপিং ইন্ডাস্ট্রিজে হতাশার ছায়া পড়বে। কারণ, এ শিল্প থেকে হাজার হাজার জাহাজ ভাঙার জন্য পাঠানো হয় দক্ষিণ এশিয়া উপকূলে।
রিপোর্টে বলা হয়, খলিল যে জাহাজ ভাঙতে গিয়ে মারা গেছেন তার আগে নাম ছিল মারান সেঞ্চুরাস। ২০১৭ সালে তা বিক্রি করে দেয়া হয়। এর পর পরই তা ভাঙার জন্য নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে।
শ্রমিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) বলেছে, জাহাজভাঙা শিল্পে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ২০১৫ সালে তারা জানায়, বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ বড় জাহাজ ভাঙা হয়। এর মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ ভাঙা হয় বাংলাদেশ, চীন, ভারত, পাকিস্তান ও তুরস্কে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status